Breaking News

স্মার্ট মিটার! আপনার পকেট উজাড়

শিলিগুড়ি, দার্জিলিং

প্রিপেড স্মার্ট মিটার সম্পর্কিত কয়েকটি তথ্য জেনে নিন। এখনই সতর্ক হোন।

স্মার্ট প্রিপেড মিটারের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের একমাত্র সংগঠন অ্যাবেকা শুরু থেকেই আন্দোলন করে চলেছে। এর ফলেই রাজ্য জুড়ে মানুষ আজ প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।

  • এখন আপনি আগে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, তারপর মিটার রিডিং অনুযায়ী বিলের টাকা জমা দেন। স্মার্ট প্রিপেড মিটারে আগে টাকা জমা করতে হবে তারপর বিদ্যুৎ পাবেন। টাকা শেষ হলেই বিদ্যুৎ সংযোগ আপনা-আপনি কেটে যাবে। অন্ধকার নেমে আসবে।
  • এখন নির্দিষ্ট ইউনিট পিছু দাম কত আপনি জানতে পারেন। স্মার্ট মিটারে তা হবে না। দাম নির্ধারিত হবে টিওডি পদ্ধতিতে। অর্থাৎ দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাম। বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী কোম্পানি তার ইচ্ছামতো দাম বাড়াবে। বিদ্যুৎ খরচ ব্যাপক বাড়বে। আপনার পকেট উজাড় হবে।
  • এখন আপনি বিদ্যুৎ বিল হাতে পান। কী জন্য কত দাম দিচ্ছেন জানতে পারেন। স্মার্ট মিটার বসলে কোনও বিল হাতে পাবেন না। ফলে কত ইউনিট খরচ করছেন, তার দাম কত, মিটার ভাড়া কত, ফিক্সড চার্জ কত বা অন্য কোনও চার্জ নেওয়া হচ্ছে কি না সে বিষয়ে কিছুই জানতে পারবেন না।
  • স্মার্ট মিটার যা কিনা ৫/৭ বছর চলে, খারাপ হলে আবার নতুন মিটার বসাতে হবে। এই টাকা কোথা থেকে তোলা হবে? আপনার ঘাড় ভেঙে নয় তো?
  • বিদ্যুৎ আইন-২০০৩ অনুযায়ী প্রিপেড স্মার্ট মিটার লাগানো বাধ্যতামূলক নয়। আপনার অনুমতি ছাড়া কখনই কোথাও এই মিটার বসানো যায় না। তাই জোর করে লাগানো বেআইনি।
  • স্মার্ট মিটারে রিডিং নেওয়ার, বিল দেওয়ার প্রয়োজন থাকবে না। তাই মিটার রিডার সহ কর্মচারী, ইঞ্জিনিয়ারদেরও চাকরি চলে যাবে। কর্মসংস্থানও হবে না। বেকার বাড়বে।
  • এ আই অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিয়ন্ত্রণে মোবাইলের সাথে যুক্ত থাকবে স্মার্ট মিটার। তাই সাইবার ক্রাইমের সম্ভাবনা যেমন থাকবে তেমনি আপনার ব্যক্তিগত জীবনের সব কিছু চাইলেই সবাই জানতে পারবে।

তাই এখনই স্মার্ট মিটার লাগানো রুখে দিতে এলাকায় এলাকায় সকলে সতর্ক হোন, ঐক্যবদ্ধ হোন। কোনও প্রয়োজনে অ্যাবেকার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

যোগাযোগঃ ৮৯১৮৯৩২০৭৮, ৮৬২১৯৮৩৬৮৭

এই লেখাটি গণদাবী ৭৭ বর্ষ ৪৩ সংখ্যা ৬ – ১২ জুন ২০২৫ এ প্রকাশিত