Breaking News

সিবিআই দপ্তরে তালা ঝোলালেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা

সিএফএসএল (সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি)-এর রিপোর্টে ইঙ্গিত রয়েছে আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের খুন সেমিনার রুমে নয়, অন্য কোথাও। অথচ কলকাতা পুলিশ ও সিবিআই একযোগে প্রমাণ করার জন্য সচেষ্ট হয়েছিল যে ঘটনা ঘটেছে সেমিনার রুমেই। খুন ও ধর্ষণের মতো ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত অপরাধীদের ধরার চেষ্টার বদলে একমাত্র দোষী হিসেবে সঞ্জয় রায়কেই চার্জশিট দিয়ে সিবিআই কলকাতা পুলিশের বয়ানেই সিলমোহর লাগিয়ে দায়িত্ব শেষ করে ফেলতে চাইছে।

সিবিআই-এর অপদার্থতার বিরুদ্ধে ২৪ ডিসেম্বর সল্টলেকে সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্সে মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার, সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম ও নার্সেস ইউনিটি সহ ১৩০টিরও বেশি নাগরিক সংগঠনের ডাকে বিক্ষোভ মিছিল হয়। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক ডাঃ বিপ্লব চন্দ্র, সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের কোষাধ্যক্ষ ডাঃ স্বপন বিশ্বাস, নার্সেস ইউনিটির সহ সম্পাদিকা সঞ্চিতা সূত্রধর, জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনের নেতা ডাঃ অনিকেত মাহাতো প্রমুখ।

শান্তিপূর্ণ মিছিল সিজিও কমপ্লেক্সের গেটে পৌঁছালে পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করে। পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। সিজিও কমপ্লেক্সের গেটে প্রতীকী তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্য পুলিশ তা খুলে দিলে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারপর আবার গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

এই প্রসঙ্গে মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক ডাঃ বিপ্লব চন্দ্র বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলছিলাম যে, সঠিকভাবে তদন্ত করে সত্য উদঘাটিত করতে হবে তার জন্য বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাই। পুলিশ একমাত্র সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল, সিবিআই তাতেই সিলমোহর দিয়েছে। আরও দু’জন অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেয়ে গেলেও সিবিআই নির্বিকার। সিএফএসএল-এর রিপোর্টে বিষয়টি আজ দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে, কলকাতা পুলিশের তদন্ত ও সিবিআই-এর তদন্ত মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। রাজ্য পুলিশ-সিবিআইয়ের অপদার্থতাকে ধিক্কার জানিয়ে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের কাছে কোনও স্মারকলিপি দিতে অস্বীকার করেন। তাঁরা বলেন, দরকার হলে ভবিষ্যতে আসল তালা তাদের গেটে ঝুলিয়ে দেবেন। অভয়ার ন্যায়বিচার পাওয়া অবধি তাঁদের আন্দোলন চলবে।