Breaking News

রেজাল্টে অসঙ্গতিঃ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের বিক্ষোভ

সারা রাজ্যে পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রছাত্রীদের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ সেমেস্টারের রেজাল্টে ব্যাপক অসঙ্গতি দেখা দেয়। ফলে চার হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী সমস্যায় পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, গণহারে বিভিন্ন বিষয়ে ফেল করানো হয়েছে, অথচ রিভিউয়ের কোনও ব্যবস্থা নেই। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে অকৃতকার্য বিষয়গুলিতে আরটিআই করলে পাস করিয়ে দেওয়া হয়। প্রতি বিষয়ে আরটিআইয়ের খরচ প্রায় ২২০০ টাকা। অর্থাৎ বিষয়গুলিতে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা নিয়ে ঘুরপথে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা আদায় করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে রাজ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনিক্যাল ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন ডেমোক্রেটিক ফোরাম ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল স্টুডেন্টস (ডিএফইটিএস)-এর পক্ষ থেকে কলকাতার নিউটাউনে অবস্থিত কারিগরি ভবনে ৬ মার্চ বিক্ষোভ-ডেপুটেশন হয়। রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ থেকে শতাধিক ছাত্রছাত্রী এতে অংশগ্রহণ করেন।

সংগঠনের রাজ্য আহ্বায়ক বৈদ্যনাথ মাহাতো বলেন, প্রতি বছর ছাত্রছাত্রীরা একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কিন্তু রাজ্য কারিগরি শিক্ষা দপ্তর এই সমস্যার কোনও স্থায়ী সমাধান করছে না। তিনি দাবি করেন, অবিলম্বে পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে বিভ্রান্তিহীন ফলপ্রকাশ করতে হবে। ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী সেমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়া বা রি-অ্যাডমিশনের জন্য ছাত্রছাত্রীদের বাধ্য করা যাবে না। কর্তৃপক্ষের কাছে সুনির্দিষ্ট পাঁচটি দাবি জানানো হয়েছে। তার ভিত্তিতে কারিগরি দপ্তরের আধিকারিক আশ্বাস দেন, বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। যেহেতু ষষ্ঠ সেমেস্টার ছাড়া রিভিউ ব্যবস্থা নেই, তাই তিনি ছাত্রছাত্রীদের আরটিআই করতে বলেন। তিনি আশ্বস্ত করেন, ১০ টাকার স্ট্যাম্প চার্জ দিয়ে আরটিআই করলেই চলবে। তিনি মৌখিক আশ্বাস দেন, যদি এর ফলে অনেকেই পাস করেন তবে সময় বাড়িয়ে তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করে যাতে বছর নষ্ট না হয় তা দেখবেন। উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের কাছে কলেজে কলেজে এ ধরনের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।