স্মার্ট মিটার প্রতিরোধে গ্রাহকরা আন্দোলনে

শিলিগুড়ি, দার্জিলিং

বিদ্যুতের স্মার্ট মিটার লাগানোর প্রতিবাদে এবং ফিক্সড চার্জ, মিনিমাম চার্জ, ডিসিআরসি চার্জ ও সরকারি ডিউটি বসিয়ে বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতি ‘অ্যাবেকাক্স-র নেতৃত্বে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন করছেন গ্রাহকরা।

পূর্ব মেদিনীপুরঃ ২৩ নভেম্বর দপ্তরের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রিজিওনাল ম্যানেজার অফিসে বিক্ষোভ হয় বিজলি ভবনের গেটে। হলদিয়া মেছেদা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের প্রতিরূপ পোড়ানো হয়। অগ্নিসংযোগ করেন অ্যাসোসিয়েশনের জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জয়মোহন পাল। এতে তিন শতাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোকতরু প্রধান, জেলা কমিটির সম্পাদক প্রদীপ দাস, নারায়ণচন্দ্র নায়ক প্রমুখ।

মেদিনীপুরঃ ২৩ নভেম্বর সহস্রাধিক বিদ্যুৎ রিজিওনাল ম্যানেজারের দপ্তরে গ্রাহক তুমুল বিক্ষোভ দেখান। মেদিনীপুর স্টেশন থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল জেলাশাসক দপ্তরে যায়। ক্ষুদিরাম মোড়ে অবরোধ হয় প্রায় ৪০ মিনিট। বিদ্যুৎদপ্তর ও সরকারের জারি করা ট্যারিফ অর্ডারে অগ্নিসংযোগ করেন অ্যাবেকার রাজ্য সহ-সভাপতি মধুসূদন মান্না। এরপর বিক্ষোভ মিছিল রিজিওনাল ম্যানেজারের দপ্তরে গেলে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঢুকতে বাধা দেয় এবং গ্রাহকদের সঙ্গে তীব্র ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা গোটা এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখেন। শুরু হয় বিক্ষোভ সভা। মধুসূদন মান্নার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল রিজিওনাল ম্যানেজারের কাছে এবং অ্যাবেকার জেলা আহ্বায়ক চণ্ডী হাজরার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল জোনাল ম্যানেজারকে ডেপুটেশন দেয়।

কোচবিহারঃ ২৩ নভেম্বর অ্যাবেকা কোচবিহার জেলা কমিটির ডাকে নিউটাউন বিদ্যুৎ অফিস থেকে গ্রাহকদের একটি প্রতিবাদী মিছিল কোচবিহার শহর পরিক্রমা করে রিজিওনাল অফিসে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন কর্মসূচি সংগঠিত করে। রিজিওনাল অফিসার অধিকাংশ দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন এবং দাবিগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর আশ্বাস দেন। এরপর গ্রাহকরা শহরের প্রাণকেন্দ্র হরিশপাল চৌপথিতে ঘন্টাখানেক পথ অবরোধ করেন। বক্তব্য রাখেন গ্রাহক সংগঠনের জেলা সম্পাদক মানিক বর্মন।

 

দার্জিলিংঃ ২৩ নভেম্বর শিলিগুড়ি শহরে অ্যাবেকার বিক্ষোভ মিছিলে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৪০০ জন বিদ্যুৎগ্রাহক উপস্থিত হন।

নকশালবাড়ি এলাকাতে শাসক দলের কর্মীরা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও সেখান থেকে গ্রাহকরা নিজেরাই গাড়ি রিজার্ভ করে মিছিলে আসেন। ধান কাটা, আলুর বপন কাজের জন্য যে সব কৃষকরা আসতে পারেননি, তাঁরা আন্দোলন তহবিলে অর্থসাহায্য করেন।

বাঁকুড়াঃ ২২ নভেম্বর শতাধিক বিদ্যুৎগ্রাহক প্রবল বিক্ষোভ দেখান জেলাশাসক দপ্তরে। লালবাজার বিবেকানন্দ মোড় থেকে সুসজ্জিত বিক্ষোভ মিছিল গ্রাহকদের বাঁচার জ্বলন্ত দাবিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। প্রধান রাস্তার দু-পাশের ছোট দোকান, লেদ গ্রিলের কারখানার মালিক ও পথচলতি অগণিত জনগণ ব্যাপক সমর্থন জানান। জেলা সম্পাদক স্বপন নাগের নেতৃত্বে পাঁচ জনের প্রতিনিধি দল ডেপুটেশন দেন। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রদীপ দাস, জেলা নেতৃত্ব হরিদাস ব্যানার্জী, বিদ্যুৎ শীট, শিশির কোলে আন্দোলন পরিচালনা করেন।

উত্তর ২৪ পরগণাঃ ২২ নভেম্বর অ্যাবেকার পক্ষ থেকে উত্তর ২৪ পরগণার বারাসাতে জেলাশাসকের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখানো হয় এবং ডেপুটেশন দেওয়া হয়। শুরুতে দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অনুকূল ভদ্র। একটি সুসজ্জিত মিছিল বারাসাত শহর পরিক্রমা করে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে এলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মিছিল আটকে দেয়। সেখান থেকে সংগঠনের জেলা সম্পাদক রবীন দেবনাথের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। কর্মসূচিতে জেলার ২০টি কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে প্রায় ১০০ জন বিদ্যুৎ গ্রাহক অংশগ্রহণ করেন।