ছাত্র-যুব-মহিলা থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদ-শিক্ষকরা লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছিলেন স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে। অবশেষে ৩১ জানুয়ারি আংশিকভাবে হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। ২৮ জানুয়ারি স্কুল খোলার দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সন্তানদের সঙ্গে রাজ্য জুড়ে অল ইন্ডিয়া মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন মায়েরা। এ দিন ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথা মোড়ে অবস্থান-বিক্ষোভ হয়। খুদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘আমরা স্কুলে যেতে চাই।’ ‘মোবাইলের মধ্য দিয়ে পড়া নয়, স্কুলে যেতে চাই।’ কর্মসূচিতে অংশ নেন শতাধিক ছাত্রছাত্রী।
বিক্ষোভে যোগ দিতে আসা বিনপুরের কাঁকোর বাসিন্দা সন্ধ্যা দাস কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলে মোবাইলে পড়াশুনার বদলে শুধুমাত্র পাবজি গেম খেলছে। আজ সকালে টাকা চেয়েছিল মোবাইল রিচার্জ করে দেওয়ার জন্য। টাকা নেই বলতে বাক্স ভেঙে খারাপ কথা বলে ৩০০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। আমার মতো অনেক মায়ের একই অবস্থা।’ এ দিন কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে অবস্থানের পর মহিলারা মিছিল করে জেলাশাসক দপ্তরে যান। সেখানে সংগঠনের জেলা সম্পাদিকা লক্ষ্মী মাইতি ও সভানেত্রী বাতশোভা বেগম বক্তব্য রাখেন। মা-শিশুদের অবস্থান-বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন প্রদান কর্মসূচি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক, কোলাঘাট, ময়না, কাঁথি, এগরাতে। কলকাতার কলেজ স্কোয়ার ও বেহালায় বিক্ষোভ অবস্থান হয়। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও এই কর্মসূচি পালিত হয়। এই দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক স্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।