Breaking News

‘‘সর্বহারা সংস্কৃতিগত মান আয়ত্ত করা ব্যতিরেকে বিপ্লবী তত্ত্ব বিচারের ক্ষমতা সঠিকভাবে অর্জন করা সম্ভব নয়’’– শিবদাস ঘোষ

৫ আগস্ট মহান মার্ক্সবাদী চিন্তানায়ক কমরেড শিবদাস ঘোষের ৪৯তম স্মরণদিবস। এই উপলক্ষে তাঁর অমূল্য শিক্ষা থেকে একটি অংশ প্রকাশ করা হল।

দল বিচারের ক্ষেত্রে এই দিকটিকে আমাদের দেশে অনেকে লক্ষই করেন না। আর, যাঁরা করেনও, তাঁরাও এটাকে অনেকটা নগণ্য ভাবে দেখেন। অথচ দল বিচার ও বিপ্লবী তত্ত্ব বিচারের ক্ষেত্রে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, যে কমিউনিস্ট পার্টি বিপ্লব করবে সে যদি নিম্নতম সংস্কৃতির শিকার হয় তা হলে তার দ্বারা কোনও দিনই বিপ্লব হতে পারে না। মার্ক্স একটা কথা বলেছেন, ‘টু চেঞ্জ দি ওয়ার্লড, ওয়ার্কার্স উইল হ্যাভ টু চেঞ্জ দেমসেলভস ফার্স্ট।’–অর্থাৎ শ্রমিকরা একমাত্র তখনই দুনিয়াকে পরিবর্তন করতে পারে যখন তারা নিজেদের জীবনকে পরিবর্তিত করতে সক্ষম হয়। এই কথার মানে হচ্ছে, শ্রমিকরা চায় বলেই বা কতগুলো বিপ্লবী বুলি আওড়ানো শিখলেই দুনিয়ার পরিবর্তন আনতে পারে না। যে শ্রমিকরা দুনিয়াকে পরিবর্তন করবে, আগে তাদের নিজেদের জীবনকে পরিবর্তিত করতে হবে।

কেন মার্ক্স এ কথা বলেছিলেন? মার্ক্সের এ ভাবে বলার প্রয়োজন কী ছিল? মার্ক্স তো বলতে পারতেন যে, শ্রমিকরা তাদের বিদ্যাবুদ্ধিগত ক্ষমতার দ্বারা অথবা দৈনন্দিন সংগ্রামগুলোর মধ্য দিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের মারফত যদি একসময় কতগুলো বিপ্লবী স্লোগান ও তত্ত্বকথা আওড়াতে পারে, তা হলেই তারা বিপ্লবটাকে কার্যকরী ভাবে রূপ দিতে পারবে। না, তা কখনও সম্ভব নয়। কারণ উন্নততর সংস্কৃতিগত মান অর্থাৎ সর্বহারা সংস্কৃতিগত মান আয়ত্ত করা ব্যতিরেকে বিপ্লবী তত্ত্ব বিচারের ক্ষমতাকেই সঠিকভাবে অর্জন করা যায় না এবং বিপ্লবী তত্ত্বও সঠিকভাবে উপলব্ধি করা যায় না। এই কারণেই বিপ্লবী রাজনীতিকে কার্যকরীভাবে রূপ দেওয়া মানেই হচ্ছে বাস্তবে জীবনটাকেই পরিবর্তিত করা লক্ষ লক্ষ মানুষকে এই বিপ্লবের মধ্যে জড়িত করে। আর, এটার জন্য দরকার, প্রতিটি বিপ্লবের পূর্বে তার প্রয়োজনীয় সাংস্কৃতিক বিপ্লব। অথচ, যাঁরা এই সংস্কৃতিগত ক্ষেত্রে বিপ্লব আনবেন, দলের সেই নেতা ও কর্মীরা নিজেরাই যদি বুর্জোয়া সংস্কৃতির শিকার হয়ে থাকেন তাঁদের ব্যক্তিগত অভ্যাস, রুচি, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণে– তা হলে তাঁরা কোনও দিনই এটা আনতে পারবেন না। এবং এ দিকটায় আমাদের দেশের কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী দলগুলি বাইরের আন্দোলনের ক্ষেত্রে তো বটেই, এমনকি দলের আভ্যন্তরীণ সংগ্রামের ক্ষেত্রেও কর্মীদের, বিশেষ করে নেতাদের জীবনযাত্রা এবং দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো ও উন্নততর সাংস্কৃতিক মান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র নজর দেননি। এই ভাবে তাঁরা শুধু দেশের মানুষকেই ঠকাননি– সৎ ও সরল সাধারণ কর্মীদেরও, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে তাঁরা সব বড় বড় উজির, নাজির, মন্ত্রী হয়ে বসেছেন, তাঁদেরকেও ঠকিয়েছেন। এ কথা আমাকে দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে।

আমি পূর্বেই বলেছি, শ্রমিকশ্রেণির বিপ্লবী দল হল শ্রমিকশ্রেণির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক– এককথায় তার সমস্ত শ্রেণিআকাঙক্ষা পূরণের হাতিয়ার। লেনিন বলেছেন, দল হল শ্রমিকশ্রেণির সবচেয়ে সচেতন বা বিপ্লবী অংশের সংগঠন, শ্রমিকশ্রেণির অগ্রণী বাহিনী। সেইজন্য শ্রমিকশ্রেণির বিপ্লবী দলের নেতারা সর্বহারা সংস্কৃতির প্রাণবস্তু (ক্রিম)। তাঁরা তো তাঁদের আচার আচরণে, জীবনযাত্রা পরিচালনার ক্ষেত্রে, তা সে ব্যক্তিগত জীবনেই হোক কিংবা কোনও সামাজিক আন্দোলন পরিচালনার ক্ষেত্রেই হোক, সর্বহারা শ্রেণি দৃষ্টিভঙ্গি এবং সংস্কৃতিকেই প্রতিফলিত করবেন। এই সর্বহারা শ্রেণি সংস্কৃতির মূল কথা কী? এর মূল কথা হচ্ছে, এই সংস্কৃতিকে যে আয়ত্ত করেছে, সমস্ত প্রকার সম্পত্তিবোধ থেকে সে মুক্ত। এই সম্পত্তিবোধ বলতে তার সংস্কৃতিগত, রুচিগত ধারণা ও প্রাত্যহিক আচরণগুলিও ব্যক্তিগত সম্পত্তিবোধের মানসিক জটিলতা থেকে মুক্ত, অর্থাৎ বুর্জোয়া ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তাপদ্ধতির প্রভাব থেকে মুক্ত।

কমিউনিস্ট সংস্কৃতি বোঝাতে গিয়ে তাই মার্ক্স যা বলেছেন, তার মর্মার্থ হল, এটি ব্যক্তিগত সম্পত্তিবোধ থেকে মুক্ত মানবতাবাদ (ইট ইজ হিউম্যানিজম মাইনাস প্রাইভেট প্রপার্টি)। তাই কোনও একজন ব্যক্তির পক্ষে সর্বহারা বিপ্লবী বা কমিউনিস্ট হওয়ার মূল সংগ্রামটি হল সর্বপ্রথমে শোষিত মানুষের বিপ্লবী আন্দোলনগুলোর সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থেকে সর্বহারা বিপ্লবী রাজনীতি আয়ত্ত করার সাথে সাথে এই সংস্কৃতিগত ও রুচিগত মান অর্জন করার জন্য শ্রমিকশ্রেণির স্বার্থে, বিপ্লবের স্বার্থে এবং বিপ্লবী দলের স্বার্থে বিপ্লবী দলের কাছে ব্যক্তিসত্তা ও ব্যক্তিস্বার্থকে নিঃসংশয়ে দ্বিধাহীন চিত্তে আনন্দের সাথেবিসর্জন দিতে পারার সংগ্রাম। এখানে সর্বদা ব্যক্তিস্বার্থ পরিত্যাগের সঙ্গে বুর্জোয়া অর্থে ‘দেশের জন্য গাড়ি, বাড়ি, ধনসম্পত্তি, জীবনের সবকিছু পরিত্যাগে’র একটা মূলগত পার্থক্য আছে। কারণ, এই ত্যাগটা যদি বুর্জোয়া চিন্তার দ্বারা প্রভাবিত হয়, তা হলে তার দ্বারা অহমবোধ, ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা ও হামবড়া ভাব ক্রমাগত বাড়তে থাকে এবং শেষপর্যন্ত তা কমিউনিস্ট হওয়ার পথে চূড়ান্ত বিপত্তি সৃষ্টি করে। মনে রাখতে হবে, এ সংগ্রাম যে যথার্থভাবে শুরু করল সে কমিউনিস্ট চেতনার অধিকারী হওয়ার সংগ্রাম শুরু করল মাত্র এবং এ সংগ্রামে সফলতা অর্জন করার পথেই একমাত্র সত্যিকারের কমিউনিস্ট হওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করা যায়। …

প্রথমেই বোঝা দরকার কমিউনিস্ট আদর্শ ত্যাগের আদর্শ নয়। আমরা কিছুই ত্যাগ করিনি। একটা ক্ষুদ্র নোংরা জীবন ছেড়ে দিয়ে একটা বৃহত্তর-মহত্তর জীবন গ্রহণ করেছি মাত্র। একে কি কেউ ত্যাগ বলবে? ত্যাগ মানে কী? ধরুন, আপনি এখন কুঁড়েঘরে বাস করেন। আপনাকে এর বিনিময়ে একটা রাজপ্রাসাদ দিয়ে দেওয়া হল, আর আপনি আপনার ভাঙা স্যাঁতসেতে নোংরা কুঁড়েঘরটি ছেড়ে রাজপ্রাসাদে বসবাস শুরু করলেন। আপনার এ কুঁড়েঘর ছেড়ে আসাকে কি আপনি ত্যাগ মনে করবেন? কেউই করে না, আপনিও করবেন না। কারণ, ত্যাগ তো হচ্ছে কোনও কিছু না চেয়েই কিছু ছাড়া অথবা সব কিছু দিয়ে দেওয়া। এ কি তাই? আসলে তো আপনি যত ছেড়েছেন, পেয়েছেন তার অনেক বেশি। কমিউনিস্টরা তাদের বিপ্লবী জীবনকে এই রাজপ্রাসাদের জীবনের থেকেও বৃহত্তর সম্পদ বলে মনে করে। যে জীবনটাকে সে ছেড়ে এসেছে, একজন বিপ্লবীর কাছে সেটা কুঁড়েঘরের জীবনের মতো শুধু দুঃখময় ও নোংরাই নয়– ক্ষুদ্র, নীচ এবং অবমাননাকর। তাই এই দিক দিয়ে বিচার করলে একজন সত্যিকারের বিপ্লবী কিছুই ত্যাগ করেনি। বরং যা সে ছেড়ে এসেছে, অর্থাৎ গাড়ি-বাড়ি, টাকা-কড়ি, বিষয়-সম্পত্তি, আরাম-আয়েস, তার তুলনায় সে হাজার লক্ষ গুণ বড় জিনিস পেয়েছে– সে তার আত্মমর্যাদাবোধ ফিরে পেয়েছে। বিপ্লবীদের অভাব অনটন, হাজার দুঃখকষ্ট ও নির্যাতন যা দেখে সাধারণ মানুষ তাদের জন্য দুঃখ করে, সেই আপাতদৃষ্ট দুঃখময় বিপ্লবী জীবনের নিরন্তর সংগ্রামের মধ্যে লিপ্ত থেকে একজন বিপ্লবী যে শান্তি এবং আনন্দ খুঁজে পায়, সাধারণ মানুষ বাড়ি, গাড়ি, আরামের মধ্যে তার হদিশ খুঁজে পায় না। বিপ্লবের থেকে বড় সম্পদ, বিপ্লবী জীবনের থেকে বড় জীবন তার আর কিছুই নেই। তাই, বিপ্লবের প্রয়োজনে বিপ্লবী জীবনকে গ্রহণ করতে গিয়ে কোনও কিছু ছেড়ে আসাকেই সে ত্যাগ বলে মনে করে না এমনকি তার নিজের জীবনও নয়। তাই যদি না হত, যা তারা ছেড়ে এসেছে তার প্রতি যদি তাদের এতটুকু মমত্ব এতটুকু ক্ষোভ বা ব্যথাও কোথাও জমা হয়ে থাকত তা হলে চিনের বিপ্লবীরা একটানা তিরিশটা বছর ধরে বনে-জঙ্গলে এমন করে মরণপণ সংগ্রাম করতে পারত না। বিপ্লবী জীবনের মধ্যে একটা উঁচুদরের মর্যাদাবোধ এবং আনন্দের সন্ধান না পেলে ভিয়েতনামের বিপ্লবীরা এতবড় শক্তির বিরুদ্ধে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, বছরের পর বছর ধরে এতবড় রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের জোর খুঁজে পাচ্ছে কোথায়? এই বিপ্লবী জীবনের আকাঙক্ষা একজনের মধ্যে প্রবল হয়ে দেখা দিলে তবেই কেবলমাত্র সে বিপ্লবী হতে পারে। আর আমাদের দেশের কমিউনিস্টরা কিছু ছাড়তে হলেই মহাত্যাগ করছেন বলে মনে করেন। কী তাঁরা ত্যাগ করেছেন? গাড়ি, বাড়ি, ধন-সম্পত্তি, আরাম– এই তো? গান্ধীবাদীরা এ দেশে সেই অর্থে অনেক বেশি ত্যাগ করেছেন। কিন্তু কমিউনিস্ট বলে যাঁরা নিজেদের পরিচয় দেন, তাঁরা একে ত্যাগ মনে করেন কেন? যদিও এ কথা ঠিক একজন সত্যিকারের বিপ্লবী যখন বিপ্লবী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আসে, সাধারণ মানুষের জীবনের চাহিদাগুলি যখন তাঁর কাছে অপাংক্তেয় হয়ে যায়, তখন সাধারণ মানুষ কমিউনিস্টদের, যাঁরা সবকিছু ছেড়ে বিপ্লবী সংগ্রামে জীবনকে নিয়োজিত করেছেন, তাঁদের সাধারণ অর্থে মহাত্যাগী বলে মনে করেন। কিন্তু একজন কমিউনিস্ট ত্যাগ অর্থে এই জিনিসটাকে নেবেন কেন? তা হলে বিপ্লবের তুলনায় এই বাড়ি, গাড়ি, ধন-সম্পত্তি, আরাম– এগুলোকেই তাঁরা বেশি মূল্যবান বলে মনে করেন– অর্থাৎ এগুলোর প্রতি তাঁদের মনের গোপন কোণে প্রবল আকর্ষণ বিদ্যমান। তাই, যাঁরা দেশের জন্য এত ত্যাগ করলেন বলে মনে করেন, বিনিময়ে তাদের আসে কিছু চাওয়ার মনোভাব– তা ধন-সম্পত্তিই হোক বা ক্ষমতা-পদই হোক। আমাদের দেশের কমিউনিস্টরাও এই ত্যাগের বিনিময়ে আজ কিছু চাইছে। তাদের ত্যাগ আজ গোটা দেশের ওপর বোঝা হয়ে দেখা দিচ্ছে।

অবশ্য এ কথাও ঠিক, তাঁদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন, যাঁরা ধন-সম্পত্তি বা ক্ষমতা-পদ এসব কিছুই চাইছেন না, তাঁরা বিপ্লবটাই চাইছেন। কিন্তু তাঁদেরও মনোভাবনা এইরকম যে, তাঁরা বিপ্লবের জন্য ব্যক্তিগত অনেক কিছু ত্যাগ করেছেন বা করছেন। ত্যাগের এই মনোভাব মনের মধ্যে থেকে গেলে কী হয়? বিরুদ্ধ এবং প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পড়লে, অথবা সংগ্রামের মধ্যে আকঙ্ক্ষিত ফললাভ না হলে তাঁরা ধীরে ধীরে মানুষের ক্ষমতার (হিউম্যান এফোর্টস) ওপর সমস্ত বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। যাঁরা গাড়ি-বাড়ি চাইছেন না, ক্ষমতার লোভ বা দ্বন্দ্বের মধ্যে আসতে চাইছেন না, তেমন গান্ধীবাদীদের কী পরিণতি হয়েছে আমাদের দেশে? যদিও তাঁরা ব্যতিক্রম– ব্যতিক্রম ঐ ত্যাগীদের মধ্যে– কিন্তু মানুষের প্রতি, মানুষের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সংগ্রামের প্রতি তাঁরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। তাঁরা এক ধরনের ‘সিনিক’। কাজেই, ত্যাগধর্মের এই দু’টি চরম পরিণতি। হয় ত্যাগের বিনিময়ে আসে কিছু চাওয়ার মনোভাব– সেটা যে রূপেই হোক, আর না হয় সময়ের গতিপথে যদি জীবনের আকাঙিক্ষত সফলতা না আসে, তা হলে সংগ্রামের জটিল অবস্থায় ব্যর্থতার সামনে এসে হতাশা দেখা দেয়, তাঁরা মানুষের সমস্ত ক্ষমতা এবং সংগ্রামের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন। আর এইরকম অবস্থায় তাঁদের একদিনের বিপ্লবী চরিত্রের গুণাবলিও মরতে থাকে এবং সেই অর্থে পূর্বের তুলনায় জীবনের ক্ষেত্রে অধঃপতনও ঘটতে থাকে। অর্থাৎ আমি বলতে চাইছি, যারা গাড়ি-বাড়ি-সম্পত্তি চাইল না ক্ষমতার দ্বন্দ্বে নামল না বা বিনিময়ে ব্যক্তিগত কিছু চাইল না, তাদের ক্ষেত্রেও যদি ত্যাগ সম্পর্ক যথার্থ মার্ক্সবাদ সম্মত ধারণা না থাকে, তা হলে কী হয়? তাঁরা সব কিছু দেখে শুনে হতাশ হয়ে যান, মানুষের সমস্ত ক্ষমতা এবং সংগ্রামের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন অথবা ‘সিনিক’ হয়ে পড়েন।

কেন ভারতবর্ষের মাটিতে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) একমাত্র সাম্যবাদী দল’ বই থেকে