পশ্চিম বর্ধমান জেলার রূপনারায়ণপুর স্টেশনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন থামানো, আসানসোল স্টেশন থেকে আসানসোল এক্সপ্রেসের সাথে লিংক ট্রেন চালু, ট্রেনে দুর্নীতি ও অপরাধ রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং সিনিয়র সিটিজেনদের কনসেশন পুনরায় চালু করা, শূন্যপদে নিয়োগ, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন ও অতিরিক্ত কামরার ব্যবস্থা করার দাবিতে ২৯ নভেম্বর রূপনারায়ণপুর স্টেশন ম্যানেজার ও একই সাথে আসানসোল ডিআরএম-কেও স্মারকলিপি দেওয়া হয় এআইডিওয়াইও-র পক্ষ থেকে। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক শঙ্খ কর্মকার, আনন্দরূপ রায়, সুজয় শেঠ, সন্তোষ মুদী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এর সাথে সংগঠনের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি কমরেড স্বপন মুন্সির নেতৃত্বে দুর্গাপুর স্টেশনে রেল ম্যানেজারকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
শূন্যপদে নিয়োগ, দুর্ঘটনা আটকানো, সাধারণ কামরা বৃদ্ধি সহ পরিষেবা সংক্রান্ত নানা দাবিতে শিয়ালদা শাখার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারকে ডেপুটেশন দেয় সংগঠন। সংগঠনের কলকাতা জেলা সম্পাদক সমর চ্যাটার্জীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ডিআরএম-এর সাথে দেখা করেন। তিনি দাবিগুলির সাথে একমত হন। রাজ্যজুড়ে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে স্টেশন ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বেলডাঙা রেলগেটে উড়ালপুল নির্মাণ সহ উপরোক্ত ১৩ দফা দাবিতে নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা এআইডিওয়াইও-র পক্ষ থেকে কৃষ্ণনগর রেল স্টেশনে বিক্ষোভ এবং স্টেশন ম্যানেজারকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। বিক্ষোভ সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অঞ্জন মুখার্জী। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার আন্দোলনের চাপে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে এক হাজারটি সাধারণ স্লিপার কোচ বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। শূন্যপদে নিয়োগের কথা বললেও দ্রুত শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। দাবিগুলি পূরণে কেন্দ্রীয় সরকারের যথোপযুক্ত পদক্ষেপের দাবিতে রাজ্যে ২৫ থেকে ২৯ নভেম্বর সমস্ত জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পঞ্চাশেরও বেশি স্টেশনে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।