উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ব্লকের মহারাজাহাটের ৩৩ নং রেশন ডিলার দীর্ঘদিন থেকে দরিদ্র আদিবাসী ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষকে নানা ভাবে বিভ্রান্ত করে করোনা অতিমারির জন্য বরাদ্দ অতিরিক্ত ৫ কেজি করে চাল আত্মসাৎ করেছে। পরিবারে ৫ টি পিএইচএইচ বা এসপিএইচএইচ কার্ড থাকলে যেখানে চাল, গম বা আটা মিলিয়ে ৫০ কেজি খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার কথা, সেখানে ২০২৫কেজি দেওয়া হত। গ্রাহকরা প্রতিবাদ করলে ডিলার গলা চড়িয়ে বলত, সরকার থেকেই কম দিয়েছে। গ্রাহকরা এই লুটের প্রতিবাদে অটল থাকলে ডিলার তাদের বিডিও অফিসে যেতে বলত। ঝামেলা এড়াতে সরল গ্রাহকরা কম নিয়েই বাড়ি ফিরতেন। গ্রামবাসীরা এআইকেকেএমএস সংগঠকদের বিষয়টি জানায়। সংগঠনের উদ্যোগে গ্রামবাসীদের নিয়ে তৈরি হয় কমিটি। ২৮ ডিসেম্বর কমিটির নেতৃত্বে বেলা ১১ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ডিলারকে ঘেরাও করে রাখেন গ্রামবাসীরা। আন্দোলনের চাপে ডিলার দোষ স্বীকার করে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ২০০ কুইন্টাল গম ২০০টি পরিবারকে দিতে বাধ্য হয়। রাত ৩টা পর্যন্ত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ চলে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দাবি আদায়ের এই ঘটনায় দরিদ্র গ্রামবাসীদের আত্মবিশ্বাস দৃঢ় হয়। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের রামপুর অঞ্চল সভাপতি রাম হেমব্রম, মাধবীলতা পাল, লক্ষ্মীরাম টুডু, রুবিনা খাতুন প্রমুখ।