রেল এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে সারা রাজ্যে বিক্ষোভ

 

কলকাতার ফেয়ারলি প্লেসে পূর্ব রেলের সদর দপ্তরে বিক্ষোভ।

করোনা মহামারিতে মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। রেল ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বেসরকারি মালিকদের হাতে বেচে দেওয়ার লক্ষ্যে তারা একাধিক ট্রেন, স্টেশন ইতিমধ্যেই বেসরকারি হাতে তুলে দিয়েছে। লোকাল ট্রেন, মাল পরিবহণের প্রায় সমস্তটাই, বেশ কিছু পরিষেবা এবং রেল কারখানাগুলি একে একে বেসরকারি হাতে চলে যাবে তা ঘোষণাই হয়ে গেছে। একই সাথে রেলের অর্ধেকের বেশি পদ বিলোপ করা, নতুন নিয়োগ বন্ধের মধ্য দিয়ে দেশের বেকার যুবকদের চাকরির সুযোগকে আরও সংকুচিত করা হয়েছে। রেলের উপর নির্ভরশীল অসংখ্য হকার, কম ভাড়ার মান্থলি টিকিটে যাতায়াত করা পরিচারিকা, নির্মাণ কর্মী, অসংগঠিত শ্রমিকদের মতো লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মানুষ এর ফলে চরম বিপদে পড়বেন।

এর প্রতিবাদে ১০ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলায় এস ইউ সি আই (সি) দলের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন এবং কলকাতায় পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের সদর দপ্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং আধিকারিকদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। দলের কলকাতা জেলা সম্পাদক কমরেড সুব্রত গৌড়ীর নেতৃত্বে দুজনের প্রতিনিধি দল ফেয়ারলি প্লেসে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের ব্যক্তিগত সচিবের কাছে স্মারকলিপি দেন। বিএনআর-এ দক্ষিণ পূর্ব রেলের চিফ পাবলিক রিলেশন অফিসারের কাছে কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড জুবের রব্বানির নেতৃত্বে দুজনের প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দেন। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গে খড়গপুর, মেদিনীপুর, বাখরাবাদ স্টেশন। কলকাতার উপকণ্ঠে সোনারপুর স্টেশন সহ রাজ্যের বহু স্টেশনে এবং রেলের নানা দপ্তরে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়। শিলিগুড়িতে দলের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক ও রাজ্য কমিটির সদস্য কমরেড গৌতম ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দেয়।

দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশন মাস্টারের মাধ্যমে রেলমন্ত্রীর উদ্দেশে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। রেল হকার, পরিচারিকা, নির্মাণ কর্মী ইত্যাদিদের সংগঠিত করে প্রতিবাদ সংগঠিত করা হবে।