১১ জানুয়ারি এক অভূতপূর্ব সমাবেশের সাক্ষী থাকল দক্ষিণ ২৪ পরগণা। এ দিন এক বিরাট সমাবেশে সংগ্রামী এই জেলার গণআন্দোলনের ১৮৪ জন শহিদকে স্মরণ করল এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)।
সদ্য স্বাধীন ভারতে একটা সঠিক কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার সুকঠিন সংগ্রাম শুরু করেছিলেন শোষণমুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখা গুটিকয় তরুণ। ১৯৪৮ সালের ২৪ এপ্রিল রূপ পেয়েছিল সেই স্বপ্ন। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার জয়নগরের মাটিতে জন্ম নিয়েছিল এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) দল। ভারতের মাটিতে একটি যথার্থ কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তুলতে গিয়ে মার্কসবাদ- লেনিনবাদের বিশেষীকৃত রূপ দিয়েছিলেন মহান মার্কসবাদী চিন্তানায়ক কমরেড শিবদাস ঘোষ। তাঁর চিন্তার আলোকে কমরেড শচীন ব্যানার্জীর সুযোগ্য সংগঠন পরিচালনা, সুবোধ ব্যানার্জী প্রমুখ নেতাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে জেলার জয়নগর, কুলতলি, ক্যানিং, মথুরাপুর, মন্দিরবাজার, গোসাবা, বাসন্তী, কাকদ্বীপ, নামখানা, বারুইপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় হাজার হাজার মানুষ চিনেছিলেন তাঁদের জীবনের সমস্যার প্রকৃত কারণটিকে। ভোট সর্বস্ব বুর্জোয়া রাজনীতির বদলে তাঁরা তুলে নিয়েছিলেন সমাজবদলের রাজনীতির ঝান্ডাটিকে।
যত দিন গেছে তৎকালীন কংগ্রেস শাসকদের মদতে জোতদার-জমিদারদের প্রবল অত্যাচার আর পুলিশের জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর একমাত্র শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)। শুরুর দিন থেকেই দেশের সমস্ত শাসকদল আর কায়েমী স্বার্থের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে এই দলটি। দলের শুরুর সেই দিনগুলিতে কংগ্রেসী সরকার, জোতদার জমিদারদের আক্রমণে শহিদ হয়েছেন বহু এস ইউ সি আই (সি) নেতা-কর্মী। আবার সিপিএম রাজ্যে সরকারে এলে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সেই কংগ্রেসী নেতারাই ভোল বদলে সিপিএম হয়ে একই ভাবে চালিয়েছে আক্রমণ নির্যাতন। একের পর এক খুন, ধর্ষণ, ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া, পুলিশ আর গুণ্ডা লেলিয়ে ঘর থেকে উৎখাৎ করা, মিথ্যা মামলায় নেতা-কর্মীদের জেল খাটানো চলেছে দিনের পর দিন। কত পরিবার বাধ্য হয়েছে গ্রামের ঘরবাড়ি ছেড়ে কলকাতার রাস্তায় গিয়ে আশ্রয় নিতে, রিক্সা চালিয়ে দিনগুজরান করতে, তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু মাথা তাঁরা নিচু করেননি। যে আদর্শ বুকে নিয়ে গরিবের অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে এত অত্যাচার সহ্য করেছেন, সেই আদর্শকে তাঁরা বুকেই ধরে রেখেছেন। মুছে ফেলতে পারেনি কেউ। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে এলে সেই পুরনো কংগ্রেসী আর সিপিএম দুষ্কৃতীরাই ঢুকেছে তাদের দলে। গরিব মানুষ এস ইউ সি আই (সি)-র সাথেই থেকেছেন। চলেছে নির্যাতন আর খুনের রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পালা।
শুধু এক দঃ ২৪ পরগণাতেই গণআন্দোলনের ঝান্ডা উঁচু করে ধরে রাখতে প্রাণ দিতে হয়েছে ১৮৪ জন সংগ্রামী মানুষকে। এতেই বোঝা যায় অত্যাচারী শাসক আর কায়েমী স্বার্থের কত বড় শত্রু এই দলটি। আর বোঝা যায়, খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে তীব্র আবেগপূর্ণ কী অসাধারণ সাহস এবং মনুষ্যত্বের জোর সৃষ্টি করতে পেরেছে এস ইউ সি আই (সি)। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও শহিদ হয়েছেন বহু কর্মী-নেতা। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগণার এই সংগ্রাম অনন্য। ১১ জানুয়ারি ছিল এমনই এক শহিদ সর্বজনপ্রিয় কমরেড আমির আলি হালদারের স্মরণদিবস। এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছিল এস ইউ সি আই (সি) এই জেলার ১৮৪ জন শহিদের অমূল্য আত্মদান আরও একবার স্মরণ করতে।
ভোর থেকেই নৌকা, গাড়ি, বাসে অথবা পায়ে হেঁটে মানুষ রওনা হয়েছেন সভার উদ্দেশে। বকুলতলা-নতুনহাটের মাঠে বিশাল মঞ্চ রূপ নিয়েছে যেন এক অতিকায় রক্তপতাকার, তার গা দিয়ে গড়িয়ে নেমেছে শহিদের রক্তের দাগ।
সমাবেশ স্থলে ঢোকার আগে রাস্তার একদিক শহিদদের তালিকা দিয়ে সাজানো, অন্যদিকে জেলার গ্রামে গ্রামে শহিদদের স্মৃতিতে তৈরি বেদি, পার্টির প্রথম কংগ্রেস সহ নানা ঐতিহাসিক মুহূর্তে দলের নেতাদের ছবি, চোখের জলে শহিদ বিদায়ের মুহূর্ত এবং দলের মুখপত্র গণদাবীর পাতা থেকে তুলে ধরা কিছু ঐতিহাসিক ছবি ও রচনা। সমাবেশে আসা মানুষ সারি দিয়ে দেখছেন। এই শহিদরা তাঁদের অনেকেরই ঘরের কিংবা ঘরের পাশের লোক। এ জেলার এমন কোনও অঞ্চল নেই যেখানকার অন্তত একজন এস ইউ সি আই (সি) নেতা-কর্মী শহিন হননি। ছোটদের কাছে এই ইতিহাস চিনিয়ে দিচ্ছেন বড়রা। আন্দোলনের উত্তাপে নিজেদের জারিত করছেন।
চাষি-মজুর ঘরের মানুষ ভিড় করেছেন বইয়ের স্টলে, জানার প্রয়োজন তাঁদেরই যে বেশি। জনসমাগম যত বাড়ছে ততই যেন দৃঢ় হচ্ছে শৃঙ্খলা। যুবক-বৃদ্ধ-মহিলারা তো বটেই কিশোররাও শৃঙ্খলাবদ্ধ নিজে থেকেই।
মঞ্চের বাঁ দিকে শহিদ কমরেড আমির আলি হালদারের ছবি, ডানদিকে কালো-সাদায় তৈরি সুউচ্চ শহিদ বেদি। বেদির উপরে উড়ছে শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি জনতার প্রতীক কাস্তে-হাতুড়ি-তারা চিহ্ন আঁকা লালপতাকা। একে একে মিছিল ঢুকছে। যেখানেই এই সমাবেশের বার্তা পৌঁছেছে, সেখান থেকেই হাজির হয়েছেন বৃদ্ধ, মহিলা, ছাত্র, যুবক, সন্তান কোলে বাবা-মা। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী, মৈপীঠ থেকে শুরু করে রায়দিঘি, কঙ্কনদিঘি, জালাবেড়িয়া, ক্যানিং, গোদাবর-কুন্দখালি সহ অসংখ্য অঞ্চল থেকে এসেছেন কর্মী-সমর্থকরা। মাঠ উপচে পড়েছে, সামনের রাস্তা ছাপিয়ে ভিড় উপচে পড়েছে উল্টোদিকে। পাশের বাড়িগুলির ছাদে কয়েক হাজার মানুষ তখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নেতারা কী বলেন তা শোনার জন্য। আন্দোলনের উপযুক্ত সৈনিক হিসাবে নিজেদের কীভাবে গড়ে তুলতে হবে তা বুঝে নেওয়ার জন্য তৈরি ছাত্র-যুবকেরা। অসংখ্য মানুষ নিজের থেকে মাল্যদান করছেন শহিদ বেদিতে। কেউ কেউ ভেঙে পড়ছেন কান্নায়।
শুরু হয়ে গেল সভার কাজ। ২০ হাজার মানুষের এই সমাগম নিছক ভিড় নয়। এক মানুষের মতো ঐক্যবদ্ধ প্রতিটি মানুষ। তাই সভার শুরু থেকেই ভাবগম্ভীর নীরবতা নেমে এল সভা জুড়ে। দলের পলিটবুরো সদস্য, দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সম্পাদক কমরেড দেবপ্রসাদ সরকার গ্রহণ করলেন সভাপতিত্বের দায়িত্ব। সংগ্রামী মৈপীঠ নিয়ে পরিবেশিত সঙ্গীত চোখে জল এনে দিল সবার।শহিদ মাধাই হালদারের স্মৃতিতে সঙ্গীত যখন চলছে গোটা মাঠে তখন গভীর নৈঃশব্দ।
মাল্যদান পর্বের শুরুতেই সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষের পক্ষে মাল্যদান করলেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড নন্দ কুণ্ডু। এরপর একে একে রাজ্য কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন। মাল্যদান করেন পলিটবুরো সদস্য কমরেড সৌমেন বসু এবং জেলা সম্পাদক ও কমরেড দেবপ্রসাদ সরকার। কমরেড শিবদাস ঘোষ স্মরণে রচিত সঙ্গীত পরিবেশন করা হল। কিশোর সংগঠন কমসোমল সদস্যরা শহিদদের প্রতি গার্ড অফ অনারের পর একে একে শহিদ পরিবারগুলির হাতে স্মারক তুলে দিতে শুরু করলেন নেতৃবৃন্দ। স্মারক নিতে গিয়ে শহিদ পরিবারের সদস্যদের চোখে শোকের জল আর সংগ্রামের আগুন যেন একই সাথে ঝিলিক দিচ্ছে। ভিজে ওঠে মাঠভর্তি কর্মী-সমর্থকদের চোখ।
পূর্বতন জেলা কমিটির সদস্য, জেলার প্রবাদপ্রতিম নেতা কমরেড রবীন মণ্ডল বয়সজনিত কারণে উপস্থিত থাকতে না পারায় পাঠিয়েছেন একটি অসাধারণ প্রেরণাময় বার্তা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক জয়কৃষ্ণ হালদার আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ করে গণআন্দোলন তীব্র করার শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান। দল আজ দেশের মানুষের বুকে শ্রদ্ধার যে আসন লাভ করেছে, তার ভিত্তি স্থাপন করেছেন জেলার শহিদ কমরেডরা ও তাদের পরিজনেরা– বললেন প্রাক্তন বিধায়ক তরুণ নস্কর। কমরেড আমির আলি হালদার কমরেড শিবদাস ঘোষের চিন্তার ভিত্তিতে কৃষক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন এআইকেকেএমএসের নেতৃত্বে। আমাদের সেই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে– বললেন প্রাক্তন বিধায়ক দলের রাজ্য কমিটির সদস্য কমরেড প্রবোধ পুরকায়েত। প্রাক্তন সাংসদ তরুণ মণ্ডল বললেন, এমএলএ-এমপি দিয়ে দলের শক্তি প্রমাণ হয় না। শক্তি প্রমাণ হয় ভগৎ সিং, প্রীতিলতার মতো সংগ্রামী চরিত্র অর্জনে কোন দল কত এগিয়ে তা দিয়ে।
কমরেড সৌমেন বসু সংক্ষেপে তুলে ধরলেন শহিদ কমরেড আমির আলি হালদারের চরিত্রকে। কমরেড শিবদাস ঘোষ কেমন করে এই কমরেডকে ‘রত্ন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন, তা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বলেন, এখন গরু কেনাবেচার মতো নেতা কেনার রাজনীতি চলছে। নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি-তৃণমূল এই দলগুলি ধান্ধাবাজি করছে, ভণ্ডামি করছে, মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করছে। ছাত্র-যুব সমাজকে নষ্ট করার চক্রান্ত করছে পুঁজিপতিরা ও তাদের সেবক এই দলগুলি। প্রকৃত মানুষ যাতে গড়ে উঠতে না পারে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে না পারে, তার জন্য মানুষ গড়ে তোলার প্রক্রিয়াতেই আঘাত হানছে– আপনারা এর বিরুদ্ধে লড়ূন। তিনি বলেন, ব্রিটিশের দয়াভিক্ষা করেছে যে বিজেপি-আরএসএস, নেতাজিকে গালি দিয়েছে যে সিপিআই-সিপিএম তারা আজ নেতাজি চর্চায় মেতেছে। তাদের কোনও অধিকার নেই নেতাজির জন্মদিবস পালনের।
দলের রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য বললেন, আমাদের দল একটা বিশাল পরিবার। জাত-ধর্ম নির্বিশেষে, মধ্যবিত্ত-গরিব নির্বিশেষে সকলেই একই পরিবারের সদস্য। এভাবেই দলকে গড়ে তুলেছিলেন সর্বহারার মহান নেতা বিশিষ্ট মার্কসবাদী চিন্তানায়ক কমরেড শিবদাস ঘোষ। এই পরিবারের একজন শহিদ হলে, তাঁর মৃত্যুতে চোখের জলে শপথ নিয়ে গণআন্দোলনের পতাকা বইতে এগিয়ে আসে অন্যরা। একজনের ঘর শাসক দল ভেঙে দিলে, পুড়িয়ে দিলে আরেক জন এগিয়ে এসে গড়ে দেয়। শহিদ পরিবারের সঙ্গে সবসময় সাক্ষাৎ না হলেও মনের দূরত্ব কখনওই তৈরি হয়নি। আজ শহিদ-স্মরণ অনুষ্ঠানে আমরা আবার একত্র হলাম। শহিদদের অপূরিত কাজ আমরা কাঁধে তুলে নেব এই শপথ নিয়ে। বললেন, বিজেপি হোক তৃণমূল হোক, অন্য যে কোনও জনবিরোধী শক্তি হোক এই একতার ভিত্তিতেই তাকে রুখে দিতে পারব আমরা।– সেই শপথ নিতেই তো এত কষ্ট করে এসেছেন এত মানুষ।
শেষে আন্তর্জাতিক সঙ্গীতের পর সভায় উচ্চারিত সেই কথার অনুরণনই যেন প্রতিধ্বনিত হতে থাকে – ‘মানুষই যদি হতে না পারলাম, তাহলে জীবনের সার্থকতা কী!’ সেই মানুষ হওয়ার সংগ্রাম, মানুষ হয়ে লড়াই গড়ে তোলার শপথ নিয়েই গ্রামে গ্রামে ফিরে গেলেন সংগ্রামী মানুষেরা।
কংগ্রেস-সিপিএম-তৃণমূল শাসকদের আক্রমণে নিহত দক্ষিণ ২৪ পরগণায় গণআন্দোলনের অমর শহিদ
মৈপীঠ-বৈকুণ্ঠপুর
১. কৃপাসিন্ধু হালদার, ২. দুলাল ঝকড়, ৩. ভূপতি মণ্ডল, ৪. নিমাই পুরকাইত, ৫. সুখময় পুরকাইত, ৬. আওলাদ শেখ, ৭. পালান হালদার, ৮. উত্তম মুণ্ডা, ৯. ভক্তি জানা, ১০. আরতি জানা, ১১. পূর্ণিমা ঘোড়ুই, ১২. জগন্নাথ মান্না, ১৩. সূর্য জানা, ১৪. ঈশ্বর দাস, ১৫. সুধাংশু জানা ১৬. নিতাই হালদার।
গুড়গুড়িয়া-ভুবনেশ্বরী
১৭. গোষ্ঠ আড়ি, ১৮. নগেন মণ্ডল, ১৯. দুর্গা মুদী, ২০. সুষেন মাইতি, ২১. দিলীপ গিরি, ২২. সুবল মণ্ডল, ২৩. কৃত্তিবাস গিরি, ২৪. গোপাল ঘোষ, ২৫. মনোরঞ্জন শাসমল, ২৬. জয়দেব পাইক, ২৭. অনন্ত প্রধান।
দেউলবাড়ি
২৮. সুধীর হালদার, ২৯. ভূধর সরদার, ৩০. নুরুল ইসলাম মোল্লা, ৩১. জাকির শেখ, ৩২. আমিনদ্দিন লস্কর।
গোপালগঞ্জ
৩৩. রতিকান্ত হালদার, ৩৪. পুতুল ঘোষ, ৩৫. বাঁটুল হালদার, ৩৬. রহিমবকস সরদার, ৩৭. দিলীপ হালদার, ৩৮. অমিত হালদার, ৩৯. সুভাষ দাস, ৪০. মধুসূদন অধিকারী।
গোদাবর কুন্দখালি
৪১. গঙ্গা মণ্ডল, ৪২. শহরালি ঢালী, ৪৩. বাসুদেব হালদার।
মেরিগঞ্জ – ২
৪৪. গোপাল নস্কর, ৪৫. বিমল মণ্ডল।
মেরিগঞ্জ – ১
৪৬. মোকাররম খাঁ, ৪৭. পঞ্চু নস্কর, ৪৮. সাহাবুদ্দিন খাঁ, ৪৯. সাইফুল সরদার, ৫০. সারজেদ আলি মোল্লা, ৫১. মিলন নস্কর।
জালাবেড়িয়া – ১
৫২. জয়নাল সরদার, ৫৩. শহিদুল্লা শেখ, ৫৪. হৃদয় হালদার, ৫৫. গোবিন্দ বৈদ্য, ৫৬. আবু তাহের সরদার, ৫৭. মান্নান সরদার, ৫৮. সঈদ আলি মণ্ডল।
জালাবেড়িয়া – ২
৫৯. পাঁচু বণিক, ৬০. গোঁসাই হালদার, ৬১. আনন্দ হালদার, ৬২. বঙ্কিম মণ্ডল, ৬৩. মুছা লস্কর, ৬৪. মোবারক লস্কর, ৬৫. শ্রীকান্ত কয়াল, ৬৬. নফের লস্কর, ৬৭. অঞ্জলি নস্কর, ৬৮. সুনীল নস্কর, ৬৯. সাহেব মোল্লা, ৭০. রাম সরদার, ৭১. হরিদাস মণ্ডল।
মনিরতট
৭২. হাকিম শেখ, ৭৩. হাসেম খাঁ।
চুপড়িঝাড়া
৭৪. মুছা লস্কর, ৭৫. অম্বিক মণ্ডল,
৭৬. আবেদালি সেখ, ৭৭. শশধর বর।
নলগোড়া
৭৮. অশোক হালদার, ৭৯. মোসলেম মিস্ত্রী, ৮০. পাদ্রীক বৈদ্য, ৮১. দুলাল বৈরাগী।
বাইশহাটা
৮২. আমিরালি হালদার, ৮৩. আব্দুল ওহাব মোল্লা, ৮৪. ফয়জদ্দিন লস্কর, ৮৫. তাহেরালি শেখ,
৮৬. আয়ুব শেখ, ৮৭. মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল, ৮৮. আরশেদ গাজী, ৮৯. আসরাফ শেখ।
বেলে দুর্গানগর
৯০. জয়নাল খাঁ, ৯১. জামাত খাঁ, ৯২. মোকসেদ আলি খাঁ, ৯৩. জুব্বার খাঁ, ৯৪. আলেম খাঁ, ৯৫. রুহুল আমিন খাঁ, ৯৬. সওকাৎ খাঁ, ৯৭. মানিক হালদার, ৯৮. জনাব খাঁ, ৯৯. প্রভাস বৈদ্য, ১০০. প্রফুল্ল বৈদ্য, ১০১. গীতা ঘরামী, ১০২. ইন্দ্রজিৎ নস্কর, ১০৩. অমূল্য নস্কর।
বামনগাছি
১০৪. ধনঞ্জয় নস্কর, ১০৫. ইয়াকুব মোল্লা, ১০৬. তোয়েব মোল্লা, ১০৭. আহাদালি সরদার, ১০৮. জাহাঙ্গীর সরদার, ১০৯. লতিফ হালদার, ১১০. ইব্রাহিম মোল্লা, ১১১. বিরূপাক্ষ মণ্ডল।
চালতাবেড়িয়া
১১২. সালাম লস্কর, ১১৩. কার্ত্তিক মণ্ডল, ১১৪. খোদাবকস মোল্লা, ১১৫. মজিদ মোল্লা, ১১৬. বিশ্বনাথ বৈদ্য, ১১৭. গৌরাঙ্গ মণ্ডল।
ঢোষাচন্দনেশ্বর
১১৮. দয়াল মণ্ডল, ১১৯. স্বয়ম্বর মণ্ডল, ১২০. বলরাম মণ্ডল, ১২১. রামপ্রসাদ হালদার, ১২২. সাধন মণ্ডল, ১২৩. গোবিন্দ হালদার, ১২৪. মনিরুল সরদার, ১২৫. হাসেম সরদার, ১২৬. জাকির সরদার, ১২৭. আলিহোসেন হালদার।
গড়দেওয়ান
১২৮. রাধাকান্ত প্রামাণিক, ১২৯. মনসুর মণ্ডল, ১৩০. সফিউল্লা বৈদ্য।
মায়াহাউড়ি
১৩১. বিদ্যাধর হালদার, ১৩২. অমল হালদার।
রাজাপুর করাবেগ
১৩৩. মধুসূদন নাইয়া, ১৩৪. মদিনা মণ্ডল, ১৩৫. মর্জিনা পৈলান, ১৩৬. আসরাফ সরদার।
হরিনারায়ণপুর
১৩৭. শহিদুল লস্কর।
কঙ্কনদিঘী
১৩৮. জ্যোতিষ হালদার, ১৩৯. সুদর্শন মাইতি, ১৪০. কালীপদ সরদার, ১৪১. পুলিন শিকারী, ১৪২. ইদ্রিশ শেখ, ১৪৩. দশরথ বর, ১৪৪. মাধাই মুদি, ১৪৫. সন্তোষ মণ্ডল, ১৪৬. গৌর সরদার।
রায়দিঘী
১৪৭. করালী মোহন মাঝি।
কুমড়োপাড়া
১৪৮. সূর্যকান্ত মণ্ডল, ১৪৯. তুলসী হালদার।
রাধাকান্তপুর
১৫০. মাধাই হালদার, ১৫১. সঞ্জয় পুরকাইত।
জগদীশপুর
১৫২. বিভূতি হালদার।
শংকরপুর
১৫৩. ইলিয়াস পুরকাইত, ১৫৪. ইউসুফ মোল্লা,
১৫৫. আজিজ রহমান পুরকাইত।
দক্ষিণ লক্ষ্মীনারায়ণপুর
১৫৬. অনুকুল পাইক।
কৌতলা
১৫৭. দিলীপ হালদার।
আবাদ ভগবানপুর
১৫৮. মন্মথ হালদার।
গাববেড়িয়া
১৫৯. প্রফুল্ল ঘরামী, ১৬০. মোহন পাইক।
দিগম্বরপুর
১৬১. শান্তিরাম সরদার।
পূর্ণচন্দ্রপুর
১৬২. জেহেন আলি মোল্লা।
গোপালপুর
১৬৩. সুজাউদ্দিন আখন্দ, ১৬৪. কাজেম আলি লস্কর, ১৬৫. আহাদ আলি জমাদার, ১৬৬. এরাদালি সরদার, ১৬৭. নবকুমার মণ্ডল, ১৬৮. ইয়াকুব লস্কর, ১৬৯. কুচো সরদার, ১৭০. পাঁচু সরদার, ১৭১. গোলক মণ্ডল, ১৭২. সিদ্দিক সরদার।
নিকারিঘাটা
১৭৩. কানাই মণ্ডল, ১৭৪. নুর আলি শেখ।
ইটখোলা
১৭৫. ইয়াকুব মোল্লা, ১৭৬. নুরহোসেন গাজী, ১৭৭. সাজেদ আলি মোল্লা, ১৭৮. সুধীর নস্কর, ১৭৯. ছবিরানী মাঝি।
দাঁড়িয়া
১৮০. সাববাজ মোল্লা।
ক্যানিং-২
১৮১. বাতেন মোল্লা।
ভরতগড়
১৮২. জহরালি লস্কর।
ঝড়খালি
১৮৩. প্রশান্ত গোলদার, ১৮৪. কৃষ্ণপদ মণ্ডল।