মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসাবে নিয়োগের বিল পাশ করানো এবং গরমের কারণ দেখিয়ে আরও ১১ দিন ছুটি বাড়ানোর তীব্র বিরোধিতা করে ও সর্বত্র শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ১৩ জুন এক বিবৃতিতে বলেন,
আজ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য হিসেবে নিয়োগ করার বিল পাস করানোর দ্বারা শিক্ষায় আরও দলীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করা হল। এর দ্বারা গণতান্ত্রিক শিক্ষার উপর রাজ্যের তৃণমূল সরকার যেমন নগ্ন আক্রমণ নামিয়ে আনল, তেমনই গ্রীষ্মের কারণ দেখিয়ে আরও ১১ দিন ছুটি বাড়ানোর মাধ্যমে স্কুলশিক্ষাকে বাস্তবে প্রহসনে পরিণত করার দিকে আরও একধাপ ঠেলে দেওয়া হল। আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল বা মুখ্যমন্ত্রী নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে আসীন হওয়া উচিত যথার্থ কোনও শিক্ষাবিদের। এটাই গণতান্ত্রিক শিক্ষা ও স্বাধিকার রক্ষার রীতি। কংগ্রেস, বিজেপি সহ সরকারি ক্ষমতায় থাকা দলগুলি গণতান্ত্রিক শিক্ষার এই রীতির উপর ক্রমাগত আক্রমণ করছে। আমরা এই অগণতান্ত্রিক ও শিক্ষাস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
আরও নিন্দনীয় হল, বিজেপির প্ররোচনামূলক মন্তব্যের পরিণামে যখন শান্তি-সম্প্রীতি বিঘ্নিত হচ্ছে, নানা জায়গায় বিচ্ছিন্ন, অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটছে, তখন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষার দিকে নজর না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার জন্য তড়িঘড়ি বিল পাশ করাতে ব্যস্ত হয়ে উঠল রাজ্য সরকার। আজও বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার বাইরে ‘হিন্দু ধর্মে’র মানুষকে এক হওয়ার স্লোগান দিয়ে বিজেপির মুখপাত্রের মন্তব্য যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল, তা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করলেন। আমরা ধর্ম ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে সকল প্রকার মৌলবাদের বিরুদ্ধে জনজীবনের সমস্যা সমাধানের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।