ছাত্রসংখ্যা কমে যাওয়ার অজুহাতে হরিয়ানার বিজেপি সরকার গত কয়েক বছরে শতাধিক সরকারি স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। এআইডিএসও-র হরিয়ানা রাজ্য সভাপতি হরিশ কুমার এ প্রসঙ্গে বলেন, সরকারকে প্রশ্ন করতে চাই সরকারি স্কুলের এই করুণ পরিণতির জন্য দায়ী কে? প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল প্রথা চালু না থাকার সরকারি নীতির জন্যই ছাত্ররা বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছে।
বছরের পর বছর সরকারি স্কুলগুলি বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-পদ শূন্য পড়ে থাকা, ক্লাসঘরগুলির ভগ্নদশা, পানীয় জল-শৌচালয়-লাইব্রেরি-খেলাধূলার সামগ্রী না থাকার কারণে ধুঁকছে। তার উপর শিক্ষকদের পড়াশোনা-বহির্ভূত কাজে ব্যস্ত রাখা হয়। ক্লাস চালু হওয়ার পর ছয় মাস পার হয়ে গেলেও স্কুলে ছাত্রদের পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হয় না। এই সবকিছুর জন্য তো সরকার নিজেই দায়ী। সরকারি স্কুলে নিরুপায় গরিব ও শ্রমিক পরিবার থেকেই ছাত্ররা ভর্তি হয়। কংগ্রেস সরকারের মতোই বর্তমানে বিজেপির খট্টর সরকার শিক্ষার বেসরকারিকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের নীতি দ্রুততার সাথে কার্যকর করতে সরকারি স্কুল পুরোপুরি বন্ধ করার পথে হাঁটছে। তার উপর জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ চালু হওয়ার পর সরকারি শিক্ষার যতটুকুও মান ছিল তাও ধ্বংসের পথে।
এই অবস্থায় সাধারণ জনগণ সহ ছাত্র ও শিক্ষক সমাজের কাছে এআইডিএসও-র আবেদন, সরকারি স্কুল বন্ধ করা, শিক্ষক পদ বিলোপ ও বেসরকারিকরণ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হোন।