৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর এ আই ডি এস ও–র একাদশতম রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল কোচবিহার শহরে৷ এই সম্মেলন দাবি তোলে অবিলম্বে প্রথম শ্রেণি থেকেই পাশ–ফেল চালু করতে হবে, শিক্ষাধ্বংসকারী জাতীয় শিক্ষানীতি–২০১৯ বাতিল করতে হবে৷ অবৈজ্ঞানিক সিলেবাস, সিবিসিএস ও সেমেস্টার প্রথা বন্ধ , মেডিকেলে এনএমসি বিল বাতিল, মদ ও মাদকদ্রব্যের প্রসার রোধ এবং নারী নির্যাতন বন্ধ করার দাবিও গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় ছিল ছাত্রপ্রতিনিধিদের সামনে৷রাজ্য জুডে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন গডে তোলার ডাক দেয় সংগ্রামী ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও–র এই সম্মেলন৷
৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ৷ প্রায় ১০ হাজার ছাত্রছাত্রীর দৃপ্ত মিছিল ওই দিন কোচবিহার শহর পরিক্রমা করে উপস্থিত হয় পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়া মাঠে৷ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ডঃ নৃপেন্দ্র নাথ পাল৷ প্রকাশ্য অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি কমরেড মৃদুল সরকার৷ বক্তব্য রাখেন এসইউসিআই(সি)–র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কমরেড অশোক মিশ্র, সর্বভারতীয় সভাপতি কমরেড কমল সাঁই এবং রাজ্য সম্পাদক কমরেড সৌরভ ঘোষ৷ উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি কমরেড মাসুদ রানা, ডিএসও–র আসাম রাজ্য সম্পাদক কমরেড প্রোজ্জ্বল দেব, সিকিমের ডিএসও নেতা ভানুভক্ত শর্মা৷
২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম হলে (কমরেড দেবকুমার মণ্ডল মঞ্চ) অনুষ্ঠিত হয় প্রতিনিধি অধিবেশন৷ রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে প্রায় ৩০০০ প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দেন৷ শিক্ষার সমস্ত শাখা থেকে আসা প্রতিনিধিরা শিক্ষাক্ষেত্রের সমস্যা এবং তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন৷
প্রতিনিধি অধিবেশনের শেষে বক্তব্য রাখেন এসইউসিআই (কমিউনিস্ট)–এর পলিটবুরো সদস্য কমরেড সৌমেন বসু৷ এই সম্মেলন থেকে কমরেড সামসুল আলমকে সভাপতি ও কমরেড মণিশংকর পট্টনায়ককে সম্পাদক করে ২৫ জনের সম্পাদকমণ্ডলী, ৭৮ জনের রাজ্য কমিটি এবং ১০২ জনের রাজ্য কাউন্সিল নির্বাচিত হয়৷