সরকারি চিকিৎসকদের এম ডি/ এম এস পড়ার ক্ষেত্রে সার্ভিস কোটা বাতিলের চক্রান্তের বিরুদ্ধে ১ জুলাই কলকাতার মৌলালি যুবকেন্দ্রে একটি কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়৷ বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত, বিশিষ্ট সমাজসেবী অধ্যাপিকা মীরাতুন নাহার, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক তরুণ নস্কর, প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ তরুণ মণ্ডল, মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্র প্রমুখ৷ কনভেনশনে শতাধিক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন৷
সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সজল বিশ্বাস সহ বক্তারা প্রত্যেকেই বলেন– পশ্চিমবঙ্গের ৮০ ভাগ মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল৷ এই স্বাস্থ্যব্যবস্থা টিকে রয়েছে সরকারি চিকিৎসকদের উপরেই৷ বহু বছর ধরে এ রাজ্যে সরকারি চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে এম ডি/এম এস/ডিপ্লোমা পড়ার ক্ষেত্রে সার্ভিস কোটার সুযোগ রয়েছে৷ নতুন পাশ করা ডাক্তাররা অনেকেই এই সুযোগের আশায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে চাকরিতে যোগ দেন৷ এই সুযোগ তুলে নিলে ডাক্তারদের সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার প্রবণতা কমবে৷ অন্যদিকে রাজ্যে আজ গ্রামীণ অঞ্চলে ৯৩ ভাগ বিশেষজ্ঞের পদই ফাঁকা পড়ে রয়েছে৷ বিশেষজ্ঞের অভাবে জেলার মেডিকেল কলেজ সহ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালগুলি ধুঁকছে৷ সরকারি ডাক্তারদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেলে অদূর ভবিষ্যতে বিশেষজ্ঞের অভাব আরও বাড়বে৷ ভেঙে পড়বে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা৷ দরিদ্র সাধারণ মানুষ হারাবে চিকিৎসার অধিকার ও সুযোগ৷
পার্থসারথি সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘কোনও সরকার যদি মনে করে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালানোর জন্য ডাক্তারদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া দরকার তা হলে প্রয়োজনে তার জন্য বিশেষ আইনও পাশ করাতে পারে৷’ প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ তরুণ মণ্ডল বলেন, সরকার আজ জনস্বার্থ বিরোধী স্বাস্থ্যনীতি প্রয়োগ করে যেভাবে সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার বেসরকারিকরণ করছে, তার জন্য সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামোর ঘাটতি, ডাক্তার নিগ্রহের মতো ঘটনা লাগাতার ঘটছে৷ উচ্চশিক্ষার সুযোগ কেড়ে নেওয়া তারই অঙ্গ বিশেষ৷