দেশের গণতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন বহু মানুষের আপত্তি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামমন্দিরের শিলান্যাস করলেন এবং দিনটিকে স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে তুলনা করলেন৷ বললেন, ১৫ আগস্ট ও রামমন্দিরের শিলান্যাসের দিন ৫ আগস্ট একই রকম তাৎপর্যপূর্ণ৷
কোন অর্থে এটা স্বাধীনতা সংগ্রাম? মসজিদ ভাঙার জন্য, না মন্দির গড়া? প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেননি৷ কিন্তু তাঁর দলের স্লোগানকে অনুসরণ করে বুঝে নেওয়া যায়, মসজিদ ভাঙাটাই তাঁদের কাছে স্বাধীনতা সংগ্রাম তা হলে তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবেই, তিনি যে দেশের প্রধানমন্ত্রী তাতে নয় নয় করেও যতটুকু আধুনিকতা, গণতন্ত্র টিকে আছে, যতটুকু আইনের শাসন টিকে আছে, সেই আইনেই একটা ৫০০ বছরের প্রাচীন সৌধকে ধ্বংস করা আজও মারাত্মক অপরাধ৷ সেই অপরাধকে ঢেকে দিয়ে মন্দির তৈরির রায় যে কেউ দিয়ে থাকুন না কেন, ভাঙাটা চরম বেআইনি কাজ বলেছে দেশের সুপ্রিম কোর্টই৷ তা হলে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি কি এই ইঙ্গিতই দিলেন, আইন, সংবিধান, গণতন্ত্র, সব তাঁদের পকেটে? আর হিন্দু ধর্মের কথা যদি বলেন, তা হলে বলতে হয় বিবেকানন্দের চিন্তাও তাঁদের কাজকে সমর্থন করে না৷ বিবেকানন্দ মুসলিম শাসনকে বিদেশি শাসন মনে করতেন না৷ বলতেন, শাজাহানকে বিদেশি বললে কবরে পাশ ফিরে শুয়ে তিনি দেখবেন কোন আহাম্মক এমন কথা বলে৷ বলতেন, ইসলামিক শাসনের ভিত্তি ছিল এ দেশেই৷ তা হলে ধর্মের নিরিখেও তো এ কথা চলে না চৈতন্যদেব, থেকে রামকৃষ্ণ কারও চিন্তাতেই এই বিষাক্ত ‘হিন্দুত্ববাদী’ আস্ফালনের সন্ধান মিলবে না৷ এমনকী রামচরিত মানস রচয়িতা তুলসিদাসের লেখাতেও রাম মন্দির ভেঙে বাবরি মসজিদ তৈরি হয়েছিল সে কথা পাওয়া যাবে না৷ তবে কি সাভারকর, গোলওয়ালকরদের মতো আরএসএস নেতা যাঁরা মুসলিম বিরোধী জিগির তুলে মানুষকে ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতেন, নিজেরা ব্রিটিশের কাছে দাসখত লিখে দিতেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্রের মতো সংগ্রামীদের প্রতিক্রিয়াশীল বলতেন, তাঁদের মতো ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী?
তিনি জানুন বা না জানুন এই ভারত নামে দেশটা যতটুকু আধুনিক রাষ্ট্র হয়ে উঠতে পেরেছে, তার জন্য ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান আছে হিন্দু–মুসলমান–শিখ-খ্রিস্টান নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষের৷ যাঁরা নিঃশেষে প্রাণ বলিদান দিতে গিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন সাম্প্রদায়িকতা, কুসংস্কার, কূপমণ্ডুকতা মুক্ত ভারতের৷ এই ভারতের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে অবদান আছে অসংখ্য ধর্ম–বর্ণ–সম্প্রদায়ের মানুষের৷ প্রধানমন্ত্রী কোন অধিকারে তাকে অস্বীকার করতে পারেন?
এ কথা ঠিক, রাম মন্দির তৈরির পরিকল্পনাকে সামনে রেখে যে কার্যকলাপ প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর দলবল দেশজুড়ে গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে চালিয়েছেন তার ফলেই বিজেপি এক প্রান্তিক শক্তি থেকে আজ ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছতে পেরেছে৷ তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শিলান্যাসের দিনটিকে দেশের স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে তুলনা করলেন কোন বিচারে? স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাথে করসেবকদেরই বা তুলনা করলেন কী করে?
প্রায় দুশো বছরের ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে শত–সহস্র দেশবাসী যে কঠিন সংগ্রাম করেছেন, ব্রিটিশ শাসকদের নির্মম অত্যাচার সহ্য করেছেন, জেলে গিয়েছেন, দ্বীপান্তরে গিয়েছেন, ফাঁসিতে প্রাণ দিয়েছেন, তা দেশের ইতিহাসে তুলনাহীন ঘর–সংসার, ব্যক্তিগত চাওয়া–পাওয়া, নাম–যশ–প্রতিষ্ঠা কোনও কিছুর তাঁরা পরোয়া করেননি– নিঃশেষে আত্মবলিদান দিয়ে গেছেন৷ বিনিময়ে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন এমন এক দেশ যেখানে ধনী–দরিদ্রের বৈষম্য থাকবে না, শোষণ–লুণ্ঠন–অত্যাচার থাকবে না, দারিদ্র–অনাহার–হাহাকার থাকবে না, অশিক্ষা থাকবে না, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু থাকবে না৷ সাম্প্রদায়িক সংঘাত থাকবে না, জাত–বর্ণের বিভেদ থাকবে না৷ তাঁরা গড়তে চেয়েছিলেন জাত–ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ এক সুখী ভারতবর্ষ৷ তাঁদের সে স্বপ্ন সফল হয়নি৷ দেশের পুঁজিপতি শ্রেণি ব্রিটিশ শাসকদের সাথে যোগসাজশে দেশের মানুষের সংগ্রামের সমস্ত ফসলকে আত্মসাৎ করে শাসন ক্ষমতার দখল নিয়েছে এবং মানুষের উপর চাপিয়ে দিয়েছে এক শোষণমূলক পুঁজিবাদী শাসনব্যবস্থা৷ সে আর এক ইতিহাস৷
রামমন্দির তৈরির দাবিতে যে অজস্র হিংসা এবং দাঙ্গা গত কয়েক দশক ধরে বিজেপি–আরএসএস নেতারা দেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন, যার বলি হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ, তাকেই কি প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করলেন? রামমন্দির তৈরি কি ধর্ম–বর্ণ–প্রদেশ নির্বিশেষে সারা দেশের মানুষের দাবি ছিল? মন্দির নির্মাণের দ্বারা মানুষের খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসার মতো মৌলিক দাবিগুলির কোনও একটিরও কি সমাধান হতে পারে? তা যদি না হয় তবে উভয়ের মধ্যে তুলনা টেনে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার তাৎপর্যের এবং একই সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মর্যাদাকে অনেকখানি নামিয়ে আনলেন না কি? বরং দেশজুড়ে এই ধর্মীয় জিগির এবং সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি গড়ে তোলার দ্বারা মানুষের জীবনের মৌলিক দাবিগুলি পিছনে চলে গেল এবং অনেক সীমাবদ্ধতা, অনেক আপস সত্ত্বেও স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে দেশে যতটুকু জাতীয় সংহতি গড়ে উঠেছিল, দেশের মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষের উপাসনার স্বাধীনতাকে অগ্রাহ্য করে সৌভ্রাত্র এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করলেন এবং স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন হিসাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে ধর্মনিরপেক্ষতার যে শপথ উচ্চারিত হয়েছিল, বিজেপি–আরএসএসের নেতৃত্বে এই মন্দির নির্মাণ আন্দোলন তাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করল৷
বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি সংবিধান মেনে প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়েছিলেন৷ সেই সংবিধানের প্রস্তাবনায় দেশের সকল নাগরিকের বিশ্বাস, ধর্ম ও উপাসনার স্বাধীনতার নিশ্চয়তার কথা বলা আছে৷ সকল নাগরিকের সৌভ্রাত্র প্রসারিত করার জন্য জাতীয় ঐক্য ও সংহতি নিশ্চিত করার কথা বলা আছে৷ সর্বোপরি ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তোলার জন্য সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথ গ্রহণ করার কথা বলা আছে৷ অন্তত আইনত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদীকেও সেই শপথ নিতে হয়েছিল৷ প্রধানমন্ত্রী উগ্র হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনগুলির দ্বারা পরিচালিত চরম হিংসাত্মক কার্যকলাপের পরিণতিতে পাঁচশো বছরের পুরনো ঐতিহাসিক স্থাপত্য বাবরি মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া স্থানে রামমন্দিরের শিলান্যাস করার দ্বারা সংবিধানের নামে নেওয়া তাঁর শপথকেই তো লঙঘন করলেন৷
সারা দেশ আজ করোনা মহামারিতে আক্রান্ত৷ দেশের মানুষ এক জীবন–মরণ লড়াইয়ে ব্যস্ত৷ রোগের পরীক্ষা হচ্ছে না, হাসপাতালে বেড নেই, রোগীরা প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছে না৷ কোটি কোটি মানুষ কাজ হারিয়ে দু’বেলা কী খাবে, কী করে সংসার চালাবে ভেবে পাচ্ছে না৷ অথচ ঠিক এই সময়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামমন্দির নির্মাণের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী৷ এর দ্বারা কি তিনি উৎকণ্ঠিত বঞ্চিত দেশবাসীর প্রতি তাঁর সীমাহীন অবহেলাকেই প্রকট করলেন না? এবং অন্য দিকে দেশের আইন–কানুনের প্রতি, রীতিনীতি–ঐতিহ্যের প্রতি তাঁর চরম অবজ্ঞাই প্রকাশ করলেন না?
প্রাচীন বাবরি মসজিদ ভেঙে মন্দির তৈরির কর্মসূচিকে রাষ্ট্রীয় ভাবনার বাস্তবায়ন বলে প্রধানমন্ত্রী আসলে মুসলিমদের উপর হিন্দু আধিপত্য কায়েমকেই বোঝাতে চেয়েছেন৷ যদিও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তথা সরকার, প্রশাসন, প্রচারযন্ত্রকে ব্যবহার করে এবং বিপুল অর্থব্যয়ে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিকে যতই হিন্দুত্বের জয় বলে প্রচার করুন, কোনও সৎ ধার্মিক মানুষই আগ্রাসী, সাম্প্রদায়িক, উগ্র হিন্দুত্বের এই কার্যকলাপকে সমর্থন করে না৷ শুধুমাত্র ভোটের দিকে তাকিয়ে, হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক তৈরির উদ্দেশ্যেই বিজেপি–আরএসএস নেতারা এ ভাবে একের পর এক মিথ্যা প্রচার করে যাচ্ছেন৷
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের ভূমিকার কথা উল্লেখ না করলে বিজেপির পক্ষে এমন দেশের ঐতিহ্য বিরোধী, মানুষের স্বার্থ বিরোধী কার্যকলাপ ঘটানো কী করে সম্ভব হল তা বোঝা যাবে না৷ স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকেই কংগ্রেসের আপসকামী অংশ মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক পথে সংগ্রামের পরিবর্তে ধর্মের সাথে আপসের পথই নিয়েছিলেন৷ স্বাধীনতার পরেও কংগ্রেস নরম হিন্দুত্বের পথেই চলতে থাকে৷ রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক তৈরির উদ্দ্যেশ্য দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা বাবরি মসজিদের তালা খুলে দিয়ে হিন্দুদের পুজোর ব্যবস্থা করে দেয়৷ এরই পরিণতিতে বিজেপি–আরএসএস নেতৃত্ব উগ্র হিন্দুত্ববাদী মনোভাব উস্কে তুলে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে এবং মন্দির তৈরির পরিকল্পনা করে৷ মসজিদ ধ্বংসের সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারে কংগ্রেস থাকা সত্ত্বেও তা প্রতিরোধে কংগ্রেস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি৷ ভারতের মতো বহু ধর্মবিশিষ্ট একটি দেশে এই সাম্প্রদায়িক কর্মসূচিকে প্রতিহত করাই যেখানে যে–কোনও গণতান্ত্রিক দল এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হওয়া উচিত সেখানে এবারও দেখা গেল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, কেন্দ্রীয় নেতা থেকে রাজ্য নেতা সকলেই রামভজনায় মেতে উঠলেন৷ কেউ রুপোর ইটের প্রতিশ্রুতি দিলেন তো কেউ আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করলেন৷ অর্থাৎ হিন্দু ভোট হারানোর ভয়ে কংগ্রেস নেতারা তাঁদের ধর্মনিরপেক্ষতার আলখাল্লাটি ছুঁড়ে ফেলে নিজেদের পুরোপুরি বেআব্রু করে দিলেন৷ এই কংগ্রেসের মধ্যেই দেশের সংসদীয় বামপন্থীদলগুলি আজও সেকুলারিজম খুঁজে বেড়াচ্ছে৷ বিজেপি–আরএসএসের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের একটা শক্তি বলে মনে করছে৷
বাস্তবে বিজেপি নেতাদের আজ জনগণকে দেওয়ার মতো কিছু নেই৷ যে সব প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছিল, বেকারদের কাজ, কালোটাকা উদ্ধার করে সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তা পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি কোনওটাই যে হবার নয়, তা মানুষ বুঝে গেছে৷ তাদের আজ এমন কোনও রাজনৈতিক–অর্থনৈতি কর্মসূচি নেই যা সফল করার মধ্য দিয়ে তারা মানুষের সমর্থন আদায় করতে পারে৷ তাই ধর্মই তাদের শেষ আশ্রয়৷ ধর্মকে কাজে লাগিয়ে, ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের ধর্মের প্রতি আবেগকে কাজে লাগিয়ে ভোটব্যাঙ্ক তৈরিই তাদের এই সমস্ত কর্মকাণ্ডের একমাত্র উদ্দেশ্যে৷ এর সঙ্গে যেমন ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই, তেমনই রামের প্রতি ভক্তি–শ্রদ্ধারও কোনও সম্পর্ক নেই৷ কিন্তু পুঁজিবাদী শাসনে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি, ছাঁটাই, অশিক্ষা, চিকিৎসাহীনতা প্রভৃতি আক্রমণগুলি মানুষের জীবনকে আজ জেরবার করে দিচ্ছে৷ জীবনের এই মৌলিক সমস্যাগুলিকে ধর্মের মোহ দিয়ে বেশি দিন ঢেকে রাখা যাবে না৷ দেশজোড়া অর্থনীতির প্রবল দুরবস্থাকে কেন্দ্র করে, ব্যাপক বেসরকারিকরণ এবং সেই কারণে ব্যাপক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে, করোনার বিপন্নতাকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের যে বারুদ জমা হচ্ছে তা যে কোনও সময় বিক্ষোভের আকারে ফেটে পড়বে৷ কোনও প্রতিক্রিয়ার শক্তি তাকে রুখতে পারবে না৷ আজ জরুরি হল, সেই বিক্ষোভগুলিকে সঠিক নেতৃত্বে সংগঠিত করার মধ্য দিয়ে ব্যাপক গণআন্দোলনের রূপ দেওয়া৷ তার জন্য গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন প্রতিটি সচেতন মানুষকে আজ এগিয়ে আসতে হবে৷