সেনাস্কুল যাচ্ছে আরএসএস-এর হাতে

রিপোর্টার্স কালেক্টিভ নামক এক সংস্থার প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে ২০২১-এর ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেয়, এ যাবৎ প্রতিরক্ষা দপ্তর পরিচালিত সৈনিক স্কুলগুলিকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে অন্যান্য স্কুলের তুলনায় সেগুলো একদম পৃথক হয় এবং এক নতুন নীতির দ্বারা পরিচালিত হয়।

কী সেই নীতি? তথ্য আইনের ভিত্তিতে জানা গেছে, ৬২ শতাংশ সৈনিক স্কুলকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃন্দাবনে এরকম একটি স্কুল চালান সাধ্বী ঋতাম্ভরা। বিশ্বহিন্দু পরিষদের মহিলা শাখার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই স্কুল। তিনি আরেকটি স্কুল চালান হিমাচল প্রদেশের সোলানে। এই স্কুলটি সম্প্রতি প্রাইভেট-পাবলিক কাঠামো অনুযায়ী সৈনিক স্কুলের অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেছে।

 এই নীতি অনুযায়ী সরকার এই সৈনিক স্কুলগুলিকে ছাত্রদের থেকে নেওয়া ফি-এর ৫০ শতাংশ অনুদান দেয়। অর্থাৎ হিসাব মতো এই স্কুলগুলি প্রত্যেক বছরে প্রায় ১.২ কোটি টাকার সরকারি সাহায্য পায়। এ ছাড়াও বছরে ১০ লক্ষ টাকার অনুদান আসে প্রশিক্ষণ বাবদ। এ সত্ত্বেও, সেই সব স্কুলে বছরে ১৩,৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ২,৪৭,৯০০ টাকা পর্যন্ত ফি নেওয়া হয়। ২০২১ সালে সৈনিক স্কুলগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের স্তরে গৃহীত হয়। সেই মতো ১০০টি সৈনিক স্কুল গড়ে তোলার অছিলায় সৈনিক স্কুলগুলিকে আর এস এস-সংঘপরিবারের আওতায় নিয়ে আসার নীল নকশাটি রচিত হয়।

শিক্ষার গৈরিকীকরণ এবং শিক্ষাকে প্রাচীন ধর্মীয় ঐতিহ্যের আবহে পরিবেশিত করে ছাত্রদের ধর্মীয় কূপমণ্ডকতা, কুসংস্কার ভিত্তিক আচার-আচরণ, যুক্তিহীনতা এবং অন্ধ বিশ্বাসের নিগড়ে বাঁধাই এর উদ্দেশ্য।

এই লেখাটি গণদাবী ৭৭ বর্ষ ৪১ সংখ্যা ২৩ – ২৯ মে ২০২৫ এ প্রকাশিত