পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধ, হকার আইন ২০১৪ কে মান্যতা দিয়ে ৪০ শতাংশ হকার প্রতিনিধি নিয়ে ভেন্ডিং কমিটি গঠন, হকার উচ্ছেদের নামে কার্যত হকারদের পসরা পুলিশ কর্তৃক লুঠ বন্ধ, হকারদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ সহ পুনর্বাসনের দাবিতে ২২ জুলাই নগর উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে ও শ্রমমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা, বীরভূম, বাঁকুড়া, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪পরগণা ও কলকাতার শত শত হকার এআইইউটিইউসি অনুমোদিত অল বেঙ্গল হকার্স ইউনিয়নের আহ্বানে কলকাতা লেনিন মূর্তির পাদদেশে সমবেত হয়ে মিছিল করে কলকাতা কর্পোরেশন বিল্ডিং-এ সমবেত হন। সেখানে সভায় সভাপতিত্ব করেন কমরেড মধুসূদন বেরা। তাঁর নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল নগর উন্নয়নমন্ত্রীর উদ্দেশে দাবিপত্র দেন। চার সদস্যের অপর এক প্রতিনিধি দল কমরেড তপন মুখার্জীর নেতৃত্বে শ্রমমন্ত্রীর আপ্ত সহায়কের কাছে স্মারকপত্র জমা দেন। সভায় এ আই ইউ টি ইউ সি রাজ্য সম্পাদক কমরেড অশোক দাস হকারদের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে সমর্থন করে বলেন, হকারদের উপর রাজ্য সরকারের এই আক্রমণ ও উচ্ছেদ আসলে বৃহৎ পুঁজির স্বার্থেই চলছে, তাই যখন যে দল সরকারি ক্ষমতায় থাকে তারাই পুঁজির স্বার্থে হকার উচ্ছেদ করে। ১৯৯৬-তে ‘অপারেশন সানসাইন’ করেছিল তৎকালীন সিপিএম সরকার। হকার ভাইরা সেদিন লড়াই করে নিজেদের রক্ষা করেছিলেন। আজও লড়াই করে জীবিকা রক্ষা করতে হবে। তার জন্য আরও বড় লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে।
অল বেঙ্গল হকার্স ইউনিয়নের সম্পাদক কমরেড শান্তি ঘোষ হকারদের সার্বিক সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। দাবি করেন, কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধি সহ ৪০ শতাংশ হকার প্রতিনিধি নিয়ে ভেন্ডিং কমিটি গঠন করে সার্ভে করতে হবে। হকারদের পরিচয়পত্র দিতে হবে, কোনও হকারকে উচ্ছেদ করা চলবে না। সব হকারকে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। হকারদের উপর পুলিশ ও সমাজবিরোধীদের তোলাবাজি বন্ধ করতে হবে।