২৩ অক্টোবর সাঁত্রাগাছি স্টেশনের ফুট ওভারব্রিজে পদপিষ্ট হয়ে দুই জনের আকস্মিক অকালমৃত্যু ঘটেছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে ২৫ অক্টোবর এস ইউ সি আই (সি) হাওড়া সদর শাখার পক্ষ থেকে ডিওএম (ডিভিশনাল অপারেশন ম্যানেজার)–কে ডেপুটেশন দেওয়া হয়৷
সাঁত্রাগাছি স্টেশন থেকে অনেকগুলি দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়ে এবং বেশিরভাগ দূরপাল্লার ডাউন ট্রেন এখানে থামে৷ এর ফলে বিপুল সংখ্যক যাত্রী সাঁত্রাগাছি স্টেশনে ওঠানামা করেন৷ এর সঙ্গে রয়েছেন হাজার হাজার লোকাল ট্রেনের যাত্রী যাঁরা প্রতিদিন ওই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন৷ উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার আগেই এখান থেকে দূরপাল্লার ট্রেনগুলি চলাচল করছে৷ এই যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ‘একটি ফুল’ ও ‘একটি হাফ’ ফুট ওভারব্রিজ, যা এই বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের যাতায়াতের পক্ষে যথেষ্ট নয়৷ এই কারণেই যে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, রেলকর্তৃপক্ষ তা কোনও মতেই অস্বীকার করতে পারে না৷
সাঁত্রাগাছি স্টেশনে রেল পুলিশের (আরপিএফ) একমাত্র কাজ হল যে সমস্ত যাত্রী দ্রুত বাস ধরার জন্য রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করেন বা ভুলবশত হ্যান্ডিক্যাপড বগিতে উঠে পড়েন তাঁদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা ফাইন হিসাবে আদায় করা৷
ডেপুটেশনে দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পদপিষ্ট হয়ে যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারের একজনকে স্থায়ী কাজ, আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব রেল প্রশাসনকে নিতে হবে, স্টেশনে বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের সুষ্ঠুভাবে যাতায়াতের জন্য একাধিক প্রশস্ত ফুট ওভারব্রিজ তৈরি, সাঁত্রাগাছি স্টেশন থেকে দূরপাল্লার ট্রেনগুলি যাওয়া বা আসার সময় এমন ভাবে নির্দিষ্ট করতে হবে যাতে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন একই সময়ে না পৌঁছায়, সাঁত্রাগাছি স্টেশনে যাত্রী ও হকারদের উপর রেলপুলিশের জুলুম বন্ধ করতে হবে৷
ডিওএম জানান, দাবির বেশ কিছু বিষয়ে তাঁরা ব্যবস্থা নিয়েছেন, বাকি বিষয়গুলিও বিবেচনা করবেন৷
(৭১ বর্ষ ১২ সংখ্যা ২ – ৮ নভেম্বর, ২০১৮)