অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির সম্পাদক অধ্যাপক তরুণ কান্তি নস্কর ১৬ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া এক পত্রে অবিলম্বে স্কুল খোলার দাবি জানিয়েছেন। চিঠিতে তিনি বলেছেন,
রাজ্য বিপর্যয়মোকাবিলা কমিটির জারি করা এক নির্দেশিকায় বিয়েবাড়ি সহ সামাজিক অনুষ্ঠানে জমায়েতের সংখ্যা ৫০ জন থেকে বাড়িয়ে ২০০ জন করা হয়েছে, মেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সরকারি ওবেসরকারি দপ্তরে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি সহ শপিংমল, বড় বাজার কমপ্লেক্স, সিনেমা ও থিয়েটার হল, পানশালা, রেস্তোঁরা,সেলুন-বিউটি পার্লার খোলা রাখার নিয়ম আগের মতোই বজায় থাকছে, অথচ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে কমিটি নীরব। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল প্রায় ২ বছর বন্ধ, স্কুলের উচ্চতর শ্রেণিগুলি এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুললেও তা আবার বন্ধ হয়েছে। এর ফলে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থা সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, ছাত্ররা মানসিক সমস্যার শিকার হচ্ছে। স্কুল আবার বন্ধ হওয়ায় এ বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। বিভিন্ন জেলায় শিক্ষকরা নিজস্ব উদ্যোগে ছাত্রদের নানাভাবে অফলাইনে ক্লাস নেওয়ার চেষ্টা করছেন যা অভিভাবকদের সম্মতি ছাড়া সম্ভব হত না। এই অবস্থায় স্কুল খোলা অত্যন্ত জরুরি। স্কুল ছাত্রছাত্রীদের টিকাকরণের মধ্য দিয়ে দ্রুত স্কুল খোলা সম্ভব। একদিনের মধ্যে রাজ্যের একটি লোকসভা কেন্দে্র যদি ৫০ হাজারের বেশি নাগরিকের টিকাকরণ সম্ভব হয় তা হলে যে বয়সের ছাত্ররা টিকা পেতে পারে তাদের সকলকে অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে টিকার ব্যবস্থা করা যায়।
শিক্ষার এই মারাত্মক সঙ্কটের প্রেক্ষিতে তাঁর দাবি, অবিলম্বে টিকাকরণের ব্যবস্থা করে কোভিড বিধি মেনে সমস্ত স্তরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে এবং ২০২২ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ক্লাসরুমে নিতে হবে।