স্বাধীনতা সংগ্রামের আপসহীন ধারার বীর বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্তের ১১০তম জন্মদিন ২৯ এপ্রিল৷ ‘লবণ আইন অমান্য’ আন্দোলনের সময় ১৯৩১ সালের ৭ এপ্রিল অত্যাচারী জেলাশাসক পেডিকে কলেজিয়েট স্কুলের একটি কক্ষে তিনি এবং জ্যোতিজীবন ঘোষ চরম শাস্তি দেন৷ পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভাপতি ভিলিয়ার্সকে শাস্তি দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন৷ নিশ্চিত ফাঁসি থেকে রক্ষা পেলেও প্রবল অত্যাচার করে তাকে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত করা হয়৷
স্বাধীন ভারতবর্ষে সরকারি কোনও সাহায্য না নিয়ে মাথা উঁচু করে কলেজিয়েট স্কুলে টিফিন বিক্রি করে জীবন নির্বাহ করেছেন৷ তাঁদের আকাঙিক্ষত স্বাধীনতার পরিবর্তে দেশ আপসমুখী নেতৃত্বের হাত ধরে পুঁজিপতিদের কুক্ষিগত হওয়ায় শোষণমুক্তির লক্ষ্যে আমৃত্যু বিভিন্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন৷ স্বপ্ন দেখেছেন ছাত্র–যুবদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শোষণমুক্ত ভারতবর্ষের৷
বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত স্মৃতিরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে এই বিপ্লবীর জন্মদিনটি যথাযথ মর্যাদায় মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের সামনে তাঁর পূর্ণাবয়ব মূর্তির পাদদেশে পালন করা হয়৷ উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জগবন্ধু অধিকারী, সম্পাদক পঞ্চানন প্রধান, শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব পঙ্কজ পাত্র, দীপক বসু, অমল মাইতি সহ স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্র–ছাত্রী৷ পঞ্চানন বাবু বিমল দাশগুপ্তদের মতো বিপ্লবীদের অপূরিত স্বপ্ন পুরণে এগিয়ে আসার জন্য ছাত্রযুবদের আহ্বান জানান৷