৬ লক্ষ কোটি টাকা তোলার নামে কেন্দ্রের মোদি সরকার যেভাবে সরকারি সম্পত্তি পুঁজিপতিদের বা ব্যবসায়ীদের দিচ্ছে তার তীব্র বিরোধিতা করেছে নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ। মঞ্চের আহ্বায়ক ডাঃ তরুণ মণ্ডল ২৫ আগস্ট বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন (এনএমপি)-র নামে রেলের ৪০০টি স্টেশন, ১২টি ক্লাস্টারের ১০৯ জোড়া দূরপাল্লার ট্রেন, ‘হেরিটেজ’ বলে চিহ্নিত দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় টয় ট্রেন পরিষেবা, রেলের স্টেডিয়াম, রেলওয়ে কলোনি, ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন ফ্রেট করিডর প্রভৃতি ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহারের জন্য তুলে দেওয়া হবে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার হাতে। এই তালিকায় শুধু রেল নয়, রয়েছে ২৬ হাজার ৭০০ কিমি জাতীয় সড়ক, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং কলকাতা ও হলদিয়ার মতো জাহাজ বন্দরের পরিকাঠামো, এমনকি রয়েছে খেলার স্টেডিয়ামও। জনগণের করের টাকায় ও বহু মূল্যে নির্মিত এই সব অত্যাবশ্যকীয় সরকারি সম্পত্তি বেসরকারি ব্যবসায়ী সংস্থাকে ব্যবহারের জন্য তুলে দেওয়া চূড়ান্ত জনবিরোধী। তাঁর দাবি, চার বছরে ৬ লক্ষ কোটি টাকা রাজকোষে ভরার পরিকল্পনার পরিবর্তে ব্যাঙ্কের ১০ লক্ষ কোটি টাকার এনপিএ উদ্ধার, প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার কর্পোরেট ট্যাক্সছাড় না দেওয়া এবং শিল্পপতিদের লক্ষ কোটি টাকার উৎসাহ ভাতা না দিলে অনেক বেশি অর্থ জমা পড়বে অর্থকোষে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে কেন্দ্রের সরকার সরকারি সম্পত্তি ব্যবহার করতে দিয়ে কর্পোরেট সংস্থাগুলির মুনাফার ঝুলিকে আরও স্ফীত করে তুলবে এবং জনসাধারণকে বেশি মূল্য দিয়ে আবশ্যিক পরিষেবা কিনতে হবে।
এআইইউটিইউসি-র প্রতিবাদঃ এই জনবিরোধী নীতির তীব্র বিরোধিতা করেছেন এআইইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড শঙ্কর দাশগুপ্ত। ২৬ আগস্ট এক বিবৃতিতে তিনি এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের আহ্বান জানান।