অর্থ দপ্তরের ২০১১–র আদেশনামার ভিত্তিতে যাঁদের স্থায়ী হওয়ার কথা ছিল সরকারি নানা টালবাহানায় আজও তাঁরা অস্থায়ী রয়ে গিয়েছেন৷ মাত্র ৫০ টাকা, ৯০ টাকা কিংবা ১০০ টাকা মজুরিতে স্বাস্থ্য দফতরের এই ডেইলি রেটেড কর্মীরা রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে ২০–২২ বছর ধরে কাজ করে চলেছেন৷ তাও মাসে সব দিন কাজ নেই৷ আবার মাসের পর মাস বকেয়া৷ প্রতিবাদ করলে ভয় দেখিয়ে, জোর করে বেসরকারি এজেন্সিতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ ২০১৬ সাল থেকে স্থায়ী করার জিগির তুলে বারে বারে কর্মীদের নানা তথ্য চাইছে স্বাস্থ্য ভবন৷ অথচ কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না৷ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কর্মীদের কয়েক লক্ষ টাকার মজুরি বকেয়া পড়ে আছে৷ এর প্রতিবাদে ২৬ জুন সমস্ত কর্মচারীদের অভিন্ন মজুরি, সমকাজে সমবেতন, সারা মাস কাজ, অর্থদপ্তরের আদেশনামা স্থায়ীকরণ, এজেন্সি প্রথা বাতিল, পরিচয়পত্র ও পোশাক সহ বিভিন্ন দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃত্বে করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে সুসজ্জিত মিছিলে সামিল হন স্বাস্থ্য দফতরের কয়েকশো অস্থায়ী কর্মী৷
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কমরেড শুভাশীষ দাস ও বিশ্বজিৎ ঘোষের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্য অধিকর্তার সাথে দেখা করে একটি স্মারকলিপি দেন৷ অধিকর্তা সমস্ত দাবির সাথে একমত হন এবং স্থায়ীকরণের ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান৷ প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন কমরেডস সন্ধ্যা বরাট, শ্যামল রায়, বিভাস ঘোরাই এবং প্রসেনজিৎ রানা৷