ভোট রাজনীতির খেলায় কর্ণাটকের স্কুল-কলেজে পড়াশোনা চলে গিয়েছে পিছনে, সামনে এসেছে পোশাক বিতর্ক। ভোট মিটে গেছে। ধর্মীয় মেরুকরণের পালে ভর করে বিজেপি উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে আসন সংখ্যা খুইয়েও ক্ষমতা ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে। কিন্তু ধর্মীয় মেরুকরণের হাওয়া তুলতে ভোটের এক মাস আগে থেকে যে সাম্প্রদায়িক তৎপরতা দেশের নানা প্রান্তে তারা চালিয়েছে, তার ক্ষত নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় বেড়েই চলেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পড়াশোনা। বিপন্ন হচ্ছে ছাত্র ঐক্য। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ বিষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ধ্বংস করছে, বিপন্ন হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ।
অল ইন্ডিয়া ডি এস ও এই অবস্থায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আহ্বান নিয়ে আদর্শগত প্রচারে নেমেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ধর্মকে পৃথক রাখো, ধর্মের স্থান হোক ব্যক্তির ব্যক্তিগত পরিসরে–এই আহ্বান নিয়ে তারা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করছে। নেতাজি, ভগৎ সিং, বিদ্যাসাগর, কুভেম্পু প্রমুখ মনীষীদের সম্প্রীতির বাণী দেওয়ালে দেওয়ালে লিখছে। রাজ্যের ২০টি জেলায় সম্প্রীতির এই আন্দোলন মানুষের নজর কাড়ছে। ছাত্রদের ছোট বড় সভা করে সেখানে আলোচনা করা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সমস্যা ও তার সমাধান প্রসঙ্গে ভগৎ সিংয়ের বক্তব্য। সম্প্রীতি সঙ্গীতের ভিডিও, নাটক, মূকাভিনয় ইত্যাদির মধ্য দিয়ে ছাত্রদের মধ্যে নতুন বার্তা তুলে ধরছে তারা। ধর্মমুক্ত শিক্ষা চাই, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা চাই, শিক্ষাকে সর্বজনীন করতে ফি কমাও স্লোগান ছাত্রছাত্রীদের দাঁড় করাচ্ছে আন্দোলনের সংগ্রামী ঐক্যে। হিন্দু নয়, মুসলিম নয় আমাদের পরিচয় ছাত্র, এই অনুভব দানা বাঁধছে।