প্রঃ আগের সব ভোটের মতো এবারের ভোটেও শাসক ও বিরোধী উভয়পক্ষের প্রতিশ্রুতি ‘কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন’। সিপিএম জোট তো ইস্তাহারে বলেছে, ‘এই বারে বাম চাই, চাকরির খাম চাই, সব হাতে কাজ চাই’। বিজেপির স্লোগান ‘আর নয় বেকারত্ব’। কিছুদিন আগে তারা ৭৫ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতিওয়ালা কার্ড বিলিও করে ফেলেছিল। আর তৃণমূল সরকার তো ক্ষমতায় আসার পর প্রায় প্রতি বছর শিল্প সম্মেলন করে ব্যাপক কর্মসংস্থানের স্বপ্ন ফেরি করে চলেছে। কিন্তু বাস্তবে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে। বিজেপি আমলে বেকারত্ব অতিমারির আগেই সারা দেশে ৪৫ বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ডে পৌঁছে গেছে। তা হলে কোন দলের বদলে কোন দলকে সরকারকে বসালে বেকার সমস্যার সমাধান হবে?
উঃ সরকার যে দলেরই হোক না কেন, মানুষের অভিজ্ঞতা বলছে, বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য এই দলগুলির সব প্রতিশ্রুতিই ভুয়ো। দলের কিছু কর্মী সমর্থকদের চাকরি দিতে পারলে দলে তাদের ধরে রাখতে সুবিধা হয়। তাতে ভোট রাজনীতিতেও সুবিধা দেয়। এ তো সহজ কথা। ফলে চাকরি দেওয়ার সুযোগ থাকলে তারা কিছু দেয়ও। কিন্তু কোটি কোটি বেকার যুবক-যুবতীর সমস্যা কি তাতে মিটবে? বাস্তবে সে সুযোগ কোথায়? চাকরি দিতে হলে গড়ে তুলতে হবে একের পর এক শিল্প। শিল্পায়নের মানে তো লাগাতার শিল্প গড়ে ওঠা। এখন কি ভারতের কোনও রাজ্যে শিল্পায়ন সম্ভব?
প্রঃ অর্থনীতিবিদ থেকে আমলা, দক্ষিণপন্থী দল থেকে সিপিএমের মতো বামপন্থী দল পর্যন্ত বলছে, জমি জটের জন্য পশ্চিমবঙ্গে বড় শিল্প আসেনি। সে জন্য হয়নি কোনও অনুসারী শিল্পও। সত্যিই কি জমিজট সমস্যা?
উঃ জমিজট কথাটা সারা দেশেই চালু আছে। শিল্পের জন্য জমি চাই এ কথা সত্য। কারণ শিল্প তো আকাশে হয় না। কিন্তু জমি পেয়েও শিল্পপতিরা ফেলে রেখেছে কেন? রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, ২০১৭ থেকে এ পর্যন্ত রাজ্যে ৫৮৩টি সংস্থাকে গড়ে ৫.৯ একর, অর্থাৎ ৬ একর করে জমি দেওয়া হয়েছে (আনন্দবাজার পত্রিকা : ১৮-০২-২০২১)। তারা কি কোথাও শিল্প করেছে? সিপিএম আমলে শোনা যেত রাজ্যে ৫৬ হাজারেরও বেশি কল-কারখানা বন্ধ। এখন তা আরও ১০ হাজার বেড়েছে। ২০১৯ সালের ২ জুলাই কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভায় জানিয়েছিল সারা ভারতে ৬ লক্ষ ৮০ হাজারেরও বেশি রেজিস্টার্ড কারখানা বন্ধ। মহারাষ্টে্র বন্ধ ১ লক্ষ ৪২ হাজার কারখানা, দিল্লির আশপাশ মিলিয়ে বন্ধ ১ লক্ষ ২৫ হাজার কারখানা। গুজরাটে বন্ধ ৩০ হাজারের বেশি। এ সব কারখানা আন্দোলনের জন্য বন্ধ হয়নি। এই সব কারখানার পড়ে থাকা জমি অধিগ্রহণ করে সরকার শিল্প করার সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন? স্পেশাল ইকনমিক জোন (সেজ)-এর জন্য অধিগ্রহণ করা ৫৯ হাজার একরেরও বেশি জমি অব্যবহৃত পড়ে আছে। শুধু গুজরাটেই সেজের জমি পড়ে আছে ১৫ হাজার ৬৪২ একরেরও বেশি। সরকার সেগুলি শিল্পপতিদের হাত থেকে ফিরিয়ে নিয়ে শিল্পের জন্য বিলি করেনি কেন? সেগুলিতেও শিল্প হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধ কারখানার জমি ছাড়াও অনুর্বর এবং এক ফসলি জমিতে শিল্প হতে পারে। অনুর্বর এলাকার চাষি এবং জমিতে বসবাসকারি সমস্ত পরিবারকে উপযুক্ত দাম, জীবন-জীবিকার গ্যারান্টি সহ সঠিক পুনর্বাসন দিলে, শিল্পে নিয়োগের সুযোগ দিলে তারা জমি দেবে না এমন কথা শোনা যায়নি। বরং জমি পেয়েও শিল্পপতিরা শিল্প গড়েনি তার উদাহরণই বেশি। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে দেখা গেছে বেশিরভাগ শিল্পপতির জমি নিতে যতটা আগ্রহ ছিল, শিল্প গড়তে তার কানাকড়ি পরিমাণও দেখা যায়নি। সমস্যাটা অন্য জায়গায়, সরকার চাষি এবং জমিতে বসবাসকারি মানুষের নূ্যনতম দাবিও না মেনে গায়ের জোরে জমি দখল করে তা শিল্পপতিদের ভেট দিতে চায়। এ ক্ষেত্রে প্রতিরোধ হবেই। দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিল্পায়নের নামে বেশি বেশি জমি ওরা পেতে চায় জমি বেচার কারবারের জন্য বা ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরির জন্য। শিল্পায়নের ধুয়ো তুলে এ হল জমি হাতানোর এক ধূর্ত কৌশল।
প্রঃ আরেকটা কথাও চালু যে, শ্রমিক আন্দোলনের জন্য বাংলা থেকে শিল্প চলে যাচ্ছে। বা এখানে শিল্প আসছে না। কথাটি কি সত্য?
উঃ একদমই ঠিক নয়। ১৯৭০ সালের পর থেকে গত ৫০ বছর ধরে রাজ্যে শ্রমিক আন্দোলন অত্যন্ত দুর্বল। বিশেষ করে ১৯৭৭ সালে সিপিএম ক্ষমতাসীন হওয়ার পর এ রাজ্যের সিপিএম-সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠনগুলি শ্রমিক আন্দোলনকে আবেদন নিবেদনের গণ্ডিতে বেঁধে রেখেছিল। আর তৃণমূলের ১০ বছরের শাসনে ধর্মঘটের পায়ে বেড়ি পরানো হয়েছে। ধর্মঘটের জন্য শ্রমিকদের বেতন কাটার ফতোয়া জারি হয়েছে। যার বিরুদ্ধে সিটু, এআইটিউসি-র মতো আপসকামী অথচ বহরে বড় ট্রেড ইউনিয়নগুলি দাঁড়াতেই পারেনি। ফলে ধর্মঘট কোথায়? শিল্পে এখন তো একতরফা শান্তি, কেবল মালিকের শান্তি। আর মোদি সরকার তো শ্রম আইন সংস্কার করে ইউনিয়ন করার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ধর্মঘটকেও নানা শর্তের কাঁটায় বেঁধে ফেলেছে। বাস্তবে কোনও রাজ্যেই শক্তিশালী শ্রমিক আন্দোলন নেই। সরকার এবং সরকারপন্থী আপসকামী ট্রেড ইউনিয়ন মিলে শ্রমিক আন্দোলনে লাগাম পরিয়েছে। শিল্পপতিদের দাবি মতোই সরকার এসব করেছে। ফলে তারা খুশি। এরই পাশাপাশি সরকার প্রায় বিনাসুদে ঋণ, বিনামূল্যে জল, স্বল্পমূল্যে বিদ্যুৎ, ট্যাক্স ছাড়, রাস্তা সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো গড়ে দেওয়া ইত্যাদি সবই করে দিয়েছে। তা সত্তে্বও শিল্প আসছে না। ফলে শ্রমিক আন্দোলনকে দায়ী করা সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচার।
প্রঃ শিল্পপতিরা বলে থাকেন, লাল-ফিতের ফাঁস বা নিয়মের কড়াকড়ি শিল্পায়নের গতিকে শ্লথ করে। কথাটা কি ঠিক?
উঃ লাল ফিতের ফাঁস এখন কোথায়? সরকার এখন পরিবেশের কোনও তোয়াক্কা না করে সহজেই শিল্পের ছাড়পত্র দিয়ে দেয়। আসলে ‘লাল ফিতের ফাঁস’ প্রসঙ্গটি তুলে শিল্পপতিরা চায় পরিবেশ সংক্রান্ত, বা শ্রমিকের জন্য দুর্ঘটনা থেকে সুরক্ষা, চিকিৎসা, কাজের জায়গায় নূ্যনতম মানবিক ব্যবস্থা রাখা ইত্যাদি যে সমস্ত এখনও আছে, সেগুলি তুলে দেওয়া হোক। যার অর্থ হল পুঁজিপতিরা শিল্প থেকে যেমন খুশি মুনাফা লুটবে, কিন্তু শিল্পের জন্য যে পরিবেশ দূষণ ঘটবে, তাতে শ্রমিক এবং এলাকার সাধারণ মানুষের জীবন সংশয় হলেও তারা কোনও দায় নেবে না। এটা কি কোনও কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন মানুষ মেনে নিতে পারে? আসলে লাল ফিতের ফাঁস, জমিজট বা শ্রমিক আন্দোলন এসব বিষয় তুলে শিল্প সংকটের মূল কারণকেই আড়াল করার চেষ্টা চলে।
প্রঃ শিল্পসংকটের মূল কারণ কী?
উঃ বাজারসঙ্কট। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার অভাব। বর্তমানে খাদ্যপণ্য, শিক্ষা, চিকিৎসার খরচ ইত্যাদি এত বেশি যে, সিংহভাগ মানুষের শিল্পপণ্য কেনার সামর্থ্য নেই। অর্থনীতির গবেষকরা দেখাচ্ছেন, গ্রামাঞ্চলে ভোগ্যপণ্য বিক্রি সংকুচিত হয়েছে ৬৬ শতাংশ। কৃষক পরিবারে ডাল-রাজমা-দুধ-মাছ ফল ইত্যাদি পুষ্টিকর খাদ্যের ব্যবহার কমেছে ২০ শতাংশের বেশি (সূত্র : ডাউন টু আর্থ, ৩ এবং ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০)। আমেরিকার ‘পিউ রিসার্চ ফাউন্ডেশন দেখাচ্ছে, কোভিড মন্দার পর ভারতে গরিব এবং নিম্ন আয়ের মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৯ কোটি। মধ্যবিত্ত মাত্র ৮ কোটি ২০ লক্ষ এবং উচ্চ আয়ের মানুষ মাত্র ২০ লক্ষ। ১৩৮ কোটি জনসংখ্যার দেশে মাত্র এই শেষোক্ত ৮ কোটি ৪০ লক্ষ লোকের কিছু ভোগ্যপণ্য কেনার ক্ষমতা আছে। এইটুকু ক্রয়ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে কি শিল্পায়ন হতে পারে? জনগণের এই আর্থিক দুর্দশা তৈরি হয়েছে এবং বেড়ে চলেছে পুঁজিবাদের শোষণ-বঞ্চনার নিয়মেই। এই কোভিড মহামারির মধ্যেই যখন দেশের বেশিরভাগ মানুষের আয় বিপর্যস্ত তখন এ দেশের ধনকুবেরদের আয় বিপুল হারে বেড়েছে। সাধারণ মানুষের সৃষ্ট সম্পদ লুঠ করেই রমরমা হয়েছে তাদের। ফলে অধিকাংশ মানুষ রিক্ত-নিঃস্ব হয়ে গেছে। যেটাই শিল্পের অগ্রগতির সামনে মন্দার অনিরসনীয় সঙ্কট তৈরি করেছে। এই মন্দা কাটার ব্যবস্থা না করে শুধু প্রতিশ্রুতি দিলেই তো শিল্প হয় না। হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বছরে দু’কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারলেন না, সেটা এই কারণে। তৃণমূলও সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া চাকরির খোঁজ পায়নি এ জন্যই। বামফ্রন্ট সরকারও যে ৩৪ বছর রাজ্যে ক্ষমতায় থেকে বেকার বাড়িয়েই গেছে তা এই কারণেই। তারা তাদের আসল প্রভু পুঁজিপতিদের স্বার্থে এই সত্যটা মানুষকে বলেনি। বরং পুুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে আড়াল করতে অন্য কোনও মনগড়া কারণকে সামনে এনেছে, আর জমি রক্ষার আন্দোলনকে শিল্প বিরোধী বলে দাগিয়ে দিয়েছে।
প্রঃ তা হলে কি সরকার শিল্প করার চেষ্টা করবে না?
উঃ অবশ্যই করবে। সর্বাধিক যতটুকু চাকরি দেওয়া সম্ভব সেটা সরকারকে করতে হবে। কিন্তু ব্যাপক শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের বন্যা বয়ে যাবে এই প্রতিশ্রুতি মিথ্যা। এ লোকঠকানো। কর্মসংস্থানেরপ্রশ্নটি গুরুত্ব দিয়ে ভাবলে সরকারকে প্রথমত, সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংস্থায় শূন্যপদ অবিলম্বে পূরণ করতে হবে, যা সরকার করছে না। দ্বিতীয়ত, সরকারকে পদ বিলোপনীতি বাতিল করতে হবে। তৃতীয়ত, শ্রম আইনের মধ্য দিয়ে যে ছাঁটাই নীতি বিজেপি সরকার সহজতর করেছে তা বাতিল করতে হবে, চতুর্থত, সমস্ত বন্ধ কারখানা খুলতে প্রয়োজনে অধিগ্রহণ করে সরকারের উদ্যোগে তা চালাতে হবে, পঞ্চমত, অনুর্বর পতিত জমিতে, এক-ফসলি জমিতে শিল্প করতে হবে। শিল্প করার নামে কৃষক উচ্ছেদ করে বেকার বাড়ানো চলবে না।
প্রঃ বিজেপি এবং সিপিএম উভয়ই বলছে, সিঙ্গুরে একটা সম্ভাবনাময় শিল্পের অপমৃত্যু হল?
উঃ ওরা আগে উত্তর দিক সিঙ্গুর থেকে গুজরাটের সানন্দে ন্যানো কারখানা যাওয়ার পর সেখানকার অবস্থা কী? কেন সেখানে গাড়ি উৎপাদন বন্ধ? ক’জন সেখানে চাকরি পেয়েছিল? আর কতজন জীবিকাচ্যুত হয়ে উচ্ছেদ হয়েছে? সানন্দে যে ন্যানো কারখানা হল, কেন তাতে আজ লালবাতি জ্বলছে? শুধু ন্যানো কেন, জামসেদপুরে টাটার ইস্পাত কারখানাতেও উৎপাদন শক্তিকে অলস করে রাখছে। উৎপাদনের শিফট কমাতে হচ্ছে। চাহিদা তলানিতে। এই চাহিদার সঙ্কটই শিল্পের সঙ্কট। এটাকে বুর্জোয়া দলগুলি আড়াল করতে পারে। বামপন্থীরা করবে কেন? মিথ্যার আশ্রয়ে সিঙ্গুর নিয়ে ভাবালুতা আর কতদিন চলবে?
প্রঃ তা হলে পুঁজিবাদের এই মুমূর্ষু স্তরে শিল্পায়ন কর্মসংস্থানের যে সঙ্কট তার সমাধান কোথায়?
উঃ পুঁজিবাদের এই মুমূর্ষু স্তরে আঠারো-উনিশ শতকের মতো ব্যাপক শিল্প হতে পারে না। বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত একটা দুটো শিল্প এখানে সেখানে হতে পারে। এ যুগে শিল্পপতিরা শ্রমিকনির্ভর শিল্প বন্ধ করে যন্ত্রনির্ভর শিল্প গড়ায় খুবই তৎপর। কারণ তাতে পুঁজিপতিদের মুনাফা বাড়ে বিপুল হারে, কিন্তু সঙ্কুচিত হয় কাজের সুযোগ। এই যে সমস্যা– এর সমাধান পুঁজিবাদী রাস্তায় নেই। সেজন্যই তো পুঁজিবাদ উচ্ছেদের সংগ্রাম। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের সংগ্রাম। এই কঠিন কিন্তু অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজটি বাদ দিয়ে হবে না। কাজেই নির্বাচনে অতীতের মতো যে যতই চাকরির প্রতিশ্রুতি দিক, সেগুলি সবই ভাঁওতা হতে বাধ্য। এইসব ফাঁকা প্রতিশ্রুতিতে না ভুলে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের সামনে যে পুঁজিবাদ পাহাড়প্রমাণ বাধা হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে তার বিরুদ্ধে যথার্থ আন্দোলনকারী দলকেই ভোট দিয়ে শাক্তিশালী করতে হবে। তাদেরই জয়ী করতে হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই এসইউসিআই(সি) রাজ্যে ১৯৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।