করোনা অতিমারির কারণে সাধারণ মানুষের রুটি-রুজি যখন বিপর্যস্ত সেই সময়ও ডিলাররা দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য দপ্তরে অভিযোগ জানালেও বিশেষ লাভ হয় না।
কর্মী কম থাকার অজুহাতে দফতরের অফিসাররা মাসে একবারও দোকান পরিদর্শন করেন না, গ্রাহকদের অভাব-অভিযোগও শোনেন না। মাসের শেষে রেশন দেওয়ার মাধ্যমে ডিলাররা এক বা দু’মাসের রেশন সামগ্রী পুরোটাই আত্মসাৎ করে। গ্রাহকদের আন্দোলনের চাপে ডিলাররা আত্মসাৎ করা সামগ্রী ফিরিয়ে দেওয়ার মুচলেকা দিলে খাদ্য দফতর হঠাৎ জেগে উঠে আইনের ফাঁক রেখে সাসপেন্ড করে ডিলারদের বাঁচিয়ে দেয়। সাসপেনশনের সময় গ্রাহকদের বাসস্থান থেকে অনেক দূরে ডিলারদের ট্যাগ করে দেওয়ায় গ্রাহকরা সমস্যায় পড়েন।
উত্তর দিনাজপুরে সংগ্রামী গণমঞ্চ এই সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ২৪ ডিসেম্বর সাত দফা দাবিতে জেলা খাদ্য নিয়ামকের নিকট ডেপুটেশন দেওয়া হয়। দাবিগুলি হল : ১) প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে রেশন সামগ্রী বন্টন করতে হবে। ২) কেরোসিন তেলের দাম ও পরিমাণ প্রতি মাসে পরিবর্তন করা চলবেনা। ৩) দুর্নীতিগ্রস্ত ডিলারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৪) নিয়মিত রেশন দোকান পরিদর্শন করতে হবে এবং গ্রাহকদের অভাব-অভিযোগ শুনতে হবে। ৫) চরম দুর্নীতিবাজ রেশন ডিলার কালীপদ দাসকে বাতিল করতে হবে এবং অলিগঞ্জ এলাকাতেই দ্বিতীয় কাউন্টার খুলে রেশন সামগ্রী বিতরণ করতে হবে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন সুজনকৃষ্ণ পাল, রুবিনা খাতুন, মাধবীলতা পাল, ইমতিয়াজ আলম, সাহিদ আলম প্রমুখ।