উত্তরপ্রদেশের হাথরস-কাণ্ডের স্মৃতি ফিরিয়ে দিল নদীয়ার হাঁসখালির ভয়ঙ্কর ঘটনা। সেখানে এক ১৪ বছরের কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়ে শুধু প্রাণ হারিয়েছে তাই নয়, তার মৃতদেহটিও জোর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবারকে হুমকি দিয়ে পুলিশে সময়মতো অভিযোগও করতে দেওয়া হয়নি। ঘটনার সাথে যুক্ত হয়ে আছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একদল নেতা-কর্মীর দাপট।
এস ইউ সি আই (সি)-র পক্ষ থেকে ১১ এপ্রিল এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজভবনের গেটে বিক্ষোভ দেখিয়ে দাবি করা হয়–কিশোরীর ধর্ষণ, হত্যা ও কোনও ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া মৃতদেহ পোড়ানোর সাথে জড়িত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, শাসক দলের নেতা-কর্মীদের ঔদ্ধত্য এবং সারা রাজ্যে খুন-সন্ত্রাস-ধর্ষণের ঘটনা বন্ধ করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়ে। টেনে-হিঁচড়ে ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ লালবাজারে নিয়ে যায়। দলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টচার্য এই নৃশংস ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে কঠোর শাস্তির দাবি করেন।
নদীয়ার কৃষ্ণনগরে জেলাশাসক দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান এসইউসিআই(সি) কর্মীরা। পুলিশের দলদাস ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেন তাঁরা। অন্যান্য জেলাতেও বিক্ষোভ হয়। একটি প্রতিনিধি দল নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে হাঁসখালি থানাতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।