ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সহস্রাধিক মৎস্যজীবী ২৬–২৭ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং টাইগার প্রোজেক্ট অফিসের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে সামিল হন৷ বিক্ষোভ অবস্থানে নেতৃত্ব দেন সম্পাদক জয়কৃষ্ণ হালদার, প্রভাত মণ্ডল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ৷ মৎস্যজীবীদের দাবি ছিল, কোনও অজুহাতে সুন্দরবনের নদী–খাঁড়িতে সাধারণ মৎস্যজীবীদের মাছ–কাঁকড়া ধরা বন্ধ করা যাবে না, বন দপ্তরের অত্যাচার–জুলুম বন্ধ করতে হবে, আটকে রাখা জাল, নৌকা, পাশ, রেজিস্ট্রি বই সহ মাছ ধরার যাবতীয় সরঞ্জাম অবিলম্বে ফেরৎ দিতে হবে৷ বন দফতর ফতোয়া দিয়েছে সুন্দরবনের নদী–খাঁড়িতে অন্য সকলে যন্ত্রচালিত নৌকা ব্যবহার করতে পারলেও কেবলমাত্র মৎস্যজীবীরা তা ব্যবহার করতে পারবেন না৷ তাঁরা দাবি তোলেন, এই ফতোয়া এবং মৎস্যজীবী স্বার্থবিরোধী ফরেস্ট আইন বাতিল করতে হবে, সুন্দরবনে একের পর এক মাছ ধরার ক্ষেত্র ছোট করা চলবে না৷
টাইগার প্রোজেক্টের অফিসের ফিল্ড ডাইরেক্টর মৎস্যজীবীদের দাবিগুলির প্রতি সহমত পোষণ করলেও জানান যে, কতকগুলি দাবির ক্ষেত্রে তাঁর কিছু করার নেই৷ তাঁর কথা শুনে মৎস্যজীবীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন৷ গোটা ক্যানিং মার্কেট পরিক্রমা করে মৎস্যজীবীরা ক্যানিং বিডিও এবং এসডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখান৷ এরপর তাঁরা ক্যানিং রেলস্টেশনের কাছে চৌরাস্তা অবরোধ করেন৷ ক্যানিং থানার সিআই ঘটনাস্থলে এসে নেতৃত্বের সাথে আলোচনা করেন৷ এরপর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়৷ মৎস্যজীবীদের এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এলাকায় সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের মধ্যে সমর্থন ও উৎসাহ–উদ্দীপনা চোখে পড়ে৷ আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন, প্রয়োজনে দিল্লি অভিযানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দেন৷