১২ ফেব্রুয়ারি অত্যাচারিত, সন্ত্রাসদীর্ণ সন্দেশখালির বিভিন্ন গ্রামে মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস-এর একটি প্রতিনিধি দল সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন অধ্যাপক গৌরাঙ্গ দেবনাথ, মল্লারিকা কুণ্ডু, চঞ্চল ঘোষ এবং সফিক আলি। স্থানীয় মানুষ, বিশেষত মহিলারা তাঁদের কাছে নির্যাতনের বিস্তারিত বর্ণনা দেন। তাঁরা বলেন, পুলিশ কোনও অভিযোগ শোনেনি, বরং অত্যাচারের প্রতিবাদ করার জন্য অনেককে গ্রেফতার করেছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সমগ্র সন্দেশখালিতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাতে এই সংবাদ বাইরের মানুষের কাছে না পৌঁছায়। সাংবাদিকদেরও গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাউকেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ সব বাধা সত্তেও, সিপিডিআরএস-এর প্রতিনিধি দল যখন মানুষের কাছে পৌঁছতে সক্ষম হয়, তখন বহু মহিলা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা বলেন দুষ্কৃতী বাহিনী প্রতি রাতে বাড়িতে বাড়িতে হুমকি দিচ্ছে। তাদের দিয়েজোর করে কাগজে সই করিয়ে বলানো হচ্ছে ‘কোনও অত্যাচার হয়নি’। পুলিশ যখন-তখন বাড়ি থেকে পুরুষদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা সিপিডিআরএস প্রতিনিধি দলকে এই খবর বাইরের মানুষকে জানানোর কথা বলেন। তাঁরা দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান এবং এলাকার শান্তি ফেরানোর দাবি করেন।