পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধিকে অজুহাত করে বাসে যথেচ্ছ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। বাসমালিকরা নিজেরাই একতরফা ভাবে অতিমারিতে বিপর্যস্ত যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন। বর্তমানে বহু মানুষই রুটি-রুজি হারিয়ে আর্থিকভাবে চূড়ান্ত দুর্দশায় পড়েছেন। তার উপর বাড়তি বাস ভাড়া দিতে রক্ত জল করা পরিশ্রমে তাদের সারা মাসের রোজগারের অধিকাংশই চলে যাচ্ছে। সরকার নিশ্চুপ। বাসে যথেচ্ছ ভাড়া নেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে এস ইউ সি আই (সি)। কলকাতায় বাসে উঠে প্রচার, রাস্তার মোড়ে মোড়ে হ্যান্ডবিল বিলি, স্কোয়াড, মাইক প্রচার চলে।
প্রত্যেকটি রুটে যাত্রী কমিটি গড়ে তুলে যথেচ্ছ ভাড়া নেওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়। পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে যাত্রীদের থেকে যথেচ্ছ ভাড়া আদায় বন্ধ করা, বাস মালিক-যাত্রী কমিটি-পরিবহণ বিশেষজ্ঞদের কমিটি গড়ে ভাড়া নিয়ে সুনির্দিষ্ট সরকারি নীতি অবিলম্বে ঘোষণা করা, পেট্রল-ডিজেলের উপর থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে ট্যাক্সপ্রত্যাহার করতে হবে– এই দাবিগুলি নিয়ে জনমত সংগঠিত করা হয়। যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই এই প্রচারে একমত হয়ে বাড়তি ভাড়া দিতে অস্বীকার করেন। শিয়ালদা থেকে হাওড়াগামী বাসে এক যাত্রী বলেন, আপনারাই তো একমাত্র যথেচ্ছ ভাড়াবৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়ছেন। বাকি দলগুলি টুঁ শব্দ করছে না।
হ্যান্ডবিল পেয়ে বহু জন ফোন করে আন্দোলনের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। দলের কলকাতা জেলা সম্পাদককে একজন বাস ড্রাইভার ফোন করে বলেন, ‘আমার সাথে আমার কন্ডাক্টরও আপনাদের হ্যান্ডবিলটা পড়েছি। আমি সিটু করি। আমাদের দল সরকারে নেই বলে আন্দোলন করছে না। আপনারা করছেন, ভালো লাগছে। বাস্তবে সাধারণ মানুষের যে দুরবস্থা, তাতে এত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করা সমস্যা। আপনারা যে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ার বিরুদ্ধেও লড়ছেন, সেটা আমাদের ভালো লেগেছে। আমি ২৩৯ রুটে বাস চালাই, বেলেঘাটায় থাকি। আপনারা চালিয়ে যান।