এসইউসিআই(সি) রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ৩১ জানুয়ারি বিবৃতিতে বলেন,
এ কথা পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণ জানেন, টাটার কারখানা করার নামে উর্বর কৃষিজমি ধ্বংসের বিরোধিতা করে সিঙ্গুরের চাষিরা বহু নির্যাতন সহ্য করে ঐতিহাসিক লড়াই করেছেন। রাজকুমার ভুল, তাপসী মালিকের মৃত্যুবরণের ইতিহাস বাংলার মানুষ ভুলতে পারে না। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জমিকে চাষের উপযোগী করে চাষিদের ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু, সরকারের পরিবর্তনের দশক পার হলেও সে জমি এখনও চাষের উপযোগী করা হয়নি, উপযুক্ত সেচের ব্যবস্থা করা হয়নি। এখানে উল্লেখ করা দরকার, টাটা প্রকল্পের আগে উক্ত জমিতে ৩টি সরকারি গভীর নলকূপ এবং ৮টি সরকারি ও ১৯টি ব্যক্তিগত অগভীর নলকূপ ছিল। উপযুক্ত সেচের জন্য কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরিবর্তে এখন সেই জমিতে মাছ চাষ করার জন্য মাটি খুঁড়ে ভেড়ি তৈরিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে সিঙ্গুরের চাষিদের আকাঙ্খাকে মর্যাদা দিয়ে উক্ত জমি চাষের উপযোগী করে প্রতিশ্রুতিমতো চাষিদের হাতে তুলে দিতে হবে।