নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার আগে জোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন– বছরে ২ কোটি বেকারের কর্মসংস্থান হবে৷ তাঁর কুর্সিলাভের চার বছর হতে চলল৷ কোথায় কাজ?
সরকারি চাকরি তো অলীক স্বপ্ন, বেসরকারি অসংগঠিত ক্ষেত্রে ঠিকা কাজ, ক্যাজুয়াল কাজ, হায়ার অ্যান্ড ফায়ারের নীতিতে এক–দুই দিনের কাজ– সব মিলিয়েও কর্মসংস্থানের গুনতি তিন লাখ পার হয়নি৷ অন্যদিকে ৯ লাখের বেশি ছোট–বড় কারখানা এই সময়ে বন্ধ হয়ে গেছে৷ যার ফলে ৫৩ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন৷ মরার উপর খাঁড়ার ঘা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কয়েক লক্ষ শূন্য পদ বিলোপ করা হচ্ছে৷ এ নিয়ে ইতিমধ্যে সার্কুলারও জারি হয়েছে৷ এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটেও কর্মসংস্থানের কোনও হদিশ নেই৷ প্রধানমন্ত্রী যুবকদের পকোড়া ভেজে দিন চালানোর নিদান দিয়েই খালাস৷ কোটি কোটি বেকার যারা ট্রেনে–বাসে–ফুটপাতে হকারি করে কোনও রকমে দিন গুজরান করছেন তাঁদের এই প্রচেষ্টাকেই কর্মসংস্থান বলে দেখানোর নির্লজ্জ চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার৷
যুব সংগঠন অল ইন্ডিয়া ডি ওয়াই ও এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সমস্ত কর্মক্ষম মানুষের কাজের অধিকারের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে দেশের যুব সমাজের কাছে৷ এই দাবিতে রাজ্যে রাজ্যে ১ কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহের কর্মসূচি শুরু হয়েছে৷ ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাস জুড়ে ব্লক স্তরে বিক্ষোভ, জেলায় জেলায় আইন অমান্য ইত্যাদি চলবে৷ ১ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার রায়দিঘিতে হয়েছে বিক্ষোভ৷ দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলাকে মদমুক্ত নির্মল জেলা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলছে সংগঠন৷ হাজার হাজার যুবক–যুবতী আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে সংগঠনের সদস্য হচ্ছেন৷
অন্যান্য রাজ্যেও স্বাক্ষর সংগ্রহ চলছে৷ ৩০ জানুয়ারি হরিয়ানার ভিওয়ানিতে বহু যুবক–যুবতী এই কর্মসূচিতে সামিল হন৷ ৩১ জানুয়ারি রাজস্থানের জয়পুরে টঙ্ক ফটক, সংগানের, জগৎপুরা, লুনিয়াবাস সহ আরও বহু এলাকায় স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়৷ আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ওই রাজ্যে কয়েক শত যুবক–যুবতী ইতিমধ্যেই সংগঠনের সদস্য হয়েছেন৷