নানা রকম বঞ্চনার শিকার রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল ও মাদ্রাসার করণিকরা৷ তাঁদের পদমর্যাদা মাধ্যমিক পাশ হওয়ায় বেতন খুবই কম৷ পদমার্যাদা মাধ্যমিক পাশ হলেও বাস্তবে এ কাজে কর্মরত রয়েছেন উচ্চশিক্ষিত এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অনেকেই৷ তাদের উপর কাজের চাপ বিপুল৷ অফিসের নিয়মিত কাজ ছাড়াও কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, সবুজসাথী ইত্যাদি সরকারি নানা প্রকল্পের কাজ তাঁদের করতে হয়৷ করতে হয় ড্রাফটিং, ডিটিপি, ই–মেল, অনলাইন ডাটা এন্ট্রি, ই–পেনশন, ইপিএফ–এর যাবতীয় কমপিউটার সংক্রান্ত কাজ৷ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও এদের স্কেলে কোনও স্বীকৃতি নেই৷ সব চেয়ে বড় কথা, গোটা কর্মজীবনই প্রমোশনহীন৷
এই বঞ্চনার প্রতিকারের দাবিতে গড়ে উঠেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল অ্যান্ড মাদ্রাসা ক্লার্কস অ্যাসোসিয়েশন৷ ৮ জুলাই কলকাতায় তাঁরা বিক্ষোভ দেখান৷ প্রায় চার হাজার করণিক উপস্থিতিতে ছিলেন৷ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় সরকার বলেন, আমাদের দাবি– করণিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক করতে হবে, উচ্চমাধ্যমিক এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ বিবেচনায় এনে নতুন পে–স্কেল করতে হবে, কর্মজীবনের ৮, ১৩, ২৫ বছরে পরবর্তী উচ্চতর পে–স্কেল দিতে হবে, সরকারি শিক্ষক এবং লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগে করণিকদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করতে হবে৷ শিক্ষামন্ত্রী দাবিগুলি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন৷