স্নাতক স্তরে অভিন্ন পোর্টালে ভর্তিতে আসন বরাদ্দ থাকার পরেও ৬০ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারেননি। ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্য সরকার বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করছে। এর বিরুদ্ধে ২১ জুলাই এআইডিএসও-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় এক বিবৃতিতে বলেন,উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্টের দীর্ঘদিন পর ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এর সাথে মিলেছে অভিন্ন পোর্টালে ভর্তিতে বিভিন্ন জটিলতা, টেকনিক্যাল সমস্যা, উচ্চমাধ্যমিকের রিভিউয়ের রেজাল্ট দেরি করে পাওয়া। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে ভর্তিতে অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় বহু ছাত্রছাত্রী বেসরকারি কলেজে বেশি টাকা দিয়ে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছেন, কেউ কেউ ভিন রাজ্যে ভর্তি হয়ে যাচ্ছেন। সংগঠনের অভিযোগ,সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সিট পূরণ না হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে জাতীয় এবং রাজ্য শিক্ষানীতির প্রয়োগ করে প্রতিষ্ঠানগুলিকে বন্ধ করা ও সরকারি শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা ছাড়া এটা আর কিছুই নয়। সংগঠনের দাবি, সকল আবেদনকারী ছাত্রছাত্রী যাতে তাদের পছন্দের বিষয় এবং কলেজে ভর্তির সুযোগ পায় তার ব্যবস্থা রাজ্য সরকারকে করতে হবে।
বিশ্বজিৎ রায় বলেন, যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এখনও ভর্তিতে আবেদন করতে চায় তাদের আবেদন করার সুযোগ এবং ভর্তির ব্যবস্থা রাজ্য সরকারকে করতে হবে। এক লক্ষ দশ হাজার ছাত্রছাত্রী আবেদন করেও ভর্তির সুযোগ পায়নি, অথচ বহু আসন ফাঁকা আছে। এই ছাত্রদেরও ভর্তির ব্যবস্থা রাজ্য সরকারকে করতে হবে। সংগঠনের আশঙ্কা,দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর যখন কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষের দিকে যাবে তখন বহু কলেজে অনেক আসন ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন এবং তাদের পেটোয়া ছাত্র সংগঠন পছন্দের বিষয় এবং কলেজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ছাত্রছাত্রীদের আসন বিক্রি করবে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। সংগঠন দাবি করেছে দুর্নীতিমুক্ত ভাবে যাতে ভর্তি প্রক্রিয়া চলে তা রাজ্য সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। সংগঠন দাবি জানায়, দ্রুততার সাথে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে প্রথম সেমেস্টারের পঠন-পাঠন শুরু করতে হবে। আগামী বছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বাধিকার রক্ষা করে পরিকল্পনাহীন কেন্দ্রীয় পোর্টালে ভর্তি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক পোর্টালের মধ্য দিয়ে দুর্নীতিমুক্ত ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে।