‘‘…তৃণমূল সরকারে এলে সোনার বাংলা করবে, এ যদি কেউ দাবি করে, আমরা বলব তা ভ্রান্ত। চাইলে বড় জোর সরকারের কিছু দুর্নীতি তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, পুলিশে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনতে পারবে। যদি তাঁরা চান, রেশনে গণবণ্টনে কিছু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারবেন। আর শ্রমিকদের আন্দোলন, চাষিদের আন্দোলন যেমন করে কংগ্রেস দমন করত, যেমন করে সিপিএম নৃশংসভাবে দমন করছে, তৃণমূল যদি চায়, এ ক্ষেত্রেও তাদের সরকার, পুলিশের দমনমূলক, আক্রমণাত্মক ভূমিকাকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মধ্যে পুঁজিপতি শ্রেণির চাপ, কেন্দ্রীয় সরকারের চাপ থাকবে, এই চাপের মধ্যে তারা কতটা কী ভূমিকা নেবেন, আগামী দিনের ইতিহাস তা বলবে। যদিও এ ব্যাপারে আমরা বেশি আশাবাদী নই। কারণ বুর্জোয়া পার্লামেন্টারি রাজনীতির চৌহদ্দির বাইরে শ্রেণিগতভাবে তারাও যেতে পারে না” (গণদাবী, ৬২ বর্ষ ৩৭ সংখ্যা)।
তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার এক বছর আগে ২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল শহিদ মিনার ময়দানে প্রকাশ্য সভায় এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ এ কথা বলেছিলেন। আজ তৃণমূলের ১১ বছরের শাসনে কী দেখছেন রাজ্যের মানুষ? মানুষ দেখছেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ দূরে থাক, এই দলটি আদ্যোপান্ত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রেখে যতটা জনস্বার্থে কাজ করতে পারত, সেটাও করেনি। মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-শিবদাস ঘোষ চিন্তাধারা প্রয়োগের ভিত্তিতেই সেদিন আসন্ন পরিস্থিতির এই সঠিক মূল্যায়ন করতে পেরেছিল এসইউসিআই(সি)।