কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক সুনির্দিষ্ট নীতি নির্ধারণ ও বাজেট বরাদ্দ, নিয়মিতকরণ করে ৬৫ বছর পর্যন্ত স্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ, সম কাজে সম বেতনের নীতি চালু করে সুনির্দিষ্ট বেতনকাঠামো ও ছুটির নিয়ম, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত নীতি নির্ধারক বডিতে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ ইত্যাদি দাবিতে ৮ মে নন-রেগুলার অধ্যাপকদের সর্বভারতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হল দিল্লির হিন্দি ভবনে। দেশের ২৫টি রাজ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন দুই শতাধিক প্রতিনিধি। এ ছাড়াও সারা দেশের সহস্রাধিক অধ্যাপক ভার্চুয়াল মোডে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। যে রাজ্যগুলির প্রতিনিধিরা উপস্থিত হতে পারেননি, তাঁরা লিখিত বক্তব্য পাঠান।
কনভেনশনে আগত বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের চরম শোষণ-বঞ্চনার ছবি তুলে ধরেন। লড়াই আন্দোলনের চাপে পশ্চিমবঙ্গে স্থায়িত্বের দাবি আদায় হলেও অন্য কোনও রাজ্যে নন-রেগুলার শিক্ষকদের এই অধিকার নেই। প্রতিনিধিদের বক্তব্যে হরিয়ানা, কেরালা, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি প্রভৃতি রাজ্যের নন- রেগুলার অধ্যাপকদের চরম শোষণ-বঞ্চনার ছবি উঠে আসে। সম্মেলনে উপস্থিত রাজ্যগুলির প্রতিনিধি সহ শিক্ষাবিদরা সকলেই বলেন, সব রাজ্যেই অ্যাড-হক অধ্যাপকরা উচ্চশিক্ষা দান করেন। অথচ তাঁদের সীমাহীন শোষণ-বঞ্চনার বিষয়ে ইউজিসি নির্বিকার, চরম উদাসীন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি।
অ্যাড হক অধ্যাপকদের প্রতি সরকারের এই মনোভাবের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলে ন্যায্য দাবি আদায়ের উদ্দেশ্যে কনভেনশন থেকে কর্ণাটকের অধ্যাপিকা সুমিতা এস-কে সভাপতি এবং পশ্চিমবঙ্গের অধ্যাপক গৌরাঙ্গ দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ২৫টি রাজ্যের অ্যাড হক অধ্যাপকদের সর্বভারতীয় সংগঠন অল ইন্ডিয়া কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (নন রেগুলার) গঠিত হয়। আগামী জুন মাসে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে সমস্ত রাজ্যের শিক্ষকদের গণস্বাক্ষর নিয়ে দাবি সনদ পেশ করা হবে। জুলাই মাসে প্রতিটি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে ডেপুটেশন ও রাজ্য কনভেনশন সংগঠিত করা হবে।