সুন্দরবনে মৎস্যজীবীদের নৌকা মিছিল

সুন্দরবনের নব্বই শতাংশ এলাকায় মাছ–কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন৷ ফতোয়া জারি করা হয়েছে এই কাজে যন্ত্রচালিত নৌকার ব্যবহার বন্ধে, সুন্দরবনের নদী–খাঁড়িতে মাছ–কাঁকড়া ধরার অধিকার বহাল রাখা, যন্ত্রচালিত নৌকায় মাছ–কাঁকড়া ধরার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া,  মৎস্যজীবীদের উপর অত্যাচার বন্ধ করা, তাঁদের উপর চাপানো যাবতীয় কেস তুলে নেওয়া প্রভৃতি দাবিতে মৎস্যজীবীরা প্রশাসনের স্তরে স্তরে ক্যানিং টাইগার প্রজেক্ট ও বিভিন্ন রেঞ্জ অফিসে লাগাতার আন্দোলন সংগঠিত করে আসছে৷ এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে ২২ আগস্ট ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশন ও সাউথ সুন্দরবন ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশওয়ার্কার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ঘিয়াবতী নদীপথে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে চার শতাধিক মৎস্যজীবী ভগবতপুর রেঞ্জ অফিসে ডেপুটেশন দেন৷

নেতৃত্ব দেন কমরেডস প্রজাপতি খালুয়া, অমল সাহু ও পবিত্র মাইতি৷ এ ছাড়াও ঝড়খালি বিট অফিসে ওই দিন কমরেড বৈদ্যনাথ বরের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক মৎস্যজীবী ডেপুটেশন দেন৷ ডেপুটেশনে আসার পথে টিএমসি–র বাইকবাহিনী রাস্তার মোড়ে মোড়ে মৎস্যজীবীদের বাধা দেয়৷ তা সত্ত্বেও মৎস্যজীবীরা জীবন–জীবিকা রক্ষার স্বার্থে আন্দোলনে যোগ দেন৷

উভয় অফিসের কর্মকর্তারা দাবিগুলির যৌক্তিকতা স্বীকার করেন ও মৎস্যজীবীদের সাথে যাতে কোনওরকম দুর্ব্যবহার না করা হয় সে বিষয়ে আশ্বাস দেন৷ এর সাথে মৎস্যজীবীদের আইনি দাবিগুলি যাতে আদায় হয় তার জন্য দাবিগুলিকে উচ্চস্তরের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য পাঠাবার ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন৷

(গণদাবী : ৭২ বর্ষ ৫ সংখ্যা)