চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ হাজার মানুষ ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সমবেত হয়ে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন দেন। জানুয়ারি মাস থেকে থানা, মহকুমা, জেলা পর্যায়ে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের পর কলকাতায় এই কর্মসূচি হয়। সমাবেশে আশরাফুল হক, নবকুমার পাল, ইব্রাহিম বিশ্বাস, নির্মল সরকার, নাজমা গায়েন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভপতি রূপম চৌধুরী বলেন, চিটফান্ড কাণ্ডে মানুষ দু’ভাবে প্রতারিত হয়েছেন। এই চিটফান্ডগুলি সরকার অনুমোদিত ছিল। এদের টাকা তোলার যথেচ্ছ অনুমতি শুধু নয়, সরকারগুলি সব রকমভাবে মদত দিয়েছে। আর একটা প্রতারণা হল কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময়ে দেশের মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এলে ১২০ দিনের মধ্যে চিটফান্ড সমস্যা সমাধান করবেন। এক বছর আট মাস হতে চলল সরকারের কোনও হেলদোল নেই।
অল বেঙ্গল চিটফান্ড সাফারার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন দীর্ঘ আন্দোলন করে এজেন্টদের নিরাপত্তা ও সরকারকে কমিটি গঠন করতে বাধ্য করেছে। কমিটি কিছু কিছু টাকা ফেরত দিচ্ছে। যে বিপুল পরিমাণ টাকা লুঠ হয়েছে সেই পরিমাণ অর্থ একমাত্র সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া সম্ভব।
কেন্দ্রীয় সরকার শিল্পপতিদের বিগত ১৫ বছরে নানা ক্ষেত্রে ১৩ লক্ষ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছেন। শিল্পপতিরা ব্যাঙ্ক থেকে টাকা নিয়ে ফেরত দেয়নি, সরকার টাকা মকুব করেছে ১২ লক্ষ কোটি টাকা। এই রাজ্য সহ সারা দেশে চিটফান্ড কাণ্ডে টাকা লুটের পরিমাণ ৭ লক্ষ কোটি, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ৩৫ কোটি। সভাপতি বলেন, নির্বাচনে কোনও দল জিতবে, কোনও দল হারবে, কিন্তু তাতে চিটফান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্যার সমাধান হবে না। এই সময়েও আমাদের দাবি আদায়ের আন্দোলন চলবে।