পশ্চিমবঙ্গে ১২৮টি পৌরসভা ও নিগমে কর্মরত প্রায় দশ হাজার পৌর স্বাস্থ্যকর্মী কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন৷ বেতন মাত্র ৩১২৫ টাকা৷ জননী সুরক্ষা, টিকাকরণ, শিশুদের সুরক্ষা, বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধকের ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম করার কথা থাকলেও বর্তমানে এই কাজের পরিধি দিনের পর দিন বাড়ানো হচ্ছে৷ পৌরসভার কাজ, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের কাজ এবং ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশন–এর কাজ করানো হচ্ছে তাঁদের দিয়ে৷ বিপিএল তালিকাভুক্ত মানুষের বিশেষত মহিলা ও শিশুদের থেকে এপিএল তালিকাভুক্ত মানুষের কাছেও বর্তমানে এই পরিষেবা পৌঁছে দিতে হচ্ছে৷ কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এক টাকাও বেতন বৃদ্ধি করেনি৷
২১ সেপ্টেম্বর সুডায় (স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট এজেন্সি) ডেপুটেশন দিয়ে দাবি জানানো হয়, ১) মুখ্যমন্ত্রীর কথাকে মান্যতা দিয়ে কাজের বয়স ৬৫ বছর পর্যন্তই করতে হবে, ২) স্বেচ্ছাসেবী নয়, কর্মীর স্বীকৃতি দিতে হবে, ৩) সাম্মানিক ভাতা নয়, পদ অনুযায়ী সম্মানজনক বেতন দিতে হবে, ৪) ইপিএফ, পেনশন এবং অবসরে এককালীন তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে, ৫) প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি করতে হবে, ৬) যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক পদোন্নতি চালু করতে হবে, তারপরে শূন্য পদে কর্মী নিয়োগ করতে হবে, ৭) জনসাধারণের স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত করতে সাবসেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো, আধুনিকীকরণ, ওষুধ এবং প্রতিষেধক টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহ করতে হবে৷
সুডা ডিরেক্টর জানান, গ্র্যাচুইটির দাবি মেনে নিয়ে অর্থ দপ্তরে সুপারিশ করার জন্য পৌরমন্ত্রীর কাছে ফাইল পাঠিয়েছেন৷ ট্রেনিং শুরু করবেন অক্টোবর থেকে৷ বেতন বৃদ্ধি ইনসেনটিভের মাধ্যমে বাড়ানোর চেষ্টা করছেন৷