শিক্ষকদের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে সরকারি সমস্ত অনুষ্ঠান বয়কট করে কলকাতার বাঁশদ্রোণী, হাওড়ার বেলপুকুর, পূর্ব মেদিনীপুরের মেছেদা, বাঁকুড়ার ইন্দপুর, বীরভূমের বোলপুর, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর সহ রাজ্যের সর্বত্র বিক্ষোভ সভা, মিছিল এবং অনলাইন প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
অনলাইন সভায় মুখ্য বক্তা ছিলেন সমিতির পূর্বতন সম্পাদক, শিক্ষক আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা কার্তিক সাহা। বক্তব্য রাখেন সমিতির পূর্বতন সভাপতি অজিত হোড়, পুরুলিয়া জেলার প্রাক্তন সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোসাব্বর হোসেন।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা, সিলেবাস তৈরি, নিয়োগ, বদলি ইত্যাদি কোনও ক্ষেত্রেই শিক্ষকদের মতামতের কোনও তোয়াক্কা সরকার করে না। কেবলমাত্র সরকারের নির্দেশ কার্যকর করাই যেন শিক্ষকদের কাজ। অন্যথায় গালমন্দ, শারীরিক নির্যাতন পর্যন্ত সরকারি কর্তারা করেন। চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দূরবর্তী জেলায় অনৈতিক বদলি করে দেওয়া তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আনন্দ হাণ্ডা ২১ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্তর থেকে পঠন-পাঠন চালুর দাবিতে নবান্ন অভিযানের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।