একটি ওয়েবসাইটের অন্তর্তদন্তে দেখা গেছে, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের ১১৯টি আসনে প্রদত্ত ভোট ও ইভিএম–এ গোনা ভোটের মধ্যে বিস্তর ফারাক৷
বিহারের পাটনা সাহিব কেন্দ্রে বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের শত্রুঘ্ন সিনহাকে পরাজিত করে৷ ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮০০ জন৷ ভোট প্রদানের হার ৪৩.১ শতাংশ অর্থাৎ ভোট পড়েছে ৯ লক্ষ ২০ হাজার ৯৬১টি৷ ইভিএমের গণনায় দেখা গিয়েছে ভোট পড়েছে ৯ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬০২টি ভোট৷ অর্থাৎ ইভিএমে ৫৭ হাজার ৬৪১টি ভোট অতিরিক্ত গণনা হয়েছে৷ একই ছবি পূর্ব চম্পারণ, পশ্চিম চম্পারণ, সেওহর, বাল্মীকি নগরের মতো একাধিক কেন্দ্রে৷ চার হাজার থেকে আট হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়পরাজয় নির্ধারিত হওয়া বিহারের ১৭টি আসনে অতিরিক্ত ভোটের তথ্য পাওয়া গেছে৷
বিহারের কারাকাট, সাসারাম, জেহানাবাদ, পাটলিপুত্র, বক্সার এবং আরা কেন্দ্রে দেখা গিয়েছে প্রদত্ত ভোটের তুলনায় ইভিএম ভোট বেশ খানিকটা কম৷ যেমন, কারাকাট আসনে প্রদত্ত ভোট ৯ লক্ষ ৬২ হাজার ৭২১ এবং ইভিএমে গণনার পর ভোটের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫০৭৷ ওই ছটিই আসনেই জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থীরা৷ জেহানাবাদে তিন জায়গায় তিন রকম তথ্য দেখা যাচ্ছে৷
উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী ৬২টিতে৷ অন্তত ৫০টি আসনে অতিরিক্ত ভোট পড়েছে বলে জানা গেছে৷
লখনউয়ে বিজেপির রাজনাথ সিংহ জয়ী হয়েছে ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩০২ ভোটে৷ সেখানে ভোটার ২০ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭২৫ জন৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী ৫৩.৫৩ শতাংশ অর্থাৎ ১০ লক্ষ ৯১ হাজার ৩২৯টি ভোট পড়ছে৷ কিন্তু ইভিএমের গণনায় দেখা যাচ্ছে ভোট পড়ছে ১১ লক্ষ ৭ হাজার ১০০টি৷ মথুরা, বাগপত সহ একাধিক আসনে একই ছবি৷ অনেক জায়গায় অতিরিক্ত ভোট ৯ হাজারেরও বেশি৷ শাহজাহানপুর, রামপুর, আগরার মতো আসনগুলিতে প্রদত্ত ভোটের তুলনায় ইভিএমের ভোট কম৷
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, ৩–৬–২০১৯