পুরানো কেন্দ্রীয় অফিসের প্রতিরূপ উন্মোচন করে কমরেড অসিত ভট্টাচার্যের আহ্বান
এইমাত্র আমরা আমাদের ঐতিহ্যমণ্ডিত পুরানো অফিসের প্রতিরূপ (রেপ্লিকা) উদ্বোধন করলাম। আমি আনন্দিত যে, আপনারাও এর সাথী হলেন। এটা একটা আনুষ্ঠানিকতা নয়। এটা একটা বৈপ্লবিক কর্তব্য। আপনাদের স্মরণ করাতে চাই, আমাদের যে পুরনো অফিসটি ছিল, সেটি যখন নতুন করে নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত হল, তখনই আমরা এর একটা প্রতিরূপ সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। একটা সুদীর্ঘ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে, আজকে সেটা একটা সুষ্ঠুরূপ পেল এবং আগামী দিনে এটা একটা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবে।
আপনারা অনেকে নাও জানতে পারেন যে, পার্টি প্রতিষ্ঠার দুই বছর পর ১৯৫০ সালে, আমাদের এই ৪৮ লেনিন সরণিতে একটি ছোট ঘরের মধ্যে আমাদের দলের অফিসকেন্দ্রিক কার্যকলাপের সূত্রপাত ঘটে। এই অফিসেই প্রতিদিন সকাল এবং বিকালে প্রিয় মহান নেতা কমরেড শিবদাস ঘোষ উপস্থিত হতেন। আমরা আমাদের ছাত্র অবস্থা থেকেই দেখেছি, কীভাবে এই বাড়িটাতে বসে, প্রায় সারা দিন, রাত ১১টা পর্যন্ত উনি পার্টি পরিচালনা করতেন এবং পার্টির নেতা, কর্মী এবং অন্য যারা পার্টিকে জানতে চান, বুঝতে চান এমন সব ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতেন। পার্টির বিভিন্ন জায়গার কমরেডরা, যা যা নতুন যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে, সিনিয়র, জুনিয়ার, নেতা-কর্মী, কমরেড সবার সঙ্গেই তিনি এই অফিসে মিলিত হচ্ছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করছেন, কথাবার্তা বলছেন, প্রত্যেককে নতুন করে জীবনের অর্থ বুঝিয়ে দিচ্ছেন এবং এই ভাবেই তাঁদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছেন। এই ৪৮ লেনিন সরণির সিঁড়ি পার হয়ে যখন তাঁরা ফুটপাতে পা দিচ্ছেন, তাঁরা ভিন্ন মানুষ হয়ে যাচ্ছেন। এই ভাবেই এই, ৪৮ লেনিন সরণি হয়ে উঠেছিল পার্টির বিপ্লবী কার্যকলাপ গড়ে তোলার মূল আধার, মূল কেন্দ্রবিন্দু। এই ভাবেই এটি হয়ে উঠেছে একটি ঐতিহাসিক স্থান।
২০১২ সালে যখন নতুন ভাবে একটি বৃহৎ অফিস গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হল তখন আমাদের মনে এই ভাবনাও এসেছিল যে সর্বহারার মহান নেতা কমরেড শিবদাস ঘোষের স্মৃতি বিজড়িত এই ভবনটিকে, পুরনো অফিসটাকে সংরক্ষণ করেই আমরা তার পাশাপাশি নতুন অফিসটি গড়ে তুলতে পারি কি না। কারণ পুরনো অফিসটি সংরক্ষণ করার একটা অত্যন্ত ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু আমাদের হাতে লাগোয়া কোনও প্লট ছিল না। তাই এই অফিসটি ভেঙেই সেখানে নতুন প্রয়োজন পূরণ করার জন্য নতুন অফিস তৈরির সিদ্ধান্ত নিতে হল। তখনই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিলাম যে, একটি প্রতিরূপ তৈরি করে পুরনো অফিসটাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে আকর্ষণীয়ভাবে যার মধ্য দিয়ে আগামী দিনে আমাদের উত্তরসাধকরা, এই পুরনো অফিসটির একটা আভাস পেতে পারে। আমি এ কথা আপনাদের স্মরণ করাতে চাই যে, এটা কোনও অবহেলা করার মতো বিষয় নয়। সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গেই সারা বিশ্বেই যত মহান কার্যকলাপ হয়েছে, যত মহান ব্যক্তি এই সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছেন, ভারতবর্ষে কেবল নয়, গোটা বিশ্বেই এই ধরনের সকল কিছুর স্মৃতি রক্ষা, স্মরণীয় যাঁরা তাঁদের স্মরণ করার, লেখার মাধ্যমে, বত্তৃতার মাধ্যমে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে স্মরণ করা, আবার এই সমস্ত স্মৃতিচিহ্নগুলোকে যত্নের সঙ্গে সংরক্ষণ করা এবং তার থেকে উদ্দীপ্ত হওয়া, এইটিই সভ্যতা বিকাশের ক্ষেত্রে রীতি হয়ে রয়েছে।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের মৃত্যুর পরে যে বিশাল মিছিল হয়েছিল তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। মহান শহিদ যতীন দাসের মৃত্যুতে গোটা পশ্চিমবঙ্গ যেভাবে তাঁর শেষযাত্রায় ভেঙে পড়েছিল তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। কলকাতা শহরের যে জায়গায় তাঁকে দাহ করা হয়েছিল, সেই জায়গায় তাঁর স্মৃতিতে একটা স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলা হয়েছিল। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের স্মৃতিরক্ষার উদ্যোগ তো ঐতিহাসিক। সাধারণ মানুষের দানে কলকাতার কেওড়াতলা শ্মশান ঘাটে তৈরি হয়েছিল সুবৃহৎ স্মৃতিস্তম্ভ। মহান মানুষকে, মহামানবদের মানুষ এই ভাবেই স্মরণ করতে চায় বরাবর, চিরদিন।
১৯৭৬-এর ৫ আগস্ট যখন কমরেড শিবদাস ঘোষের জীবনাবসান হল, তখন তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে আমরা কয়েকজন আলোচনা করেছিলাম, কমরেড শিবদাস ঘোষকে স্মরণীয় করে রাখবার জন্য ঐতিহাসিক বিপ্লবী প্রয়োজনে আমরাও এই ধরনের কোনও ব্যবস্থা করতে পারি কি না! যেখানে আমরা তাঁকে সমাহিত করতে পারি পরবর্তী সময়ে সেখানে যাতে আমরা একটা স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করতে পারি। আলোচনা করে দেখা গেল আমাদের সীমিত শক্তিতে সেদিন আমরা কোনও জায়গাই ব্যবস্থা করতে পারলাম না। তাই সেদিন তা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
তাঁর মহান বিপ্লবী শিক্ষাকে তো বটেই কমরেড শিবদাস ঘোষকে যতরকম ভাবে পারা যায়, স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা আমাদের করতে হবে। ইতিমধ্যেই আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি কমরেড নীহার মুখার্জীর নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমরেড শিবদাস ঘোষ টালাতে যে বাড়িতে থাকতেন সেই ২৮সি বনমালী চ্যাটার্জী স্ট্রিট বাড়িটিকে একটি মহান স্মৃতি ভবন হিসাবে সংরক্ষণ করার। কমরেড শিবদাস ঘোষ যেখানেই গিয়েছেন সেই সব জায়গাতেও আমরা চেষ্টা করব, আগামী দিনে তাঁকে স্মরণীয় করে রাখবার জন্য। এই প্রসঙ্গে আমি একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করতে চাই।
১৯৭৮ সালে কোনও একটা কারণে আমি রাজগির গিয়েছিলাম। সেখানে খননকাজের মধ্য দিয়ে যে সুবিশাল অতি প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় আবিষ্কৃত হয়েছে তা আমি দেখতে গিয়েছিলাম। আর্কিওলজি বিভাগ সেখানে মিউজিয়াম তৈরি করে রেখেছে। সেই খননকাজে যা উদ্ধার হয়েছে, সেখানে সবকিছু সংরক্ষিত আছে। আমার স্ট্রাইক করেছিল যে পয়েন্টটা তা হল, গৌতম বুদ্ধের মূর্তি গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় স্তূপীকৃত হয়ে আছে। মনে হয়েছে, কে কেমন করে বুদ্ধের মূর্তি তৈরি করতে পারে তার যেন একটা প্রতিযোগিতা হয়েছে। যে চৌহদ্দিটা ছিল, এখানে, ওখানে, সেখানে, পা-ফেলা যাচ্ছে না, বিভিন্ন ধরনের বুদ্ধের মূর্তি ঠাসা হয়ে আছে। আমি এটা উল্লেখ করতে চাই যে, সেদিনের বুদ্ধের চিন্তার যে প্রগতিশীল দিকটা ছিল, তার ভিত্তিতে মানুষের যে আকুতি, এগুলোর মধ্য দিয়ে তা প্রতিফলিত হয়েছে।
মহান ব্যক্তিদের, বড় মানুষদের প্রতিদিন নানাভাবে স্মরণ করতে হয়। তাঁদের প্রত্যেক পদক্ষেপে স্মরণ করতে হয় এবং স্মরণ করবার কিছু উপায় অবলম্বন করতে হয়। তার মধ্যে এই ধরনের কাজও আছে। আমি খুব আনন্দিত যে আমাদের দলেরই আদর্শে উদ্বুদ্ধ কয়েকজন কমরেডের তত্ত্বাবধানে বিশেষ করে কমরেড মিহির রায়, আর তাঁর সহযোগীদের তত্ত্বাবধানে, দীর্ঘ পরিশ্রমের ফলস্বরূপ তাঁরা এই দুরূহ কাজটি সম্পন্ন করেছেন।
মৃত্যুর এত বছর পর আজও, গোটা বিশ্বের শ্রমিক শ্রেণি, সৎবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ মার্কসকে স্মরণ করছে কীভাবে? তার কি কোনও সীমা আছে? এঙ্গেলসকে, লেনিনকে স্মরণ করার কি কোনও সীমা আছে? মস্কোয় লেনিন মুসোলিয়ামের ধাঁচে বিশ্বে আরও ৫/৭ টা মুসোলিয়াম হতে পারে, মাও-সে-তুঙের স্মরণে বেজিং-এ বিশাল মুসোলিয়াম রয়েছে। মহান স্ট্যালিনের মৃত্যুর পর মস্কোয় তাঁর স্মরণে একটি বিশাল মুসোলিয়াম নির্মিত হয়েছিল। কমরেড শিবদাস ঘোষও সেই স্তরের নেতা। মার্কস, এঙ্গেলস, লেনিন, স্ট্যালিন, মাও-সে-তুঙ, শিবদাস ঘোষ, এই যে মহান চিন্তাবিদ, মার্কসবাদের মহাজ্ঞানী মহাজন, তাঁদেরকে, তাঁদের শিক্ষাগুলোকে তুলে ধরা যে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক, তারই একটা নজির হচ্ছে এই প্রতিরূপ নির্মাণ এবং সংরক্ষণ করার কাজ। আমরা এখনও করণীয় বহু কিছু করতে পারিনি।
এই প্রসঙ্গে এই কথাটিও আমি বলতে চাই যে, স্মরণ যেন ঠিক ঠিক মতো হয়। শ্রদ্ধা প্রদর্শন যেন ঠিক ঠিক মতো হয়। আরও উন্নততর ধরনে, আরও ছড়িয়ে। কমরেড শিবদাস ঘোষের স্ট্যাচু আমরা ঘাটশিলায় স্থাপন করেছি। আজ প্রয়োজন দেখা দিয়েছে পরিস্থিতি অনুকূল হলে কমরেড শিবদাস ঘোষের এই মূর্তিটি ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশেও নির্মাণ করা। এটা ঐতিহাসিক কর্তব্য। সেই প্রয়োজনেই ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে তাঁর চিন্তাধারাকে নিয়ে যেতে হবে, কারণ তিনিই হচ্ছেন ভারতবর্ষের সর্বহারা বিপ্লবের পথিকৃৎ, কংক্রিট এক্সপ্রেশন, মূর্ত প্রতীক। তাই এই ঐতিহাসিক প্রয়োজনে তাঁর স্মৃতিকে চির জাগরূক রাখতে হবে, তাঁকে জীবন্ত করে রাখতে হবে, বিভিন্ন ভাবে। তাঁর ব্যবহৃত সব জিনিসপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। কিছু কিছু জিনিসপত্র সংরক্ষণ করে ঘাটশিলায় রাখা আছে। কিছু কিছু ব্যবহৃত জিনিসপত্র ২৮সি বনমালী চ্যাটার্জী স্ট্রিটে সংরক্ষিত আছে। আরও বিভিন্ন জিনিস যেখানে যেখানে ছড়িয়ে আছে সেগুলি সংগ্রহ করতে হবে।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যে ক’দিন বেঁচে ছিলেন, ৪৫-৪৬ বছর, এই বিশাল ভারতবর্ষের একেবারে ভেতর পর্যন্ত তিনি গিয়েছেন। বর্তমান বাংলাদেশের, সেই সময়কার পূর্ববঙ্গের, এমনকি আসামেরও বহু জায়গায় তিনি গিয়েছেন। আমি লক্ষ করেছি সেই সব জায়গার সংগ্রামী মানুষ এখনও খুঁজে বেড়াচ্ছেন কোথায় কোথায় তিনি গিয়েছিলেন, কী ভাবে সেইসব জায়গাগুলি চিহ্নিত করে রাখা যায়, সেগুলিকে কী ভাবে স্মরণীয় করে রাখা যায়।
আজ বুর্জোয়ারা তাদের চিন্তার বাহকদের সামনে নিয়ে আসছে। কিন্তু যাঁরা বুর্জোয়া ব্যবস্থার বিরোধী, কত মানুষ যাঁরা সংগ্রাম করেছেন, মার্কস থেকে আরম্ভ করে কমরেড মাও-সে-তুঙ, কমরেড শিবদাস ঘোষ পর্যন্ত, আমাদেরও চেষ্টা করতে হবে, বুর্জোয়াদের প্রচার ছাপিয়ে যাতে তাঁদেরও আমরা ক্রমাগত সামনে নিয়ে আসতে পারি। এই প্রসঙ্গে আমি এই কথাটিও উল্লেখ করতে চাই– আমরা শুধু মহান মার্কসবাদী দার্শনিক, মহান মার্কসবাদী বিপ্লবীদেরই নয়, আমরা সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারায়, যাঁরাই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, সভ্যতার বিকাশের ধারায় অবদান রেখে গেছেন এবং সংগ্রাম করেছিলেন, তাঁদের যথাযথভাবে স্মরণ করব, স্মরণীয় করে রাখব। এই প্রসঙ্গে আমি এটাও উল্লেখ করতে চাই, ক্ষয়িষ্ণু পুঁজিবাদী এই যুগে বিশ্বের সকল পুঁজিবাদী দেশেই পুঁজিপতিরা শ্রমিক বিপ্লবের ভয়ে ভীত হয়ে সমস্ত মহান চিন্তাকে, মহান চিন্তাবিদদের শিক্ষাকে, তাঁদের স্মৃতিকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। এই জঘন্য চেষ্টাটাকে, চক্রান্তটাকে আমাদের প্রতিহত করতেই হবে। বিশ্ববাসীকে এই প্রশ্নে এক হয়ে লড়তে হবে। এবং পৃথিবীর সকল বড় মানুষদের স্মৃতিকে নানা ভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। এই শিক্ষাই সর্বহারার মহান নেতা কমরেড শিবদাস ঘোষ আমাদের দিয়ে গেছেন। এটা খেয়াল রাখতে হবে, তাঁর স্মৃতিচারণটা যেন গুরুত্ব সহ পরিচালিত হয়। এটা বাদ দিয়ে বিপ্লব হবে না। কমরেড শিবদাস ঘোষ বলেছেন, প্রত্যেক বিপ্লব, তার কংক্রিট এক্সপ্রেশনের (বিপ্লবের প্রতীক) জন্ম দেয়। এই ভাবেই রাশিয়ার শ্রমিক শ্রেণি জন্ম দিয়েছে লেনিনের, চীনের শ্রমিক শ্রেণি জন্ম দিয়েছে মহান মাও-সে-তুঙের। ভারতবর্ষের মাটিতে কমরেড শিবদাস ঘোষ হচ্ছেন কংক্রিট এক্সপ্রেশন অফ ইন্ডিয়ান রেভলিউশন। তাই পার্টির আগের অফিসের এই প্রতিরূপ নির্মাণ সেই সংগ্রামেরই অংশ। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিদ্যার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এটাকে আরও উন্নততর ভাবে নিয়ে আসা যায় কি না তাও দেখতে হবে। আমি আবারও বলব, এই রকমের কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে, আমাদের আনন্দ, উৎসাহ, উদ্দীপনাটা যেন অক্ষুণ্ন থাকে। আগামী দিনে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাঁরা বিপ্লবী আন্দোলনে যুক্ত হবে, তাঁরাও যেন আমাদের এই পুরনো অফিসের প্রতিরূপ দেখে উদ্দীপ্ত হয়, সেটা আপনারা লক্ষ রাখবেন।