70 Year 33 Issue 6 April, 2018
এস ইউ সি আই (সি)–র সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ ২৮ মার্চ এক বিবৃতিতে বলেন,
‘‘সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট ১৯৮৯ সালের দলিত নির্যাতন বিরোধী আইন প্রসঙ্গে এক রায়ে আদেশ দিয়েছে যে, এই আইন অনুযায়ী কোনও সরকারি বা আধা সরকারি কর্মচারী দলিত নির্যাতনে অভিযুক্ত হলেও তাকে তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করা যাবে না৷ গ্রেপ্তারের পূর্বে প্রাথমিক তদন্ত করতে হবে এবং ওই কর্মচারীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বাধ্যতামূলক ভাবে নিতে হবে৷ ওই আইন– যার উদ্দেশ্য ছিল সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক স্তরে অবস্থিত তফসিলি জাতি ও উপজাতি (সাধারণভাবে দলিত) অংশের মানুষকে অত্যাচার নির্যাতন থেকে নিরাপত্তা দেওয়া, সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের দ্বারা তার কার্যকারিতাকেই লঘু করে দেওয়া হবে৷ এই রায় এমন একটা সময়ে দেওয়া হল, যখন আরএসএস–বিজেপির বর্তমান শাসনকালে যে কোনও অজুহাতে এই অংশের মানুষকে আক্রমণের টার্গেট করা হয়েছে৷
সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের পরিণাম হবে এটাই যে, আইন থাকলেও সুবিচার নির্ভর করবে মূলত আমলাদের ও প্রশাসনের মর্জির উপর, লাল ফিতের বাঁধনে বিচার আটকা পড়ে থাকবে অর্থাৎ নির্যাতিত হয়েও ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ আরও দুরূহ হবে৷
এই আইনের যে অপব্যবহারের দিকটাকে দেখিয়েই সুপ্রিম কোর্ট রায় দিল সেই অপব্যবহারকে অন্যান্য আইনের সুযোগ নিয়ে অনায়াসেই আটকানো যায়৷
এই রায়, আমরা মনে করি, অত্যন্ত উদ্বেগজনক৷ দরিদ্র জনগণের নির্যাতিত এই অংশ, যারা বর্তমানে প্রবল আক্রমণের সম্মুখীন, তাদের ন্যায়বিচার দেওয়ার স্বার্থেই সুপ্রিম কোর্টের এই রায় পুনর্বিবেচনা করে বাতিল করা হোক– এটাই আমাদের দাবি৷’’