অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির পক্ষ থেকে ২৩ জুলাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে বিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয়। কমিটির সম্পাদক অধ্যাপক তরুণ নস্কর বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। কোভিড সংক্রমণকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল শিক্ষাকেই শিক্ষার মূল ধারা হিসেবে নিয়ে আসার ষড়যন্ত্র করছে।
কিন্তু অনলাইন শিক্ষা যে মূল ধারার শ্রেণি-কক্ষ শিক্ষার বিকল্প হতে পারে না, এ কথা গত দেড় বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছাত্র-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-অভিভাবক-বুদ্ধিজীবী সহ অনেকেই বুঝতে পারছেন। আইসিএমআরও স্কুল খোলার সুপারিশ করেছে। তিনি বলেন, যুদ্ধকালীন গুরুত্ব সহকারে ১২ -১৮ বছর বয়সী সমেত সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের টিকাকরণ করতে হবে এবং সমস্ত রকম কোভিড প্রোটোকল মেনেই অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ ১২-১৮ বছর বয়সী সমস্ত স্কুল ছাত্রদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকাকরণ করে স্কুল চালু করছে। তা হলে ভারত পারবে না কেন? ১২-১৮ বছর বয়সীদের টিকা বাজারে এসেছে এবং ভারত সরকারও সেগুলির ছাড়পত্র দিয়েছে ও বাজার থেকে কেনার অনুমতি দিয়েছে। তা হলে কেন এত বিলম্ব? আসলে ডিজিটাল শিক্ষাকেই তথাকথিত ‘নিউ নর্মাল’ করে তোলার লক্ষে্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে না। কমিটির দাবি, কোভিড প্রোটোকল মেনে অবিলম্বে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে।
পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচনের সময় সমস্ত রকম ভোটকর্মীর যদি সম্পূর্ণ টিকাকরণ সম্ভব হয় বা ভবানীপুর সহ নানা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য সিংহভাগ নাগরিকের যদি টিকাকরণ সম্ভব হয় তা হলে স্কুল-কলেজ খোলার স্বার্থে সকল ছাত্রের জন্য তা সম্ভব বলে আমরা মনে করি।