শোষণমুক্তির পথপ্রদর্শক লেনিনের চিন্তাধারা চর্চায় এলাকায় এলাকায় গড়ে ওঠা লেনিন মৃত্যুশতবর্ষ কমিটিগুলির প্রয়াস অব্যাহত। যতদিন শোষণ-অত্যাচার থাকবে, এই প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি বেশি অনুভূত হবে। তাঁর মৃত্যুশতবর্ষ সমাপনী অনুষ্ঠানের পরেও আগামী এক বছর কমিটি নানা কর্মসূচি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২৭ জানুয়ারি নদিয়ায় কৃষ্ণনগর পৌরসভা হলে ‘মহান লেনিন মৃত্যুশতবর্ষ উদযাপন কমিটি’ আয়োজিত সভায় (ছবি) বক্তব্য রাখেন আরএসপি-র প্রাক্তন জেলা সম্পাদক শংকর সরকার, সিপিআই-এমএল (লিবারেশন)-এর অমল তরফদার, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জী এবং এসইউসিআই (কমিউনিস্ট)-এর নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা কমিটির সম্পাদক মৃদুল দাস। সভাপতিত্ব করেন কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মলয় সরকার। আগামী দিনগুলিতেও তিনি কমিটির উদ্যোগে মহান লেনিনের দর্শনচিন্তা ও সংগ্রাম নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব দেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সম্পাদক তনয় মাজি। শ্রোতৃমণ্ডলীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রমজীবী থেকে শুরু করে শহরের বিশিষ্ট বামপন্থী ব্যক্তিরা। ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত লেনিনের জীবন সম্পর্কিত প্রবন্ধ ও অঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের হাতে এদিন লেনিন স্মারক পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।
২৭ জানুয়ারি পুরুলিয়ার বিদ্যাসাগর স্মৃতি কক্ষে লেনিন মৃত্যু শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি, পুরুলিয়া শহরের উদ্যোগে আয়োজিত ‘আজও কেন লেনিন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন এস ইউ সি আই (সি)-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সৌরভ মুখার্জী। সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শিক্ষক দয়াময় ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অধ্যাপক কৃষ্ণেন্দু দাস। বক্তব্য রাখেন কমিটির সম্পাদক অভিযান ভট্টাচার্য। সভায় শহরের বহু বিশিষ্টজন ও বিভিন্ন বামপন্থী দলের কর্মী-সমর্থকদের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়।