পাড়ায় শিক্ষার প্রহসন নয়, অবিলম্বে ক্লাস রুমেই পঠনপাঠন শুরু করতে হবে এবং জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিল এই দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ২৭ জানুয়ারি অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির উদ্যোগে রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায় পালিত হল ধরনা, বিক্ষোভ, অবস্থান, পদযাত্রা ও ডেপুটেশনের কর্মসূচি। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী মানুষেরা সোচ্চার হলেন সর্বত্র। তাঁদের বক্তব্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, আই সি এম আর সহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা যেখানে বলছেন শিশুদের সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা কম, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু করে দেওয়া উচিত। ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ কর্মসূচি স্কুল খোলা বিলম্বিত করারই কৌশল। করোনার জন্য বিগত দু-বছর ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাজীবনে যে অপূরণীয় ক্ষতি ঘটে গিয়েছে, তা আর বাড়তে দেওয়া চলে না। প্রতিটি জেলায় জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
কলকাতায় হাজরা মোড়ে ও শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের কাছে অবস্থান বিক্ষোভ হয়। হাজরা মোড়ে বক্তব্য রাখেন অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির সম্পাদক অধ্যাপক তরুণ নস্কর (ছবি) এবং শ্যামবাজারে উপস্থিত ছিলেন অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়।
এদিন কমিটির কল্যাণী শাখার পক্ষ থেকে মহকুমা শাসকের দপ্তরে বিক্ষোভ এবং ডেপুটেশনের কর্মসূচি হয়। শিক্ষক নিখিল কবিরাজের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল মহকুমা শাসকের দপ্তরে দাবিপত্র তুলে দেয়। বিক্ষোভ সভায় অধ্যাপক সঞ্জীব ঘোষ বলেন, রাজ্য সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে অনলাইন শিক্ষা চালু করতে চাইছে। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক অশোক ভট্টাচার্য, অধ্যাপিকা সুনিতা বেরা প্রমুখ। এ ছাড়াও কৃষ্ণনগর, রাণাঘাট, তেহট্ট মহকুমা শাসকের দপ্তরে অবস্থান বিক্ষোভ হয়।