সংবাদপত্রে এবং টিভির পর্দায় নারী ধর্ষণ ও খুনের একের পর এক ঘটনা দেখে শিউরে উঠতে হয়৷ কিন্তু এর শেষ কোথায়? অনেকে অনেকভাবে এইসব বিকারের বাড়বাড়ন্তের ব্যাখ্যা দেন৷ সম্প্রতি বেসরকারি নজরদার সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম (এডিআর) এক রিপোর্টে দেখিয়েছে, সংসদীয় রাজনৈতিক দলগুলি এইসব খুনি–ধর্ষকদের প্রার্থী করে সামাজিক পুনর্বাসন দিয়েছে, এদের মধ্যে অনেকেই নির্বাচনে জিতে এমএলএ–এমপি হয়ে এই সব মামলাকেও প্রভাবিত করছে যার ফলে অপরাধীদের সাজা হয় খুব কম ক্ষেত্রেই৷
খুন–ধর্ষণে অভিযুক্তদের প্রার্থী করার ক্ষেত্রে সব থেকে এগিয়ে বিজেপি৷ গত পাঁচ বছরের হিসাবে, গোটা দেশে বিজেপি ৫৯ জন ক্রিমিনালকে প্রার্থী করেছিল, যাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, দেহব্যবসার জন্য নাবালিকা কেনা, জোর খাটিয়ে বিয়ে দেওয়া, এমনকী ধর্ষণেরও মামলা রয়েছে৷ এদের মধ্যে জয়ী হয়েছেন ১২ জন৷ তারপরেই রয়েছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা৷ অন্যতম উগ্র হিন্দুত্ববাদী, বিজেপি ঘনিষ্ঠ এই দলটির ৭ জন ক্রিমিনাল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন৷ তৃণমূল কংগ্রেস ১৮ জন দাগী আসামীকে প্রার্থী করেছে৷ তার মধ্যে জিতেছেন ৬ জন৷ টিকিট পেয়েছেন অথচ জেতেননি এমন ক্রিমিনাল নেতার সংখ্যা– বিএসপির ৩৫, কংগ্রেসের ২৪, সিপিএমের ১২ সিপিআইয়ের ১০৷
এই সব দলের নেতৃত্ব যাঁরা ক্রিমিনালদের প্রার্থী করেছেন তাঁরা ভেবে দেখুন, তাঁদের এই ভূমিকা কীভাবে নারী জীবনকে তছনছ করে দিচ্ছে৷
(তথ্য সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা–২০.০৪.২০১৮)
(৭০ বর্ষ ৩৬ সংখ্যা ২৭ এপ্রিল, ২০১৮)