মালিক শ্রেণি তাদের স্বার্থে বহুদিন ধরেই প্রচলিত শ্রম–আইনগুলির পরিবর্তন দাবি করে আসছিল৷ ১৯৯৬ সালে কেন্দ্রে যে যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠিত হয়েছিল, তাতে কংগ্রেস ও সিপিআই(এম) ও সিপিআই অংশগ্রহণ করেছিল।সেই সময় থেকেই নয়া আর্থিক নীতি, গ্যাট–চুক্তি ও এফ ডি আই কার্যকরী করার জন্য মালিক শ্রেণির পক্ষ থেকেজোরদার দাবি ডঠতে থাকে৷ ১৯৯৯ সালে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, কংগ্রেস নেতা বিজয় ভার্মার নেতৃত্বে দ্বিতীয় জাতীয় শ্রম–কমিশন গঠন করে৷ এই শ্রম–কমিশন ২০০২ সালে দেশের সমস্ত শ্রম–আইনগুলিকে কোডে রূপান্তরিত করার প্রস্তাব পেশ করে৷ সেই প্রস্তাবে মালিক শ্রেণির স্বার্থে শ্রমিকদের অধিকার হরণের বিষয়গুলি ডল্লিখিত ছিল৷ ফলে ক্রমশই খসে পড়তে থাকে কল্যাণকামী রাষ্ট্রের মুখোশ৷ মালিক শ্রেণির স্বার্থে শ্রমিকদের অবাধ লুন্ঠনের আইনি ব্যবস্থা কায়েম করারচেষ্টা ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠেছে৷ এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রের বিজেপি পরিচালিত মোদি সরকার করোনা অতিমারির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, পার্লামেন্টে বিরোধীদের আলোচনার সুযোগ না দিয়ে ২৯টি শ্রম–আইন বাতিল করে ২০১৯–এর ৮ আগস্ট এই কোডের ‘২ জেডআর’ ধারায় সুপারভাইজারিতে নিযুক্ত কর্মচারীদের শ্রমিক হিসাবে গণ্য করা হয়নি৷ ফলে শ্রমিক হিসাবে প্রাপ্য সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হবে৷ ৭৭(১), ৭৮, ৭৯, ৮০ ধারা অনুযায়ী ২৯৯ জন পর্যন্ত শ্রমিক কাজ করে এমন উৎপাদন সংস্থার মালিকরা সরকারি অনুমতি ছাড়া খুশিমতো শ্রমিক ছাঁটাই, লে–ফ, লক–আডট করা ও ক্লোজার করার অধিকার পাবে৷ অথচ প্রচলিত আইন আইডি অ্যাক্ট–১৯৪৭–এর ‘২৫আর’ ধারা অনুযায়ী ১০০ বা তার বেশি কাজ করে এমন সংস্থায় শ্রমিকস্বার্থ বিরোধী এই পদক্ষেপের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি ছিল বাধ্যতামূলক৷ আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশীয় শিল্পে এই নতুন নিয়ম চালু হলে ৭৪ শতাংশ শ্রমিকের ডপর মালিকরা অবাধে ছাঁটাই, ক্লোজার, লে–ফ, লক–আডটের খাঁড়া নামিয়ে আনবে৷ এই কোডের ২৪(১) ধারা অনুযায়ী ৩০০–এর কম শ্রমিক বিশিষ্ট শিল্পসংস্থায় ‘স্ট্যান্ডিং অর্ডার’ কার্যকরী হবে না৷ ফলে একটি বিরাট অংশের শ্রমিক বেতন, ছুটি, হাজিরা ও কাজের শর্তাবলি নির্ধারণের জন্য দর–কষাকষির অধিকার হারাবে৷ এই কোডের ৬২(১) ধারা অনুযায়ী শ্রমিকদের ধর্মঘট করার অধিকারকে নানা নিয়মের বেড়াজালে ফেলে খর্ব করা হয়েছে৷ ধর্মঘট করতে হলে ১৪ দিন আগে শ্রমিক ইডনিয়নকে নোটিশ দিতে হবে৷ অথচ প্রচলিত আইনে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া অন্য কোথাও নোটিশ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়৷ নোটিশ ছাড়া ধর্মঘট করলে কোড অনুযায়ী তা বেআইনি ঘোষিত হবে৷ আবার শ্রমিকদের দাবি নিয়ে কর্তৃপক্ষ বা সরকারি স্তরে আলোচনা শুরু হলে ধর্মঘট করা যাবে না৷ ফলে আলোচনা দীর্ঘায়িত করে ধর্মঘটে বাধা দেওয়া হবে৷ এমনকি অর্ধেকের বেশি শ্রমিক একসাথে ছুটি নিলেও মালিক পক্ষ ধর্মঘটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে৷
৩) অকু পেশনাল সেফটি হেলথ অ্যান্ড কন্ডিশন অফ ওয়ার্ক কোডঃ এইকোড অনুযায়ী কোনও বিদ্যুৎ চালিত ডৎপাদন সংস্থায় ১৯ জন শ্রমিক এবং বিদ্যুৎচালিত নয় এমন সংস্থায় ৩৯ জন শ্রমিক নিযুক্ত থাকলে শ্রমিকরা শ্রম–আইনের কোনও সুযোগ–সুবিধা পাবেন না৷ প্রচলিত আইনে বিদ্যুৎ চালিত সংস্থায় ১০ জন এবং বিদ্যুৎ চালিত নয় এমন সংস্থায় ২০ জন থাকলে শ্রমিকরা শ্রম–আইনের সুযোগ পেয়ে থাকে৷ এ ক্ষেত্রেওকেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি এই শ্রম–কোড কর্পোরেটদের স্বার্থেরই পরিপূরক৷
এই কোড অনুযায়ী কোনও কনট্রাক্টর ৫০ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করতে চাইলে তার লাইসেন্স লাগবে৷ যদিও বর্তমান আইনে ২০ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করতে হলেই লাইসেন্স বাধ্যতামূলক৷ ফলে নতুন কোডে কনট্রাক্টরা লাইসেন্স ছাড়াই পূর্বাপেক্ষা দ্বিগুণেরও বেশি শ্রমিককে নিয়ে কাজ করার আইনি সুযোগ পাবে৷ ১টিকোড এবং ২০২০ সালের ২৮ সেপ্ঢেম্বর বাকি ৩টিকোড অর্থাৎমোট ৪টি শ্রম–কোড অগণতান্ত্রিকভাবে পাশ করিয়েছে৷
১) ‘কোড অন ওয়েজেস’: মজুরি সংক্রান্ত এই কোডে শ্রমিক শ্রেণির ডপর মারাত্মক আঘাত হানা হয়েছে ৯ নং ধারায় ‘ফ্লোর লেভেল ওয়েজ’ নামে বেতনের নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে৷ এই ‘ফ্লোর ওয়েজ’ প্রচলিত ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম৷ ন্যূনতম মজুরি হল জীবন ধারনের ডপযোগী সরকার স্বীকৃত ন্যূনতম বেতন৷ এর চেয়ে কম বেতন দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ তার হাত থেকে মালিকদের মুক্ত করা এবং তাদের আরও বেশি মুনাফার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই এই ‘ফ্লোর লেভেল ওয়েজ’–এর সৃষ্টি৷ বর্তমান মূল্যবৃদ্ধি ও চরম বেকারত্বের বাজারে এই ‘ফ্লোর লেভেল ওয়েজ’ প্রবর্তন বাস্তবে শ্রমিক জীবনে নিয়ে আসবে অর্ধাহার, অনাহার, অপুষ্টিজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যু৷
এই কোডে মজুরির সংজ্ঞা থেকে ‘ঘরভাড়া ভাতা’ বাদ যাওয়ায় পিএফ, ইএসআই, বোনাস, গ্রাচ্যুইটিতে মালিকের দেয় অর্থের পরিমাণ কমবে৷ শ্রমিকরা আর্থিকভাবে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং মালিকদের লাভের অঙ্ক বাড়বে৷ কোডের ‘২কে’ ধারায় এমপ্লয়ি’র সংজ্ঞা থেকে ‘আডট ওয়ার্কার’ (যারা মালিকের উৎপাদন কেন্দ্রে কাজ করে না, কাঁচামাল নিয়ে এসে নিজের ঘরে বা অন্যত্র কাজ করে) তাদের বাদ দেওয়ায় বহু শ্রমিক শ্রম–আইনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে৷ পূর্বের শ্রম–আইনে শ্রমিকদের এই অধিকার ছিল৷
২) শিল্প সম্পর্ক কোডঃ এই কোডে আনা হয়েছে ‘ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্ট’ তথা চুক্তিভিত্তিক ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অস্থায়ী কাজ– যা স্থায়ী কাজকেই বিলোপ করে দেবে৷ নির্দিষ্ট সময়ের পর চাকরি হারানোর ফতোয়া থাকায়– মালিকদের চূড়ান্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের আন্দোলন দুর্বল হবে৷ ট্রেড ইডনিয়ন গড়ে তোলা ও পরিচালনা করা কঠিন হবে৷এই কোডের ‘২ জেডআর’ ধারায় সুপারভাইজারিতে নিযুক্ত কর্মচারীদের শ্রমিক হিসাবে গণ্য করা হয়নি৷ ফলে শ্রমিক হিসাবে প্রাপ্য সুবিধাথেকে তারা বঞ্চিত হবে৷ ৭৭(১), ৭৮, ৭৯, ৮০ ধারা অনুযায়ী ২৯৯ জন পর্যন্ত শ্রমিক কাজ করে এমন উৎপাদন সংস্থার মালিকরা সরকারি অনুমতি ছাড়া খুশিমতো শ্রমিক ছাঁটাই, লে–ফ, লক–আডট করা ও ক্লোজার করার অধিকার পাবে৷ অথচ প্রচলিত আইন আইডি অ্যাক্ট–১৯৪৭–এর ‘২৫আর’ ধারা অনুযায়ী ১০০ বা তার বেশি কাজ করে এমন সংস্থায় শ্রমিকস্বার্থ বিরোধী এই পদক্ষেপের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি ছিল বাধ্যতামূলক৷ আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশীয় শিল্পে এই নতুন নিয়ম চালু হলে ৭৪ শতাংশ শ্রমিকের উপর মালিকরা অবাধে ছাঁটাই, ক্লোজার, লে–ফ, লক–আডটের খাঁড়া নামিয়ে আনবে৷ এই কোডের ২৪(১) ধারা অনুযায়ী ৩০০–এর কম শ্রমিক বিশিষ্ট শিল্পসংস্থায় ‘স্ট্যান্ডিং অর্ডার’ কার্যকরী হবে না৷ ফলে একটি বিরাট অংশের শ্রমিক বেতন, ছুটি, হাজিরা ও কাজের শর্তাবলি নির্ধারণের জন্য দর–কষাকষির অধিকার হারাবে৷ এই কোডের ৬২(১) ধারা অনুযায়ী শ্রমিকদের ধর্মঘট করার অধিকারকে নানা নিয়মের বেড়াজালে ফেলে খর্ব করা হয়েছে৷ ধর্মঘট করতে হলে ১৪ দিন আগে শ্রমিক ইডনিয়নকে নোটিশ দিতে হবে৷ অথচ প্রচলিত আইনে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া অন্য কোথাও নোটিশ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়৷ নোটিশ ছাড়া ধর্মঘট করলে কোড অনুযায়ী তা বেআইনি ঘোষিত হবে৷ আবার শ্রমিকদের দাবি নিয়ে কর্তৃপক্ষ বা সরকারি স্তরে আলোচনা শুরু হলে ধর্মঘট করা যাবে না৷ ফলে আলোচনা দীর্ঘায়িত করে ধর্মঘটে বাধা দেওয়া হবে৷ এমনকি অর্ধেকের বেশি শ্রমিক একসাথে ছুটি নিলেও মালিক পক্ষ ধর্মঘটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে৷
৩) অকু পেশনাল সেফটি হেলথ অ্যান্ড কন্ডিশন অফ ওয়ার্ক কোডঃ এইকোড অনুযায়ী কোনও বিদ্যুৎ চালিত ডৎপাদন সংস্থায় ১৯ জন শ্রমিক এবং বিদ্যুৎচালিত নয় এমন সংস্থায় ৩৯ জন শ্রমিক নিযুক্ত থাকলে শ্রমিকরা শ্রম–আইনের কোনও সুযোগ–সুবিধা পাবেন না৷ প্রচলিত আইনে বিদ্যুৎ চালিত সংস্থায় ১০ জন এবং বিদ্যুৎ চালিত নয় এমন সংস্থায় ২০ জন থাকলে শ্রমিকরা শ্রম–আইনের সুযোগ পেয়ে থাকে৷ এ ক্ষেত্রেওকেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি এই শ্রম–কোড কর্পোরেটদের স্বার্থেরই পরিপূরক৷
এই কোড অনুযায়ী কোনও কনট্রাক্টর ৫০ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করতে চাইলে তার লাইসেন্স লাগবে৷ যদিও বর্তমান আইনে ২০ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করতে হলেই লাইসেন্স বাধ্যতামূলক৷ ফলে নতুন কোডে কনট্রাক্টরা লাইসেন্স ছাড়াই পূর্বাপেক্ষা দ্বিগুণেরও বেশি শ্রমিককে নিয়ে কাজ করার আইনি সুযোগ পাবে৷
এই কোডের ৪৯ ধারা অনুযায়ী ৯ জন পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করেন এমন সংস্থায় এই কোড কার্যকরী হবে না৷পুরনো আইনে তা ৫ জন বলা ছিল৷ ২০১৩–১৪ ইকনমিক সেনসাস–এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৭০শতাংশ সংস্থায় ৬ জনের কম পরিযায়ী শ্রমিক নিযুক্ত৷ এই ধরনের সংস্থায় বর্তমানে পরিযায়ী শ্রমিকরা যতটুকু শ্রম–আইনের সুযোগ–সুবিধা পায়, নতুন শ্রম–কোড চালু হলে তারা শ্রম–আইনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে৷
শ্রম–কোডে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বা আহত হওয়ার ঘটনায় নোটিশ পাওয়ার ২ মাসের মধ্যে তদন্ত করার উল্লেখ আছে, যেখানে প্রচলিত ফ্যাক্টরিজ অ্যাক্টে ওই সময়সীমা ১ মাস৷ এর ফলে নতুন কোডে এই রকম বিপজ্জনক ঘটনায় দ্রুততার সাথে তদন্তের প্রশ্নটি লঘু হয়ে যাচ্ছে৷ শ্রম–কোডের ৩৪–৪২ নং ধারায় ইন্সপেক্টর পদ উঠিয়ে দিয়ে ইন্সপেক্টর কাম ফেসিলিটেটর পদ আনা হচ্ছে এবং তাঁদের নিয়মিত মালিকদের কাজ পরিদর্শন করার অধিকার লঘু করা হয়েছে৷ এর ফলে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ পাওয়া দীর্ঘায়িত হবে৷ ইন্সপেক্টররা সরকারের আগাম অনুমতি ছাড়া বিনা নোটিশে পরিদর্শন করতে পারবেন না৷ তাছাড়া অন–লাইন পরিদর্শনে গুরুত্ব দিয়ে মালিকদের বেনিয়ম আড়াল করার সুযোগ প্রসারিত হবে৷
শ্রম–কোডে স্থায়ী কাজে, এমনকি কোর অ্যাক্টিভিটিতেও ঠিকা শ্রমিক নিয়োগের বিধি–নিষেধ তুলে দিয়ে ঠিকাকরণের ক্ষেত্রকে ব্যাপক সম্প্রসারিত করা হচ্ছে৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের ডিসপ্লেসমেন্ট অ্যালাডন্স তুলে দিয়ে তাদের প্রচলিত আর্থিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে৷
৪) সোস্যাল সিকিডরিটিকোডঃ এই কোড শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পের পরিসর সংকুচিত করবে৷ সামাজিক সুরক্ষা থেকে বহু শ্রমিককে বঞ্চিত করবে৷ অন্যদিকে নিয়োগকর্তা, ঠিকাদারদের হাত শক্ত করবে৷ ত্রিপাক্ষিক কমিটিগুলিকে এড়িয়ে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলিকে পদদলিত করে এই কোড নির্মাণ, বিড়ি সহ নানা কল্যাণ তহবিল, পিএফ, ইএসআই সহ বিভিন্ন তহবিলে সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপ বৃদ্ধি করবে৷ যদিও ওই সমস্ত তহবিলগুলিতে সরকারের কোনও অনুদান নেই৷ এই কোডে পিএফ–এ দেয় অর্থের পরিমান ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করায় ওই তহবিলে ৪ শতাংশ অর্থ কমছে৷ ইএসআই–এর গুরুত্ব নানাভাবে লঘু করা হচ্ছে৷
কেন্দ্রীয় সরকার বলছে এই শ্রম–আইন সংস্কার দেশে ব্যবসার পথ মসৃণ করবে৷ যার ফলে ভারত বিশ্বের প্রথম ১০টি ডন্নত দেশের মধ্যে চলে আসবে৷ ব্যবসার এই অগ্রগতিতে একচেটিয়া পুঁজিপতিদের মুনাফার পাহাড় বাড়বে৷ একচেটিয়া মালিকদের দেশে এবং বিদেশে খাটা লগ্ণি–পুঁজির বিশাল অগ্রগতি একমাত্র সম্ভব দেশের শ্রমিকদেরওপর শোষণ তীব্রতর করেই৷ তার জন্য এই শ্রম–আইন সংস্কার৷ বহু রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের বিনিময়ে একদিন প্রচলিত শ্রম–আইনগুলি শ্রমিকরা অর্জন করেছিল৷ আজ তা কেড়ে নিচ্ছে বিজেপি সরকার৷ এআইইউটিইউসি সহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনগুলি এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে সোচ্চার৷