সারা ভারত মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের (এআইএমএসএস) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছবি মহান্তি উত্তরপ্রদেশের হাথরস কাণ্ড নিয়ে সাম্প্রতিক রায় প্রসঙ্গে গত ৪ মার্চ এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, হাথরস কাণ্ডে উত্তরপ্রদেশের একটি আদালত যে রায় দিয়েছে, সারা ভারত মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠন তাকে অত্যন্ত দুঃখজনক এবং উদ্বেগজনক বলে মনে করছে। এই রায়ে ২০২০-র হাথরস গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে তিনজনকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং একজনকে শুধুমাত্র হত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায়ে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবের কথা বলা হয়েছে, যা ন্যায়বিচারের সাথে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়।
২০২০-র ১৪ সেপ্টেম্বর ঊনিশ বছরের একটি দলিত মেয়েকে চারজন ধর্ষণ করে এবং দু’সপ্তাহ পর মেয়েটি দিল্লির একটি হাসপাতালে মারা যায়। পরিবারের অনুমতি ছাড়াই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ মেয়েটির দেহ পুড়িয়ে দেয়। এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলেছে যে, এইভাবে তাড়াহুড়ো করে মেয়েটির দেহ পুড়িয়ে দেওয়া, প্রাথমিক দৃষ্টিতেই নিগৃহীত এবং তার পরিবারের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা, এফআইআর করতে দেরি করা, যথাযথ চিকিৎসায় গাফিলতি, নিগৃহীতার বয়ান বিকৃত করা, পরিবারের সম্মতি ছাড়া দেহ দাহ করে দেওয়া, পুলিশ-প্রশাসন-সরকারের যোগসাজশের মতো নানা ঘটনা থেকে এটা পরিষ্কার যে, একেবারে শুরু থেকেই এই মামলায় প্রমাণ নষ্ট করা এবং সত্য আড়াল করার জন্য পরিকল্পিত কৌশল নেওয়া হয়েছিল।
আমরা পুলিশ, প্রশাসন এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করা এবং অভিযুক্তদের ছাড় পেতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে দায়ী মনে করি। আমরা উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই অমানবিকতা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার তীব্র নিন্দা জানাই। এআইএমএসএস-এর সর্বভারতীয় কমিটি দাবি করছে, উত্তরপ্রদেশ সরকারকে মেয়েটির পরিবারকে ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এই নৃশংস গণধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িত সমস্ত দুষ্কৃতীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।