নরেন্দ্র মোদি সরকার বিএসএনএল, বিপিসিএল, কয়লা ও প্রতিরক্ষা শিল্পের মতো সংস্থাগুলিকে দেশি-বিদেশি মালিক শ্রেণির স্বার্থে জলের দরে বিক্রি করে দিচ্ছে কর্পোরেট হাউসের কাছে। কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রী লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এলআইসি-কে বেসরকারিকরণের কথা জানিয়েছেন। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রায় ৩০ কোটি গ্রাহক, ১১ লক্ষ ৩৭ হাজার এজেন্ট ও লক্ষাধিক কর্মচারী। এ ছাড়াও এই সরকার ৪৪টি শ্রম আইনকে মালিক শ্রেণির স্বার্থে ৪টি লেবার কোডে পরিণত করেছে। যার বিষময় ফলে আগামী দিনে শ্রমিকের উপর মালিক শ্রেণির শোষণ-অত্যাচারের পরিমাণ বাড়বে। এই মাত্রাছাড়া শোষণ-অত্যাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন রুখতে নাগরিকত্ব হরণকারী ও শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী এনআরসি-সিএএ-এনপিআর আনছে শাসক শ্রেণি।
শ্রমিক শ্রেণির উপর লাগাতার শোষণ অত্যাচারেব বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে এ আই ইউ টি ইউ সি সহ ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের যুক্ত সভায় সিদ্ধান্ত হয় শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী কেন্দ্রীয় বাজেটের বিরুদ্ধে ও লেবার কোড বাতিলের দাবিতে সারা দেশে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ১১ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যুক্ত সভায় সিদ্ধান্ত হয় ২ মার্চ কলকাতায় লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে যুক্ত মিছিল করা হবে। হঠাৎ অন্য কর্মসূচির কারণ দেখিয়ে সিটু সহ অন্য সংগঠনগুলি জানায় যে, এই মিছিলে তারা থাকতে পারবেন না। ফলে যুক্ত আন্দোলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একক ভাবেই এ আই ইউ টি ইউ সি এই বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করে। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন এ আই ইউ টি ইউ সি-র সর্বভারতীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড দিলীপ ভট্টাচার্য, রাজ্য সম্পাদক কমরেড অশোক দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে মিছিল শুরু হয়ে রামলীলা ময়দানে শেষ হয়।