অতিমারি করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে লক্ষাধিক মানুষ বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত। ভারতেও এই মারণ ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে অনেকের। লকডাউন চলাকালীন পরিযায়ী শ্রমিক, দিনমজুর, চা বাগানের শ্রমিক-কৃষক পিছিয়ে পড়া গরিব অসহায় মানুষের জন্য খাদ্যের কোনও দিশা দেখাতে পারেননি কোনও সরকার। এই মহামারি ঠেকাতে প্রয়োজন অত্যধিক মাত্রায় পরীক্ষা করা যা বলছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা। অনাহারে দিন কাটছে দেশের কোটি কোটি মানুষের। এই অবস্থায় এই সমস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) দল। সারা দেশ জুড়ে ত্রাণ কার্য চলছে দলের উদ্যোগে।
ডায়মন্ডহারবার : লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে হরিণডাঙা অঞ্চলের পারুলিয়া মোড়ে লকডাউনের কবলে পড়া ৭০টি অসহায় দুঃস্থ পরিবারের হাতে ত্রাণসামগ্রী প্রদান করা হয়।
নদিয়া : এআইডিওয়াইও নদিয়ার বহিরগাছি কমিটির উদ্যোগে ২২ এপ্রিল দুঃস্থ ২৪০টি পরিবারকে খাদ্যদ্রব্য সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তুলে দেওয়া হয়। এই ত্রাণ শিবির পরিচালনা করেন সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য ইসলাম দফাদার, জসিম দফাদার, দেবব্রত দাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
পশ্চিম মেদিনীপুর : বিনপুর লোকাল কমিটির উদ্যোগে ১০টি গ্রামের ১২০টি পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়। দলের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে চাপ দেওয়ার ফলে বিডিও-র নেতৃত্বে বিনপুর এলাকার ৪টি গ্রামের প্রায় ৩০০টি পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। সারা বাংলা পরিচারিকা সমিতির ঝাড়গ্রাম শাখার পক্ষ থেকে প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ৮০টি পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর দ্বিশত জন্মবর্ষ উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে ৯০টি পরিবারকে এবং রবীন্দ্র স্মরণ সমিতির উদ্যোগে ৮০টি পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। বেলদাতে রেলযাত্রী সুরক্ষা কমিটি এবং বিদ্যাসাগর স্মরণ সমিতির যৌথ উদ্যোগে ২০০টি পরিবারের হাতে সাবান এবং বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। জেলার লুটুনিয়া নবোদয় সঙ্ঘের উদ্যোগে ২২ এপ্রিল সবংয়ের তেমাথানি এলাকায় ১৩৭টি পরিবারের হাতে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, ভোজ্য তেল, মুড়ি, সয়াবিন ও সাবান তুলে দেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সম্পাদক। ওই এলাকার মোটরভ্যান চালক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আরও ৩০০ জনকে সাহায্য তুলে দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। নারায়ণগড় কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এলাকার ১০৫টি পরিবারকে খাদ্যদ্রব্য সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সাহায্য দেওয়া হয়।
তমলুক : শহরের ঐতিহ্যবাহী সংস্থা ‘তমলুক বিদ্যাসাগর কৃষ্টি সম্মিলনী’ ৪০ জন ছাত্রছাত্রীর পরিবার সহ ২২২টি দুঃস্থ পরিবারের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেয়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার কর্মকর্তা অধ্যাপক সঞ্জীব কুইলা, শিক্ষক বাসুদেব দাস, সমাজসেবী প্রণব মাইতি প্রমুখ।
কলকাতা : কসবা-বালিগঞ্জ আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে হালতু কায়স্থপাড়া এলাকায় ২২ ও ২৫ এপ্রিল ত্রাণ বিতরণ করা হয়। প্রায় ২০০টি দুঃস্থ পরিবারের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়া হয়। এলাকার পার্টির দরদি-সমর্থকদের সক্রিয় সহায়তায় এই কাজ সম্পন্ন হয়। এ ছাড়াও সল্টলেকের দত্তাবাদ, টালিগঞ্জ সহ নানা এলাকায় দল এবং বিভিন্ন গণসংগঠন ও ফোরামের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
ত্রিপুরা : ২ মে আগরতলার দক্ষিণ বাধারঘাটের করাই অঞ্চলে দলের উদ্যোগে গরিব মানুষদের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয়। রাজ্য সংগঠনী কমিটির সদস্য কমরেড সুব্রত চক্রবর্তী ও কমরেড সঞ্জয় চৌধুরী ৮৫টি পরিবারের হাতে এই ত্রাণ তুলে দেন।